বর্ণাঢ্য জীবনের ইতি টেনে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন ডাচ তারকা মিডফিল্ডার ওয়েসলি স্নেইডার। নেদারল্যান্ডসের হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা এই মিডফিল্ডার তরুণদের জায়গা করে দিতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। জাতীয় দলের জার্সি গায়ে ১৫ বছরের ক্যারিয়ারে স্নেইডার ১৩৩টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। ২০০৩ সালে অভিষেক হয় স্নেইডারের।
আরিয়েন রবেন, রবিন ফন পার্সি, মার্ক ফন বোমেলদের সাথে জাতীয় দলের হয়ে ২০১০ সালে বিশ্বকাপের ফাইনালে নেদারল্যান্ডকে পৌঁছে দিয়েছিলেন স্নেইডার। যদিও ম্যাচটিতে অতিরিক্ত সময়ে আন্দ্রেস ইনিয়েস্তার একমাত্র গোলে স্পেন শিরোপা জয় করে।
অবসর প্রসঙ্গে স্নেইডার বলেছেন, ‘হল্যান্ডের হয়ে জাতীয় দলে আমার ১৫টি বছর অসাধারণ কেটেছে। প্রত্যেকেরই একটা নির্দিষ্ট সময়ের পরে চলে যেতে হয়। নতুন প্রজন্মকে সুযোগ করে দেবার কথাও চিন্তা করতে হবে, যাতে করে নতুনরা তাদের প্রতিভার প্রমান দিতে পারে। যথেষ্ঠ হয়েছে, আমার বয়স এখন ৩৩, আগামী বিশ্বকাপে আমার বয়স হবে ৩৮, এই বয়সে জায়গা ধরে রাখার প্রশ্নই আসে না।’
তিনি আরও জানান, ‘জাতীয় দলে খেলতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি। দেশের জার্সিতে ১৫টি বছর, ৯৭৫০ মিনিট, ১৩৩টি ম্যাচ, ৮৫টি জয়, ৩১টি গোল সবকিছুই আমাকে গর্বিত করে। ফুটবল আমার সব সময়ের নেশা। নতুনদের জন্য শুভকামনা থাকলো। নিজেদের শতভাগ ঢেলে দিও। হয়তো তোমাদের সঙ্গে শিগগিরই দেখা হবে।’
ফুটবল ছেড়ে দিলেও ডাচ ফুটবল তাকে ছাড়ছে না। দেশটির ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন তাকে কোচিং প্যানেলে নেওয়ার কথাই জানিয়েছে বিবৃতিতে। এ প্রসঙ্গে এই তারকা মিডফিল্ডার জানান, ‘আমি বুঝতে পারছি যে কোম্যান তরুণদের নিয়ে নতুনভাবে শুরু করতে চান। আমি তার সিদ্ধান্তকে শ্রদ্ধা করি।’
খেলোয়ারি জীবনে কমলা জার্সি গায়ে স্নেইডার তিনটি ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়নশীপ ও তিনটি বিশ্বকাপে খেলেছেন। ক্লাব ফুটবলে আয়াক্সের হয়ে শুরু করে রিয়াল মাদ্রিদ, ইন্টার মিলানে খেলেছেন। এছাড়াও গ্যালাতাসারে, নিস আর আল ঘারাফা ক্লাবের হয়েও খেলেছেন স্নেইডার। ক্লাব ক্যারিয়ারে খেলেছেন ৫৪৬ ম্যাচ।