দরজায় কড়া নাড়ছে জমজমাট ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ। আগামী ১৪ জুন থেকে রাশিয়ায় শুরু হতে চলেছে ২১তম বিশ্বকাপ ফুটবলের আসর। ফাইনাল ১৫ জুলাই। কিন্তু তার মাসকয়েক আগেই এই বিশ্বকাপ ঘিরে বয়কটের ছায়া প্রলম্বিত হচ্ছে। রাজনৈতিক কারণে গ্রেট ব্রিটেনের নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়া, পোল্যান্ড এবং জাপান আসন্ন বিশ্বকাপ বয়কটের আগাম হুমকি দিয়ে রেখেছে। এবার নতুন করে যোগ হলো ফুটবলের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এই বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জনকারী আইসল্যান্ড। তাও রাজনৈতিক কারণে।
বিশ্বকাপের আয়োজক রাশিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক দ্বন্দ্বে জড়ানো যুক্তরাজ্যের পক্ষে দাঁড়িয়েছে আঞ্চলিক মিত্র আইসল্যান্ড। আর এ জন্যই, বিশ্বকাপে খেলতে নাও পারে দেশটি।
লন্ডনের পক্ষ নিয়ে দেশে দেশে রুশ কূটনীতিক বহিষ্কার চলতে থাকার মধ্যে আইসল্যান্ড জানিয়েছে, তারা রাশিয়ায় অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপ কূটনৈতিকভাবে বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
রাশিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক গুটিয়ে আনার ঘোষণা দিয়ে এক বিবৃতিতে আইসল্যান্ড বলেছে, আপাতত মস্কোর সঙ্গে শীর্ষ পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক যোগাযোগ স্থগিত করা হচ্ছে। একইসঙ্গে আসন্ন রাশিয়া বিশ্বকাপ বয়কট করছে আইসল্যান্ড। দেশের কোনো রাজনৈতিক নেতৃত্ব এই বিশ্বকাপে অংশ নেবে না।
এর আগে ইংল্যান্ডের সালিসবেরিতে রাশিয়ান স্পাই ও ডাবল এজেন্ট সের্গেই স্ক্রিপালকে নার্ভ গ্যাস দিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে রাশিয়ান সিক্রেট সার্ভিসের বিরুদ্ধে। আর এর নেপথ্যে ব্রিটিশ কূটনীতিকরা কাঠগড়ায় তুলতে চাইছেন রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে। সের্গেই স্ক্রিপাল ছিলেন সাবেক রাশিয়ান এজেন্ট। পরে তিনি পালিয়ে ইংল্যান্ডে চলে যান এবং ব্রিটিশ ইনটেলিজেন্স এমআইফাইভের হয়ে ডাবল এজেন্টের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। ব্যাপারটি জানতে পারার পর তাকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত রাশিয়ান সিক্রেট সার্ভিস। এরপর থেকেই অভিযোগে তোলপাড় ব্রিটিশ সরকারের অন্দরমহল। হোয়াইট হলে নিয়মিত এই নিয়ে মিটিং বসছে। ব্রিটিশ মন্ত্রীরা চাচ্ছেন, ইংল্যান্ড ফুটবল দল বয়কট করুক রাশিয়া বিশ্বকাপ। তাহলে রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে চাপে রাখা যাবে। যদি তিনি নিরুপদ্রবে আগামী বিশ্বকাপ ফুটবলে সফল মঞ্চায়ন করতে সমর্থ হন তাহলে তার গ্লোবাল স্ট্যাচার অনেক বেড়ে যাবে।
যদি কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামরিক ব্যবস্থার বেড়া জালে আবদ্ধ থেকে দলগুলো অংশগ্রহন না করে তাহলে সেটা হবে বিশ্বকাপের জন্য কলঙ্ক।