এক ওভারের ম্যাজিক। শেষ ওভারে টানা চার বলে চার উইকেট নিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। হ্যাটট্রিকসহ টানা চার উইকেট। নিজের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে বোলার হিসেবে যে কোনো পর্যায়ে এই একটি স্বাদই নেয়ার বাকি ছিল মাশরাফির। অবশেষে সেই মাহেন্দ্রক্ষণটিরই জন্ম দিলেন বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক। শেষ ওভারের দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ এবং পঞ্চম বলে টানা চারটি উইকেট নিলেন মাশলাফি বিন মর্তুজা।
তার এই বিধ্বংসী বোলিংয়েই উড়ে গেলো অগ্রণী ব্যাংক। উড়ে যাওয়াই তো। যেখানে জয়ের জন্য ১৩ রান প্রয়োজন শেষ ওভারে। হাতে উইকেট চারটি। টি-টোয়েন্টি স্টাইলে খেললে অনায়াসে জয় পাওয়া সম্ভব। সেখানে একা এক বোলার যদি টানা চারটি উইকেট নিয়ে নেন, তাহলে সেটাকে উড়ে যাওয়া বলাই তো শ্রেয়। যদিও আবাহনীর কাছে অগ্রণী ব্যাংকের পরাজয় ১১ রানে।
ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নাজমুল হোসেন শান্তর দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ২৯০ রানের বিশাল স্কোর গড়ে তোলে আবাহনী। ১২৩ বলে অপরাজিত ১৩৩ রানের ইনিংস খেলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ১১টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৩টি ছক্কার মার ছিল তার ইনিংসে। মোহাম্মদ মিঠুন করেন ৪৬ রান। নাসির হোসেন ২৫, সাইফ হাসান ২৪, এনামুল হক বিজয় করেন ২৩ রান।
জবাব দিতে ব্যাট করতে নেমে ওপেনার আজমির আহমেদ ২১ এবং সাইমুন আহমেদ ৬ রান করে আউট হয়ে গেলেও তৃতীয় উইকেটে শাহরিয়ার নাফীস এবং পাকিস্তানি রাজা আলি দার ১৪৬ রানের বিশাল জুটি গড়েন। জয়ের সম্ভাবনা জেগে ওঠে অগ্রণী ব্যাংক শিবিরে।
টানা চার বলে চার উইকেট নিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা
কিন্তু পড়ন্ত বিকেলে ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে মাশরাফি ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেলো অগ্রনী ব্যাংকের ব্যাটিং লাইনআপ! বিশেষ করে শেষ চার উইকেট হারালো তারা শেষ ওভারেই। জয়ের জন্য শেষ ওভারে অগ্রনী ব্যাংকের প্রয়োজন ছিল ১৩ রান। হাতে তখনও ৪ উইকটে। এমন সময়ই বোলিং করতে এসে ম্যাচ ভাগ্য একাই নির্ধারণ করে দেন মাশরাফি। ফলে ১১ রানের দারুণ এক জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আবাহনী।
এর আগে প্রথম স্পেলে ৬ ওভার বল করে ২২ রান দিয়ে কোনো উইকেট নিতে পারেননি মাশরাফি। দ্বিতীয় স্পেলে বোলিং করতে এসেই তিনি ফেরান ১২১ রান করা শাহরিয়ার নাফীসকে। নাফীসের আউটেই বদলে যায় পুরো পরিবেশ। ঘুরে যায় ম্যাচের গতি। এরপরের ওভারেই পাকিস্তানি জাহিদ জাভেদকে ফিরিয়ে দেন তিনি। শেষ ওভারে টানা নিলেন ৪ উইকেট। অথ্যাৎ, শেষ স্পেলে ৩.৫ ওভারে ২২ রান দিয়ে নিলেন ৬ উইকেট।