আজ সারাদেশে প্রকাশ পেয়েছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার রেজাল্ট। এ ফলাফলে দেখা গেছে সবচেয়ে খারাপ ফলাফল করেছে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড। এই বোর্ড থেকে সর্বনিম্ন ৪৯ দশমিক ৫২ শতাংশ পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে মাত্র ৬৭৮ জন। গতবছর কুমিল্লা বোর্ডে পাসের হার ছিল ৬৪ দশমিক ৪৯ শতাংশ। অর্থাৎ গতবারের তুলনায় এবার ১৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ শিক্ষার্থী কম পাস করেছে।
বোর্ড থেকে এবার মোট ১ লাখ ৩৭২ জন পরীক্ষা দিয়েছিল। এদের মধ্যে পাস করেছে ৪৯ হাজার ৭০৪ জন। এছাড়া বোর্ড থেকে তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কেউই পাস করতে পারেনি। ইংরেজিতেই ফেল করেছে ৩৮ শতাংশ শিক্ষার্থী।
চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষাতেও কুমিল্লা বোর্ডে ফলাফল বিপর্যয় ঘটে। এসএসসিতে এ বোর্ডে পাসের হার ছিল ৫৯ দশমিক ০৩ শতাংশ। বোর্ডে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ৭২.৭২ শতাংশ, মানবিক বিভাগ থেকে ৩৮.৩১ ও বাণিজ্য বিভাগ থেকে ৪৯.৬৩ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে।
অন্যদিকে, ইংরেজি ঝড়ে বিপর্যস্ত যশোর শিক্ষা বোর্ড। এবারের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় ৩৭ শতাংশ শিক্ষার্থী ইংরেজিতে পাস করতে পারেননি। যে কারণে গত বছরের তুলনায় এবার পাসের হার ও জিপিএ-৫—উভয় কমে গেছে।
ফলাফল বিশ্লেষণ করতে গিয়ে যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাধবচন্দ্র রুদ্র বলেন, ‘এ বছর ইংরেজি বিষয়ে শিক্ষার্থীরা বেশি খারাপ করেছে। অন্যান্য বছর যেখানে ইংরেজি বিষয়ে পাসের হার থাকে ৯০ শতাংশের ওপরে। এবার সেখানে মাত্র ৭২ দশমিক ৯৪ শতাংশ। যে কারণে সামগ্রিক ফলাফলে এর প্রভাব পড়েছে। একই সঙ্গে বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষার্থীরা পদার্থ ও উচ্চতর গণিত বিষয়ে ভালো করতে পারেনি। বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা ইংরেজি বিষয়ে ভালো করলেও এ দুটি বিষয়ে ধরা খেয়েছে। এ কারণে জিপিএ-৫-এর সংখ্যা গত বছরের তুলনায় এবার প্রায় অর্ধেকে নেমে গেছে।’
যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, এ বছর যশোর বোর্ড থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৯৫ হাজার ৬৯২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সব বিষয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে ৬৭ হাজার ২০০ জন। জিপিএ-৫ পাওয়ার কৃতিত্ব দেখিয়েছেন ২ হাজার ৪৪৭ জন পরীক্ষার্থী। মোট পাসের হার দাঁড়িয়েছে ৭০ দশমিক ০২ শতাংশ। যেখানে গত বছর ১ লাখ ৩০ হাজার ৫৭২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয় ১ লাখ ৮ হাজার ৯২৯ জন। জিপিএ-৫ পায় ৪ হাজার ৫৮৬ জন। মোট পাসের হার ছিল ৮৩ দশমিক ৪২ শতাংশ। এ বছর জিপিএ-৫ ও পাসের হার উভয় দিক থেকে যশোর শিক্ষা বোর্ডের ফল বিপর্যয় ঘটেছে।