ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শেষ দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচেই হেরেছে বাংলাদেশ দল। সামনে শ্রীলঙ্কায় ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট—নিদাহাস ট্রফির পরীক্ষা। ৬ মার্চ থেকে শুরু হবে এ আসরে শ্রীলঙ্কা ছাড়াও বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত। অর্থাৎ মোস্তাফিজ-মিরাজদের সামনে বিরাট কোহলিকে সামলানোর চ্যালেঞ্জ। কিন্তু ভারতীয় অধিনায়ক এ টুর্নামেন্টে খেলবেন কিনা, তা এখনো নিশ্চিত নয়।
দক্ষিণ আফ্রিকায় কঠিন সিরিজের পর কোহলি শ্রীলঙ্কার এই টুর্নামেন্টের সময় বিশ্রাম নিতে পারেন। টুর্নামেন্ট সামনে রেখে জন্য শিগগিরই স্কোয়াড ঘোষণা করবে এমএসকে প্রসাদের নেতৃত্বাধীন নির্বাচকেরা। পিটিআইকে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) এক সূত্র জানিয়েছে, কোহলি এ টুর্নামেন্টে খেলবেন কি না সে ব্যাপারে তিনি নিজেই সিদ্ধান্ত নেবেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেই সূত্র পিটিআইকে বলেছে, ‘বিরাট বিশ্রাম চাইলে তা পাবে। টুর্নামেন্টে খেলা কিংবা না খেলার বিষয়টি একান্তই তাঁর সিদ্ধান্ত। তবে কোনো কিছুই নিশ্চিত নয়। এমনও হতে পারে সে টুর্নামেন্টটি খেলতে পারে কারণ এটাই মৌসুমের শেষ আসর। টুর্নামেন্ট শেষে দিন পনেরো ছুটির পরই শুরু হবে আইপিএল।’
আগামী মৌসুমে ব্যস্ত সূচি থাকায় ত্রিদেশীয় সিরিজে ভুবনেশ্বর কুমার ও জাসপ্রীত বুমরাহকে বিশ্রাম দিতে পারে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। প্রধান নির্বাচক প্রসাদ অবশ্য কোহলির সম্ভাব্য বিশ্রাম নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে তিন সংস্করণ মিলিয়ে এ পর্যন্ত সবগুলো ম্যাচই খেলেছেন কোহলি। টানা পরিশ্রম বিবেচনায় তাই ত্রিদেশীয় সিরিজে কোহলিকে বিশ্রাম দিতেই পারে টিম ম্যানেজমেন্ট। কারণ আইপিএল শেষে শুরু হওয়া নতুন মৌসুমে ৬৩টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে হবে ভারতীয় দলকে।
বাংলাদেশের বিপক্ষে এ পর্যন্ত চারটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৬৪.৫০ গড়ে এক ফিফটি সহ ১২৯ রান করেছেন কোহলি। ন্যূনতম ৪ ম্যাচ খেলেছেন, এমন প্রতিপক্ষ বিবেচনায় বাংলাদেশ কিন্তু কোহলিকে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার চেয়ে ভালোভাবে সামলেছে। পাকিস্তানের বিপক্ষে ৬ ম্যাচে ভারতীয় অধিনায়কের ব্যাটিং গড় ৮৪.৬৬ এবং শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৪ ম্যাচে ৯৪.৩৩। ত্রিদেশীয় সিরিজে শ্রীলঙ্কা ও ভারতের বিপক্ষে দুটি করে ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।