উপমহাদেশের মুসলিম শাসন ও মধ্যযুগের বাংলা

মধ্যযুগের বাংলা

উপমহাদেশের মুসলিম শাসন ও মধ্যযুগের বাংলা

ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলামের আবির্ভাব শুরু হয় উমাইয়া খলিফা ওয়ালিদ বিন আব্দুল মালিকের রাজত্বকালে । তিনি ভারতীয় মহাদেশে মুসলিম শাসনকার্য পরিচালনার জন্য হাজ্জাজ বিন উইসুফকে নির্দেশ দিলে তিনি তাঁর জামাতা মুহম্মদ বিন কাসিমকে সিন্ধু বিজয়ের নির্দেশ দান করেন এবং কাসিম সিন্ধু প্রদেশের রাজা দাহিরকে পরাজিত করে ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলামের পতাকা উড়ান ।

  • সিন্ধু বিজয়ের মাধ্যমে ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠার পথ সুগম করেন – মুহম্মদ বিন কাসিম ।
  • মুহম্মদ বিন কাসিম সিন্ধু আক্রমণ করে বিস্তীর্ণ অঞ্চল দখল করেন – ৭১২ সালে (১৭ বছর বয়সে) ।
  • কোন মুসলিম সেনাপতি স্পেন বিজয় করেন – ওয়ালিদ বিন আব্দুল মালিকের সেনাপতি তারিখ বিন জিয়াদ ।
  • মুহম্মদ বিন কাসিম প্রথমে সিন্ধুর যে শহরে আক্রমণ করেন – দেবল শহর ।
  • সুলতান মাহমুদ গজনীর শসনভার গ্রহণ করেন – ৯৯৭ সালে ।
  • গজনীর সুলতান মাহমুদ (১০০০-১০২৭) সালের মধ্যে ভারতবর্ষ আক্রমণ করেন – ১৭ বার ।
  • সুলতান মাহমুদ গুজরাটের সোমনাথ মন্দিরটি আক্রমণ করেন – ১০২৬ সালে ।
  • সুলতান মাহমুদের সভাকবি ফেরদৌসি রচিত বিখ্যাত মহাকাব্যটির নাম – শাহনামা ।
  • পারস্যের কবি ফেরদৌসী ও জ্যোতির্বিদ আল বিরুনী অলংকৃত করেছিলেন – সুলতান মাহমুদের রাজসভা ।
  • তরাইনের প্রথম ‍যুদ্ধ সংঘটিত হয় – ১১৯১ সালে (যুদ্ধে পৃথ্বিরাজের কাছে মুহম্মদ ঘুরী পরাজিত হয়) ।
  • মুহম্মদ ঘুরী ও পৃথ্বিরাজ চৌহানের মধ্যে তরাইনের দ্বিতীয় যুদ্ধ সংঘটিত হয় – ১১৯২ সালে (যুদ্ধে পৃথ্বিরাজ পরাজিত ও নিহত হন) ।
  • ভারতবর্ষে সর্বপ্রথম মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠা করেন – মুহাম্মাদ ঘুরী (১১৯২ সালে) ।
  • ইয়েমেন থেকে আসা দ্বীনের যে মুজাহিদের তরবারী বাংলাদেশে সংরক্ষণ করা আছে – হযরত শাহজালাল (রহ.) ।
  • বিখ্যাত সুফী শাহপরান ছিলেন – হযরত শাহজালালেরে ভাগ্নে ও শিষ্য ।
  • প্রখ্যাত দরবেশ ও ইসলাম প্রচারক হযরত শাহজালাল (রহ:) যে সুলতানের শাসন আমলে বাংলায় আসেন – সুলতান শামসুদ্দিন ফিরোজ শাহের শাসনামলে ।
  • মধ্যযুগে ইসলামের বিশিষ্ট ধর্মপ্রচারক হযরত শাহ জালাল (রহ:) এর জীবনকাল – ১২৭১ সাল -১৩৪৬ সাল ।

উপমহাদেশের মুসলিম শাসন ও মধ্যযুগের বাংলা

  • যে শাসককে পরাজিত করে শাহজালাল (রহ:) সিলেটে আযান ধ্বনি দিয়েছেলেন – সিলেটের হিন্দু রাজা গৌরগোবিন্দকে ।
  • তুর্কি সাম্রাজ্যের দ্বীনের মুজাহিদ শাহজালাল (রহ:) যত জন শিষ্য নিয়ে ইসলাম প্রচারের জন্য ভারতবর্ষে আগমন করেন – ৩১৩ জন ।
  • ভারতীয় উপমহাদেশে স্থায়ীভাবে মুসলিম শাসনের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন – কুতুবউদ্দিন আইবেক ।
  • সাধারণ মানুষের প্রচুর পরিমাণে দানশীলতার জন্য তৎকালীন ঐতিহাসিকগণ কুতুবউদ্দিন আইবেককে যে উপাধি প্রদান করেছিলেন – লাখবক্স ।
  • কুতুবউদ্দিন আইবেক যে নির্মাণ শৈলির জন্য বিশিষ খ্যাতি অর্জন করেন – দিল্লির কুতুব মিনার নির্মাণের জন্য ।
  • সুলতান কুতুবউদ্দিন আইবেকের শাসনামল – ১২০৬-১২১০ সাল ।
  • বাংলায় মুসলিম শাসনের প্রাথমিক পর্যায় হিসেবে বিবেচনা করা হয় – ১২০৪ সাল- ১২৩৮ সাল পর্যন্ত ।
  • বাংলায় মুসলিম শাসনের আধিপত্য বিস্তারের সূচনা করেন – বখতিয়ার খলজী ।
  • বখতিয়ার খলজী বাংলা জয় করেন – ১২০৪ সালে ।
  • বাংলার প্রথম মুসলমান সুলতান বলা হয় – ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বিন বখতিয়ার খলজিকে ।
  • বখতিয়ার খলজি বাংলার ক্ষমতা দখল করেন – ১৭ জন সৈন্য নিয়ে অশ্ব বিক্রেতার বেশে লক্ষণ সেনের রাজধানী নদীয়া দখল করেন ।
  • দখলের পর নদীয়ার নাম পরিবর্তন করে তিনি নতুন নাম প্রবর্তন করেন – লক্ষণাবতী ।
  • লক্ষণ সেনের রাজধানী ছিল – বর্তমান দিনাজপুর শহরের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের ‘দেবকোট’ ।
  • ইতিহাস গবেষকগণ বাংলার প্রথম স্বাধীন সুলতান হিসেবে বিবেচনা করেছেন – বখতিয়ার খলজিকে ।
  • দিল্লির সালতানাতের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে বিবেচনা করা হয় – কুতুবউদ্দিন আইবেকের জামাতা সুলতান শামসুউদ্দিন ইলতুসমিশকে ।
  • সুলতান শামসুউদ্দিন ইলতুতমিশের শাসনামল – ১২১১সাল-১২৩৬ সাল পর্যন্ত ।

উপমহাদেশের মুসলিম শাসন ও মধ্যযুগের বাংলা

  • ভারতীয় মুসলিম শাসকদের মধ্যে প্রথম ধাতব মুদ্রা প্রচলন করেন – শামসুদ্দিন ইলতুতমিশ ।
  • দিল্লির রাজসিংহাসনে আরোহণকারী প্রথম মুসলিম নারী – সুলতানা রাজিয়া ।
  • সুলতানা রাজিয়া দিল্লির সিংহাসনে আরোহণকারী করেন – ১২৩৬ সালে ।
  • সুলতানা রাজিয়া ছিলেন – সুলতান শামসুউদ্দিন ইলতুতমিশের কন্যা ।
  • সুলতানা রাজিয়ার রাজত্বকাল – ১২৩৬ সাল-১২৪০ সাল ।
  • দিল্লির সুলতানদের মধ্যে ‘ফকির বাদশা’ নামে অধিক পরিচিত ছিলেন – সুলতান নাসিরউদ্দিন মাহমুদ ।
  • ‘বিশিষ্ট চল্লিশ চক্র’ নামে পরিচিত – ইলতুতমিশের ৪০ জন সেনাপতির সমন্বয়ে গঠিত দক্ষ বাহিনী ।
  • ভারতীয় সালতানাতে ‘সুলতান-ই আযম’ উপাধি ছিল – সুলতান শমসুদ্দিন ইলতুতমিশের ।
  • দিল্লি সালতানাতের যে বাদশা ‘আল কোরআন ও টুপি সেলাই করে জীবিকা নির্বাহ করতেন – সুলতান নাসির উদ্দিন মাহমুদ ।
  • যে সুলতানের শাসনামলে মুসলিম মাম্রাজ্য সর্বাধিক বিস্তার লাভ করে – সুলতান শামসুদ্দিন ফিরোজ শাহের আমলে ।
  • ‘ভারতের তোতা পাখি’ নামে পরিচিত ছিলেন – সুলতান গিয়াস উদ্দিন বলবনের সভাকবি আমির খসরু ।
  • সুলতান গিয়াস উদ্দিন বলবনের শাসনকাল – ১২৬৬ সাল-১২৮৭ সাল ।
  • সুলতান আলাউদ্দিন খলজিকে দিল্লির শ্রেষ্ঠ সুলতান হিসেবে অভিহিত করেন – মরক্কের পর্যটক ইবনে বতুতা ।
  • প্রথম মুসলিম শাসক হিসেবে সম্পূর্ণ দক্ষিণ ভারত জয় করেন – আলাউদ্দিন খলজী ।
  • যে সেনাপতির অসিম দক্ষতায় আলাউদ্দিন খলজী দক্ষিণ ভারত বিজয় করেন – মালিক কাফুর ।
  • সুলতান আলাউদ্দিন খলজীর শাসনামল – ১২৯৬ সাল-১৩১৬ সাল ।
  • দ্রব্যমূল্য ও বাজার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় প্রবর্তন করেন – আলাউদ্দিন খলজী ।
  • ফিরোজ শাহ তুঘলক দিল্লীর সিংহাসনে আরোহন করেন – ১৩৫১ সাল ।
  • তুঘলক বংশের অন্যতম শাসক ফিরোজ শাহ তুঘলকের আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থটির নাম – ফতোয়া-ই-ফিরোজশাহী ।
  • যে শাসক দিল্লি থেকে রাজধানী দেবগিরিতে স্থানান্তরিত করেছিলেন – মুহম্মদ বিন তুঘলক ।
  • ইবনে বতুতা যার শাসনামলে ভারতবর্ষে আগমন করেন – মুহম্মদ বিন তুঘলকের ।
  • সোনা ও রূপার মুদ্রার পরিবর্তে তামার প্রতীক মুদ্রার প্রচলন করেন – মুহম্মদ বিন তুঘলক ।
  • মুহম্মদ বিন তুঘলকের শাসনামল ছিল – ১৩২৫ সাল-১৩৫৯ সাল ।
  • তুঘলক বংশের সর্বশেষ সুলতান ছিলেন – সুলতান মাহমুদ শাহ ।

উপমহাদেশের মুসলিম শাসন ও মধ্যযুগের বাংলা

  • সমরকন্দের অধিপতি বিখ্যাত তুর্কিবীর তৈমুরলঙ ভারতবর্ষ আক্রমণ করেন – মাহমুদ শাহের আমলে ১৩৯৮ সালে ।
  • দিল্লির সালতানাতের পতন ঘটে – ইব্রাহীম লোদীর পরাজয়ের মাধ্যমে ।
  • বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মধ্যযুগীয় মসজিদ – বাগেরহাটের ষাটগম্বুজ মসজিদ ।
  • খানজাহান আলী বাগেরহাটে ইসলামের পতাকা উত্তেলন করেন – হিন্দু রাজা গণেশকে পরাজিত করে ।
  • কান জাহান আলী বাগেরহাটে ইসলাম প্রচার করতে এসেছিলেন – সুলতান নাসিরউদ্দিন মাহমুদের শাসনামলে ।
  • মুসলিম ধর্মপ্রচারক খানজাহান আলী জন্মগ্রহন করেন – ১৩৬৯ সালে দিল্লিতে ।
  • ষাট গম্বুজ মসজিদকে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐহিহ্যের অংশ হিসেবে ঘোষণা করে – ১৯৯৩ সালে ।
  • ইবনে বতুতা বাংলা সফর করেন – ফকরুদ্দিন মুবারক শাহরে শাসনামলে (১৩৩৮ খ্রি:)
  • ইতিহাস খ্যাত ‘আলাই দরওয়াজা’ নির্মিত হয় – আলাউদ্দিন খলজির শসনামলে ।
  • সুলতান আলাউদ্দিন খিলজির প্রধন সেনাপতি ছিলেন – জাফর খান ।
  • ‘রক্তপাত ও কঠোর শাসন নীতি’ যার আমলের প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল – গিয়াস উদ্দিন বলবনের ।
  • সোনার গাঁয়ের স্বাধীনতার সূচনাকারী – ফকরুদ্দিন মুবারক শাহ ।
  • ইলিয়াস শাহী বংশের প্রতিষ্ঠাতা – শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ ।
  • যে মুসলিম শাসক সর্বপ্রথম সমগ্র বাংলার অধিপতি নির্বাচিত হন – ইলিয়াস শাহ ।
  • শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহের শাসনামল – ১৩৪২ সালে-১৩৫৩ সাল ।
  • তিনি এই ভূখন্ডকে যে নামে অভিহিত করেছিলেন – মূলক-ই-বাঙ্গালাহ ।
  • মালদহের পান্ডুয়ার বিখ্যাত ‘আদিনা মসজিদ’ নিমার্ণ করেন – ইলিয়াস শাহের পুত্র সিকান্দর শাহ ।
  • ইলিয়াস শাহ সাতগাঁও অঞ্চল দখল করেন – ১৩৪৫ সালে ।
  • বাংলার যতটি জনপদকে ইলিয়াস শাহ একত্র করেছিলেন – ছয়টি জনপদকে ।
  • যে সুলতান ‘শাহ-ই-বাঙ্গালাহ’ উপাধি ধারণ করেন – শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ ।
  • ইরানের কবি হাফিজের সাথে সাক্ষাৎ হয়েছিল – গিয়াসউদ্দিন আজম শাহের ।
  • সুলতান আমলে বাংলার রাজধানী ছিল – প্রাচীন গৌড় নগরী ।
  • বাংলাকে ‘দোযখপূর্ণ নিয়ামত’ বা ধন সম্পদপূর্ণ নরক’ বলে অভিহিত করেন – ইবনে বতুতা ।

উপমহাদেশের মুসলিম শাসন ও মধ্যযুগের বাংলা

  • ফকরুদ্দিন মুবারক শাহের রাজধানী ছিল – সোনারগাঁ ।
  • প্রাচীন ‘গৌড়’ যে সুলতানের রাজধানী ছিল – শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহের ।
  • গৌড়ের ছোট সোন মসজিদ ও গুমতিদার নির্মাণ করেন – আলাউদ্দিন হুসেন শাহ ।
  • ‘বাংলাদেশের আকবর’ বলা হতো – আলাউদ্দিন হুসেন শাহকে ।
  • হুসেন শাহী বংশের শ্রেষ্ঠ সুলতান আলাউদ্দিন হুসেন শাহের শাসনাম – ১৪৯৩ সাল-১৫১৯ সাল ।
  • আলাউদ্দিন হুসেন শাহকে রাজধানী ছিল – গৌড়ের ‘একাডালা’ নামক স্থান ।
  • সুলতান আলাউদ্দিন হুসেন শাহকে ‘নৃপতি তিলক ও জগৎভূষণ’ উপাধি প্রদান করেন – রাজ্যের হিন্দু প্রজাগণ ।
  • মুসলিম শাসনের ইতিহাসে ‘স্বর্ণযুগ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয় – আলাউদ্দিন হুসেন শাহের শাসনামলকে ।
  • গৌড়ের ‘কদমরসুল’ ‘বড় সোনা’ মসজিদটি নির্মাণে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন – নাসির উদ্দিন নুসরাত শাহ ।
  • বাংলা গজল ও সুফী সাহিত্য সৃষ্টি হয়েছিল – হোসেন শাহী বংশের শাসনামলে ।
  • নুসরাত শাহের পুত্র আলাউদ্দিন ফিরোজ শাহকে হত্যা করেন – গিয়াসউদ্দিন মাহমুদ শাহ ।
  • বাংলা মাহিত্যের পৃষ্ঠপোষকতা প্রদানের জন্য বিশেষভাবে খ্যাতি অর্জন করে্ন – সুলতান আলাউদ্দিন হুসেন শাহ ।
  • কবি মালাধর বসু ও বিজয় গুপ্ত যে শাসকের রাজকাবি ছিলেন – আলাউদ্দিন হোসেন শাহের ।
  • শ্রীকর নন্দী মহাভারতের একাংশ বাংলাতে অনুবাদ করেছিলেন – আলাউদ্দিন হোসেন শাহের পৃষ্ঠপোষকতায় ।
  • সুলতান গিয়াসউদ্দিন মাহমুদ শাহকে পরাজিত করে বাংলা হতে সুলতানি শাসনের অবসান ঘটান – শেরখান ১৫৩৮ সালে ।
  • শেরখান মুঘল সম্রাট হুমায়ুনকে কনৌজ নামক স্থানে ১৫৪০ সালে যুদ্ধে পরাজিত করে যে উপাধি ধারণ করেন – ‘শের শাহ’ ।
  • গ্রান্ডট্রাংক রোড বা সড়ক-ই-আজম চালু করেন – শের শাহ ।
  • গ্রান্ড ট্রাংক রোডটির অবস্থান ছিল – বাংলাদেশের সোনারগাঁ হতে পেশোয়ার, আগ্রা এবং দিল্লী হয়ে সিন্ধু প্রদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত ।
  • বঙ্গ, ‘পাক’ এবং ভারত উপমহাদেশে যার শাসন আমলে ডাক সার্ভিস ‘ঘোড়ার ডাক’ চালু হয় – শের শাহের আমলে ।
  • শের শাহ বাংলাতে যে আফগান রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সেটা – শুর বংশ নামে পরিচিত ।
  • ভারতবর্ষে ‘দম’ নামক বিশেষ মুদ্রার প্রচলন করেন – শের শাহ ।

উপমহাদেশের মুসলিম শাসন ও মধ্যযুগের বাংলা

  • শূর বংশীয় শাসনের শ্রেষ্ঠ শাসক শেরশাহের রাজত্বকাল – ১৫৪০ সাল-১৫৪৫ সাল ।
  • শূর সম্রাজ্যের অবসান ঘটে – হুমায়ূন কর্তৃক সিকান্দর শাহ-এর পরাজয়ের মধ্য দিয়ে ১৫৫৫ সলে ।
  • মধ্যযুগে মুসলিম শাসনের যুগ ছিল বিদ্রোহ বিশৃঙ্খলায় পরিপূর্ণ । একারণে বাংলাকে বলা হত – বুলগাকপুর বা বিদ্রোহের নগরী ।
  • মধ্যযুগের বাংলাকে ‘বিদ্রোহের নগরী’ বা বুলগাকপুর বলে আখ্যায়িত করেছিলেন – বিখ্যাত ঐতিহাসিক জিয়াউদ্দিন বারানী ।
  • বাংলায় মুসলিম শাসকদের মধ্যে প্রধম নৌ-বাহিনী গঠন করেন – গিয়াসউদ্দিন ইওজ খলজি ।
  • বাংলার প্রথম তুর্কী শাসনকর্তা ছিলেন – নাসিরউদ্দিন মাহমুদ ।
  • মরক্কোর বিখ্যাত পর্যটক ইবনে বতুতা ভারতবর্ষে আগমণ করেন – ১৩৩৩ সালে ।
  • ইবনে বতুতা তাঁর যে গ্রন্থে বাংলার ধনসম্পদ ও অর্থনৈতিক অবস্থার বর্ণনা করেছেন – ‘কিতাবুল রেহেল’ নামক গ্রন্থে ।
  • ফখরুদ্দিন মুবারক শাহের মৃত্যুর পর যে সোনারগাঁয়ের শাসনভার গ্রহণ করেন – ফখরুদ্দিনের পুত্র ইখতিয়ার উদ্দিন গাজী শাহ ।
  • শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ যাকে পরাজিত করে লখনৌতির সিংহাসন দখল করেন – লখনৌতির শাসনকর্তা আলাউদ্দিনকে ।
  • এ দেশের সরকারি কাজে ‘ফারসি’ ভাষা চালু করেছিলেন – রাজা টোডরমল ।
  • চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাতে অবস্থিত বিখ্যাত ‘বার দুয়ারী’ মসজিদটি নির্মাণ করেন – নুসরত শাহ ।
  • কবি শ্রীধর রচিত ‘বিদ্যাসুন্দর’ কাব্যটি যে সুলতানের শাসনামলে রচিত – নুসরত শাহের শাসনামেলে ।
  • শ্রীচৈতন্যের আবির্ভাব ঘটেছিল যে সুলতানের শাসনামলে – সুলতান আলাউদ্দিন হুসেন শাহের সময় ।
  • বিখ্যাত সাহিত্যিক মালাধর বসুকে ‘গুণরাজ খান’ উপাধি প্রদান করেছিলেন – আলাউদ্দিন হুসেন শাহ ।
  • মধ্যযুগের যে মুসলিম শাসককে বাংলার প্রথম জনক বলা হত – শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহকে ।

 

 

 

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *