আমরা কি জানি, কিসমিস আমাদের দেহের কি কি উপকারে আসে? আসুন যেনে নেই কিসমিসের উপকারিতা !আঙ্গুর কম বেশি প্রায় সবারই প্রিয় একটি ফল।বাচ্চাদের তো খুবই প্রিয়।
এই আঙ্গুরকে রোদে বা অন্য কোনভাবে তাপ প্রয়োগের মাধ্যমে শুকিয়ে কিসমিসে পরিনত করা হয়।মিষ্টি জাতীয় খাবারে কিসমিসের ব্যবহার করে খাবারের স্বাদ বাড়ানো হয়। যেমন- পায়েস, ফিন্নি, ফালুদা, সেমাই ইত্যাদি খাবারে ব্যবহার করা হয় কিসমিস।
কিসমিসে রয়েছে – ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, লৌহ, ফসফরাস, প্রোটিন, খাদ্য আঁশ, সোডিয়াম ইত্যাদি উপাদান।যা আমাদের শরীরের শর্করা মাত্রা ঠিক করে ও শরীরে রক্ত দ্রুত বৃদ্ধি করে। নিম্ন কিসমিস আমাদের শরীরে কি কি উপকার করে তা দেয়া হলো ——
রক্ত শূন্যতা দূর করে :
কিসমিসে রয়েছে প্রচুর পরিমানে আয়রন, কপার ও ভিটামিন – বি কমপ্লেক্স।যা আমাদের শরীরের রক্তস্বল্পতা দূর করে ও লোহিত রক্ত কনিকা তৈরিতে সহায়তা করে।
হাড়ের ক্ষয় রোধ করে:
কিসমিসে রয়েছে ক্যালসিয়াম,যা হাড় ক্ষয় রোধ করে। হাড়কে করে মজবুত ও ব্যতের ব্যাথাও দূর করে।
চোখের জন্য ভালো :
কিসমিসে রয়েছে অ্যান্টি – অক্সিডেন্ট। যা আমাদের দৃষ্টি শক্তির জন্য খুবই উপকারী। এটি চোখের ছানি পড়া রোধের কার্যকর।
রক্তের চাপ নিয়ন্ত্রণ করে :
যাদের রক্ত চাপের সমস্যা রয়েচে তাূের জন্য কিসমিস খুবই উপকার। কারন এতে আছে পটাসিয়াম যা রক্তের চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।
ক্যান্সার প্রতিরোধে :
কিসমিসে যে উপাদানগুলো রয়েছে তা আমাদের শরীরে ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধি হতে দেয় না। ফলে ক্যান্সারের মত রোগ আক্রমণে বাধা সৃষ্টি করে।
এসিডিটি দূর করতে সহায়তা করে:
কিসমিস বা কিসমিস ভেজানো পানি খেলে হজম শক্তি বাড়ে।ফলে পেট পরিস্কার হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দূর হয়।
কোলেস্টোরেল দূর করে :
কিসমিসে রয়েছে প্রচুর আশঁ।যা আমাদের শরীরে কোলেস্টোরেলের পরিমান কমায়।
ওজন বাড়তে সহায়তা করে :
রোদে শুকিয়ে আঙ্গুরকে কিসমিস করা হয়, ফলে এতে রয়েছে ফ্রুক্টোজ ও গ্লুকোজ রয়েছে।যা আমাদের ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।
যৌন দূর্বলতা দূর করে:
নিয়মিত কিসকিস খেলে পুরুষদের যৌন দূর্বলতা দূর হয়।যৌন ক্ষমতাও বাড়ায়।
এজমা রোগীদের জন্য উপকারী:
যাদের এজমার সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য কিসমিস এক ধরনের ঔষ। প্রতিদিন ৫/৬ টা কিসমিস খেলে এজমার সমস্যা নিরসন করা যায়।
কিসমিসকে বলা হয় ড্রাই ফ্রুট অর্থাৎ শুকনো খাবার। খুবই মুখরোচক এই খাবারটি ছোট বড় সকলেরই খুব প্রিয়। এটি নিয়মিত খেলে বয়সের ছাপ পরে না এবং বাচ্চাদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতেও সহায়তা করে, কিডনি লিভার ভালো থাকে।
BY
ত্রোপা চক্রবর্তী