পানির অপর নাম জীবন।শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য পানির কোন বিকল্প নেই।আমরা যতই কোল্ড ড্রিংস বা শরবত খাইনা কেন আমাদের তৃষ্ণা মেটাতে এক ঢোক হলেও পানিই প্রয়োজন। সত্যি বলতে পানি ছাড়া কোন প্রাণীই বাঁচতে পারে না।
এবার আসা যাক কসুম গরম পানি কথায়, আমরা অনেকেই হয়তো জানি না কুসুম গরম পানি খাওয়ার উপকারিতা কথা। কুসুম গরম পানি আমাদের প্রতিদিন বার বার করেই খাওয়া উচিত । গরম পানি পান করার নানা উপকারীতা আছে। আসুন যেনে নিয়ে কুসুম গরম পানি কেন আমাদের খাওয়া উচিত :
ওজন কমানে সাহায্য করে :
শরীরের অতিরিক্ত মেদ বা চর্বি কমাতে কুসুম গরম পানির জুরি নেই।গরম পানি শরীরের তাপমাত্রা বারায়, এতে ম্যাটাবলি রেট বাড়ে ও বিপাক ক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পাদনে সহায়তা করে। এতে মেদ কমে অর্থাৎ ক্যালোরি লস হয় । তবে খালি পেটে লেবু ও মধু মিশিয়ে খেলে ভালো কাজ হয়।
গ্যাসটিকের সমস্যা দূর করে :
গ্যাসটিক বা অ্যাসিডিটির সমস্যা দূর করতে গরম পানি কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে :
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে গরম পানির বিকল্প নেই।গরম পানি খেলে পেট পরিস্কার হয় ও এই সমস্যার সমাধানও হয়।
শিরা ও ধমনীর মধ্যকার রক্তসঞ্চালনের গতি স্বাভাবিক করে :
গরম পানি পান করলে শিরা ও ধমনীর মধ্যে রক্তসঞ্চালন ভালো হয়।
বাত ব্যথা দূর করে :
গরম পানি পান করার ফলে শরীরের তাপমাত্রা ক্রমশ বাড়ে। ফলে ঘামের সাথে বর্জ্য পদার্থ বের হয়ে যায়।ফলে ব্যথা বোধও কম হয়।
অকালে বয়সের ছাপ দূর করে : বয়সের ছাপ দূর করতে গরম পানি খুবই উপকার। এটি শরীর থেকে বর্জ্য বের করে এবং ত্বকের স্থিস্তিস্থাপক রক্ষা করে এবং শরীরের বর্জ্য বের করে ফলে ত্বকের কোন কোষ আটকে থাকে না। ত্বকের কোষগুলো ঠিকঠাক থাকে, আর সহজে বয়সের ছাপ পরে না।
বদহজম ও অম্বলের সমস্যা দূর করে :খাবার খাওয়ার মনিট ১০ আগে বা খাবার খওয়া ৩০ মিনিট পর এক গ্লাস কুসুম গরম পানি পান করলে বদহজম ও অম্বলের মত সমস্যা নিমেষেই দূর হয়।
ব্রণ ও ফুসকুড়ির সমস্যা দূর করে : গরম পানি পান করলে শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ বের হয়ে যায় ফলে ব্রণ ও ফুসকুড়ি হবার সম্ভাবনা কমে যায়।
পেট পরিস্কার করে : অনেক সময় পেট ভার ভার লাগে, অস্বস্তি হয়।তখন গরম পানি পান করলে পেট পরিস্কার হয় এবং অস্বস্তিও কমে।
মাসিকের সমস্যা দূর করে : গরম পানি পেটের পেশীকে শান্ত করে এর ফালে, মেয়েদের মাসিক জনিত সমস্যা সমাধান করে।
চুলের স্বাস্থ্য ও জীবনীশক্তি উন্নত করে : গরম পানি পান করলে চুলের গড়ার স্নায়ু স্বাভাবিক থাকে এতে চুলের গোরা শক্ত হয় ও চুল উজ্জ্বল হয়।
গলা ও নাসারন্ধ্রের মধ্য সম্বন্বয় সাধন করে : গলায় ও নাকে কোন সমস্যা হলে গরম পানির মাধ্যমে তা দূর করা যায়।ঠান্ডা লাগলে, গলা ব্যথা করলে, নাক বন্ধ থাকলে গরম পানি পান করলে কার্যকরী ফলাফল পাওয়া যায়।
শরীরের টক্সিন দূর করে : গরম পানি পানে আগেই বলেছি শরীরের অপ্রয়োজনীয় বর্জ্য বের হয়ে যায় ফলে ক্ষতিকর টক্সিন ও বের হয়ে যায়।
উপরের আলোচনা থেকে এটাই স্পষ্ট যে, কুসুম গরম পানি খাওয়ার কোন বিকল্প নাই।
BY
ত্রোপা চক্রবর্তী