বাজে -পোড়া ঠুঁটো তালগাছটা উঠোনের পাশে দাঁড়িয়ে, যেন বুড়ো আঙুল দেখিয়ে আকাশকে ঠাট্টা করছে। অথচ ম্রিয়মাণ, বিষণ্ণ। বুকের মধ্যে যেন একটা হাপর আছে, উঁচু তাকিয়াটায় ঘাড় গুঁজে উবু হয়ে শুয়ে অমর হাঁপানির টান টানছে। ডাক্তার খানিকটা ন্যাকড়ায় কি একটা ঝাঁঝালো ওষুধ ঢেলে দিয়ে বলে গিয়েছিল শুকতো তাতে টান কমা দুরে থাক, রগ দুটো বাগ না… Continue reading দুইবার রাজা – অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত
খসড়া পাণ্ডুলিপি /রব্বানী চৌধুরী
পেইজ ১ বাবার সেবা করব খাওয়াদাওয়ার চিন্তা নেই শান্তি ঘুমের এ কোন মোটেল? বাবার হোটেল! কাপড়চোপড় মাগনা মিলে পকেট খরছ ইন টোটেল বাবার হোটেল! টি ভি-বিদ্যুৎ-টেলিফোন গ্যাস-পানি ও শ্যাম্পু-তেল বাবার হোটেল! খেলনা কেনা, বিয়েশাদি, আর কী বাকি? ভাবতে ভাবতে মাথাই বেল বাবার হোটেল! বাবার মতো দাতা নেই কেউ সন্তানেরা হয় কি লুটেল? বাবার হোটেল! যাদের… Continue reading খসড়া পাণ্ডুলিপি /রব্বানী চৌধুরী
কোথায় গেল -মহিউদ্দিন জুলহাস
কোথায় গেল ঢেউ কাঁপানো বেতাই নদীর জল কোথায় গেল ছেলেবেলার সঙ্গি সাথির দল। কোথায় গেল বাড়ি ভরা নানান জাতের গাছ কোথায় গেল জলাভূমির বিশাল বিশাল মাছ। কোথায় গেল মক্তব পড়া কুরান শিক্ষার রীতি কোথায় গেল একে অন্যের হৃদয়গলা প্রীতি। কোথায় গেল বোশেখ মাসের আম কুড়ানির সুখ কোথায় গেল মানবজাতির দয়ার বিশাল বুক। কোথায় গেল মিষ্টি… Continue reading কোথায় গেল -মহিউদ্দিন জুলহাস
মানুষের সেবা -আবদুল কাদির
হাশরের দিন বলিবেন খোদা- হে আদম সন্তান তুমি মোরে সেবা কর নাই যবে ছিনু রোগে অজ্ঞান। মানুষ বলিবে – তুমি প্রভু করতার, আমরা কেমনে লইব তোমার পরিচর্যার ভার? বলিবেন খোদা- দেখনি মানুষ কেঁদেছে রোগের ঘোরে, তারি শুশ্রুষা করিলে তুমি যে সেথায় পাইতে মোরে। খোদা বলিবেন- হে আদম সন্তান, আমি চেয়েছিনু ক্ষুধায় অন্ন, তুমি কর নাই… Continue reading মানুষের সেবা -আবদুল কাদির
রাত বারোটা – অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত
আমি তখন মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দিতে পোস্টেড। যে দোতলা বাড়িটাতে আছি, সেটা আমাদের দুজনের পক্ষে বেশ বড়। উপরে-নিচে অনেকগুলি ঘরই ফাঁকা। সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠে বাঁহাতি পুবের ঘরটা আমার লেখাপড়া করবার, আর লম্বা-চওড়া বড় একটা বারান্দা পেরিয়ে পশ্চিমের ঘরটা শোবার। দক্ষিণের বারান্দায় ক’খানা চেয়ার ফেলা। নির্ঝঞ্ঝাট নিরিবিলি বাড়ি। চারদিক গাছগাছালিতে ঢাকা। ইলেকট্রিক নেই। লণ্ঠনের টিমিটিমি। তখন… Continue reading রাত বারোটা – অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত
পথের পাঁচালী – বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
পথের পাঁচালী – বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ০১. বল্লালী বালাই – নিশ্চিন্দিপুর গ্রামের একেবারে উত্তরপ্রান্তে প্রথম পরিচ্ছেদ নিশ্চিন্দিপুর গ্রামের একেবারে উত্তরপ্রান্তে হরিহর রায়ের ক্ষুদ্র কোঠাবাড়ী। হরিহর সাধারণ অবস্থার গৃহস্থ, পৈতৃক আমলের সামান্য জমিজমার আয় ও দু-চার ঘর শিষ্য সেবকের বার্ষিকী প্রণামীর বন্দোবস্ত হইতে সাদাসিধাভাবে সংসার চালাইয়া থাকে। পূর্বদিন ছিল একাদশী। হরিহরের দূরসম্পর্কীয় দিদি ইন্দির ঠাক্রুণ সকালবেলা ঘরের… Continue reading পথের পাঁচালী – বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
ইছামতী – বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
ইছামতী একটি ছোট নদী। অন্তত যশোর জেলার মধ্য দিয়ে এর যে অংশ প্রবাহিত, সেটুকু। দক্ষিণে ইছামতী কুমির-কামট-হাঙ্গর সংকুল বিরাট নোনা গাঙে পরিণত হয়ে কোথায় কোন সুন্দরবনে সুঁদরি-গরান গাছের জঙ্গলের আড়ালে বঙ্গোপসাগরে মিশে গিয়েচে, সে খবর যশোর জেলার গ্রাম্য অঞ্চলের কোনো লোকই রাখে না। ইছামতীর যে অংশ নদীয়া ও যশোর জেলার মধ্যে অবস্থিত, সে অংশটুকুর রূপ… Continue reading ইছামতী – বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
মায়ের মুখে চাঁদের হাসি – মহিউদ্দিন জুলহাস
চাঁদের মতো মুখটা মায়ের চাঁদের মতো মুখটা, মায়ের মুখে চাঁদের হাসি দেখলে ভরে বুকটা। আকাশ সমান দিলটা মায়ের আকাশ সমান দিলটা, আমার কাছে ভালো লাগে মায়ের মিঠা কিলটা! তারার মতো চক্ষু মায়ের তারার মতো চোখ, মাকে যারা দেয়না সম্মান নয়তো ভালো লোক।
তিতুর মতো-মহিউদ্দিন জুলহাস
তোরা যারা মানুষ মারিস তোদের প্রতি ক্রুদ্ধ তোদের হাতে মরার জন্য হয়নি মুক্তিযুদ্ধ। দেশকে যারা ভালোবাসেন সকল অসুর খুনি নাশেন তবেই হবেন স্বদেশ প্রেমে তিতুর মতো শুদ্ধ।
সোনার মতো তাজ-মহিউদ্দিন জুলহাস
দেশটা আমার মায়ের মতো সবাই যদি এই মানি, আমরা কী আর করতে পারি মায়ের সাথে বেঈমানি? দেশের সেবা করতে হলে দশের সেবা করুন, জনগণের উন্নয়নে নিজের প্রাণটা ধরুন। জনগণের পক্ষে যদি যান করে যান কাজ, জনগণ-ই এনে দিবে সোনার মতো তাজ।