জলপাইয়ের তেল সম্পর্কে আমরা কম বেশি সকলেই পরিচিত। খুবই উপকারী ও স্বাস্থ্যকর তেল এটি। একে ওলিভওয়েলও বলা হয়। শুধুমাত্র রান্নায়ই না এই তেল আমাদের ত্বকের ও চুলের জন্যও খুবই উপকার। বর্তমানে আধুনিক চিকিৎসায় ডাক্তাররা রোগীদের ওলিভওয়েলে রান্না খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
এতে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, ফাইবার, ভিটামিন – ই, ভিটামিন- সি ইত্যাদি।
★ নিম্নে জলপাই তেলের উপকারিতা সমূহ দেয়া হলো :
১/ জলপাইয়ের তেল ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। তাই এই তেল ত্বকের ইনফেকশন ও অন্যান্য ক্ষত সারাতে বেশ কার্যকর।
২/ জলপাইয়ের তেলে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট । যা মসৃন ত্বক ও মজবুত চুলের জন্য খুবই উপকারী। তাই নিয়মিত জলপাইয়ের তেল খেলে ত্বক হয় নমনীয়।
৩/ এই তেল হজম শক্তি বাড়াতে খুবই উপকার। তাই যারা ওজন কমাতে চাচ্ছের তাদের জব্য এই তেল খুবই উপকার।
৪/ এই তেলে আয়রনের মাত্রা অনেক বেশি । ফলে এটি রক্ত স্বল্পতা দূর করে।
৫/ জলপাইয়ের তেলে আছে ভিটামিন – ই।যা ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
৬/ যেহেতু এই তেল খেলে হজমশক্তি বাড়ে তাই পেটও পরিস্কার থাকে। তাই যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য উপকার।
৭/ কালো রঙ্গের জলপাই চোখের জন্য খুবই উপকার। কারন এতে রয়েছে ভিটামিন – এ। এটির অভাবে আমাদের রাত কানা রোগ হয়, গ্লুকোমার মত চোখের সমস্যাও দেখা দেয়। এক কাপ কালো জলপাই থেকে আমাদের শরীরের দশ ভাগের এক ভাগ ভিটামিন-এ পাওয়া যায়। তাই এটি আমাদের চেখের জন্য দারুন উপকারী।
৮/ মানব শরীরকে সুস্থ ও সবল রাখার জন্য খাদ্যের প্রয়োজন। তেমনি চুলপর স্বাস্থ্যের জন্যও খাদ্যের প্রয়োজন। সুতরাং চুলের খাদ্য হিসাবে জলপাই তেল খুবই উপকার।
৯/ গবেষণায় দেখা গেছে যে, প্রতিদিন দুই চামচ ওলিভওয়েল তেল সপ্তাহ খানেক খেলে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে আর ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ে।
১০/ ভঙ্গুর নখ আর নখের চামড়ার বাহিরের স্তর সুস্থ, সুন্দর, উজ্জ্বল ও কোমল রাখত জলপাইয়ের তেল আদর্শ।
১১/ যাদের ঠোঁট শুকিয়ে যায় ও ঠোঁট ফোটে তারা প্রতিদিন রাতে এক ফোঁটা ঠোঁটে লাগিয়ে ঘষে নিলে ঠোঁট শুকিয়ে যাবার প্রোবনতা দূর হয় এবং কালচে ভাব দূর হয়।
১২/ নিয়মিত জলপাইয়ের তেল খেলে পিত্ত থলিতে পাথড় হবার সম্ভবনা কমে যা।
১৩/ গ্যাসটিকের সমস্যা দূর করতে দারুন কার্যকর এই জলপাইয়ের তেল।
প্রতিকারের আগে প্রতিরোধই উত্তম। মানব শরীর হলো একটি যন্ত্র। তাই এই শরীর নামক যন্ত্রটিকে সুস্থ্য সবল রাখার জন্য জলপাই তেল ব্যবহার করা আবশ্যক।
BY
ত্রোপা চক্রবর্তী