তুলসী পাতার ঔষধিগুন সম্পর্কে আমরা জানি  কি?

তুলসী পাতার ঔষধিগুন সম্পর্কে আমরা জানি  কি? আসুন জেনে নেই তুলসী পাতার গুনাগুন!

ঔষধি গুন সম্পূর্ণ তুলসী পাতার ব্যবহার আমাদের মানব শরীরের জন্য খুবই উপকারী। ছোট খাটো দেখতে গাছটিকে বাসার যে কোন রাখা যায়।বাসায় একটা তুলসী গাছ থাকা খুবই উপকার। এটি বিভিন্ন রকমের ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়া ও ফাঙ্গাস থেকে আমাদের রক্ষা করে।তুলসী পাতার

তুলসীপাতার রস জ্বর, সর্দি ও কাশিতে খুবই উপকার। তুলসীর পাতা কাঁচা চিবিও খাওয়া যায়।এছাড়াও চায়ের মধ্যে  তুলসীর কয়েকটা পাতা দিলে চায়ের টেষ্ট বেড়ে যায়।প্রতিদিন সকালে কয়েকটি তুলসীপাতা খেলে মুখের রুচি আসে।নিম্নে তুলসীর পাতা মানব শরীরের কি কি উপকারে আসে তা দেয়া হলো —-

গলা, মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যথা উপসম :

গরম পানিতে তুলসী পাতা দিয়ে সিদ্ধ করে সেই পানি খেলে ও গার্গেল করলে গলা ব্যথা যায়। তুলসী পাতার রস খেলে এর যা যা উপাদান আছে তার জন্য মাথা ব্যথা সহ শরীরের অন্যান্য অংশের ব্যথাও উপশম হয়।   

কিডনি সমস্যা দূর করে : 

কিডনির নানা সমস্যা নিরসনে তুলসীর রস খুবই উপকার। তাছাড়া কিডনিতে পাথর হবার সম্ভবনা দূর করে আর টানা কয়েক মাস খেলে কিডনিতে পাথর হলেও তা মূত্রের মাধ্যমেও বেড় হয়ে আসে।

বমি ও ডায়রিয়ায় তুলসীপাতার কার্কারীতা :

বার বার বমি হলে তুলসী পাতার রসের সাথে গোলমরিচ মিশিয়ে খেলে দারুন উপকার পাওয়া যায়।আর ডায়রিয়া হলে ১০/১২ টি পাতার রস খেলেও ডায়রিয়া কমে যায়। 

চোখের সমস্যা ও মুখের দূর্গন্ধ দূর করতে উপকারী :

চোখের সমস্যা দূর করতে সারা রাত তুলসীপাতা পানিতে ভিজিয়ে রেখে সেই পানি দিয়ে সকালে চেখ ধুলে উপকার পাওয়া যায়। আর মুখে দূর্গন্ধ হলে ৪/৫ টি তুলসী পাতা চিবিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায় । 

 

ত্বকের যত্নে উপকারী :

ত্বকের চাকচিক্য ও উজ্জ্বলতা বাড়াতে তুলসী পাতার রস উপকার। এতে ত্বক টানটান হয়, বলিরেখা পরে না আর ব্রণের সমস্যা দূর করে। মুখে যে কোন রকমের দাগ যেমন – বসন্তের দাগ, হামের দাস বা যে কোন রকমের কালো দাগে এই পাতার রস লাগালে দাগ দূর হয়।

সবুজ পাতার তুলসী গাছটা বেশি দেখা যায় কিন্তু কালো তুলসী গাছও আছে যা কৃঞ্চ তুলসী নামে পরিচিত।সুতরাং রোগ ব্যধি দূর করতে ও শরীরকে সুস্থ সবল রাখতে বাসায় একটি তুলসী গাছ রাখলে অনেক উপকার হয়। 

 

BY

ত্রোপা চক্রবর্তী

 

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *