দই অতি পরিচিত, সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর একটি খাবার।দই বড় ছোট সকলের কাছেই খুব প্রিয়।দইয়ে বেশ কিছু উপকারী উপাদান আছে।দই আমাদের হাতের কাছে যে কোন মিষ্টির দোকানে বা যে কোন কনফেকশনারির দোকানে পাওয়া যায়।এছাড়াবাড়িতেই আমরা খুব সহজেই দই তৈরি করে নিতে পারি। ডায়বেটি, হার্ট অ্যাটা, উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদি রোগের হাত থেকে বাঁচতে দইয়ের বিকল্প নাই।
দই যে সকল উপাদান রয়েছে সেগুলো হলো, ভিটামিন বি ৫, আয়োডিন, জিংক, পটাশিয়াম, ফসফরা, রিবোফ্লোবিন আর রয়েছে উপকারী ব্যাকটেরিয়া যা আমাদের শরীরের জন্য খুব উপকার।
★নিম্নে দই খাওয়ার উপকারিতা গুলো দেয়া হলো:
১/ পেট গরম হলে বা গ্যাসের সমস্যা হলে দই দিয়ে ঘোল তৈরি করে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
২/ দই পেটের ভিতরের ঘা সারাতে খুবই উপকার।
৩/ দই ত্বকে লাগালে ত্বক হয় মসৃন ও উজ্জ্ব।
৪/ টক দই চুলে দিলে খুশকি দূর হয় আর চুলও হয় মসৃন।
৫/ অনেকেই আছেন দূধ খেতে পারেন না গ্যাসের সমস্যা হয় তারা বিকল্প হিসাবে দই বিশেষ করে টক দইটা খেতে পারেন।
৬/ দইয়ে যে উপকারী ব্যাকটেরিয়া আছে তা হজমে সহায়তা করে।
৭/ দই ভিটামিন ও প্রোটিন সমৃদ্ধ যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় আর শরীর সুস্থ রাখে।
৮/ আমেরিকার হার্ট অ্যাসসিয়েশনের গবেষকদের মতে টক দই খেলে উচ্চ রক্তচাপ কমে। এতে রয়েছে পটাশিয়াম যা রক্ত চাপ কমায়।
৯/ প্রতিদিন দই কেলে হাড়ের গঠন ভালো হয় কারন দইয়ে যে ক্যালসিয়াম থাকে তা হাড় গঠনে সহায়ক।
১০/ টক দই আমাদের দেহের চর্বি কমাতে সহায়তা করে।
১১/ এক দই মানসিক চাপ ও অ্যাংজাইটি কমাতে সহায়তা করে।
১২/ দইয়ে রয়েছে ফসফরাস ও ক্যালসিয়াম যা আমাদের হাড়ের সাথে সাথে দাঁতেরও অনেক উপকার করে।
★ দই খাওয়ার কিছু সর্কতাও আছে। সেগুলো হলো :
- দই বেশি খাওয়া ঠিক না পেটের সমস্যা হবার সম্ভাবনা থাকে।
- বেশি পুরানো দই খাওয়াও উচিত না। কারন এতে ব্যাকটেরিয়াল ফুড পয়জন ও ফাঙ্গাল ফুড পয়জন হবার সম্ভাবনা থাকে।
- যাদের ঠান্ডার ধাত আছে তারা রাতে দই না খাওয়াই ভালো।
আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় অবশ্যই টক দই রাখা উচিত।দইয়ে রয়েছে মিনারেল যা শরীরের আদ্রতা ধরে রাখে আর শরীরকে করে সতেজ।
BY
ত্রোপা চক্রবর্তী