প্রথম ইনিংসের জন্য হয়তো খুব আফসোস করে বেড়াচ্ছেন দক্ষিণ আফ্রিকানরা। অস্ট্রেলিয়ার ৩৫১ রানের জবাবে যদি মাত্র ১৬২ রানে অলআউট না হতো, অন্তত আড়াইশ’ রানও করতে পারতো, তাহলে নিশ্চিত জয়ের সম্ভাবনা ছিল ডারবানের কিংসমিডে; কিন্তু ফ্যাফ ডু প্লেসির দলের সামনে সেই সম্ভাবনা এখন আর নেই।
দ্বিতীয় ইনিংসে তাদের সামনে জয়ের জন্য লক্ষ্য দাঁড়িয়েছে ৪১৭ রানের। অসি পেসের সামনে নিঃসন্দেহে এটা অনেক বড় লক্ষ্য। এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে এইডেন মারক্রাম যেভাবে প্রতিরোধ করে দাঁড়িয়েছিলেন, তিনি যদি আর দু’একজন সঙ্গী পেতেন, তাহলেও হতো।
নিশ্চিত জয়ের সামনে দাঁড়িয়ে অস্ট্রেলিয়ানরা। তাদের সামনে এখন বড় বাধা শুধুমাত্র কুইন্টন ডি কক। তিনি থেকে গেলেও সমস্যা নেই। কাল সকাল সকাল যদি বাকি উইকেটটা (মরনে মর্কেলকে) তুলে নেয়া যায়, তাহলে তো কোনো কথা নেই। জয় নিয়েই ঘরে ফিরতে পারবেন স্টিভেন স্মিথের দল। তবে, অপেক্ষাটা যদি দীর্ঘ হয়ে যায়, তাহলেই সমস্যা। মাটি কামড়ে ডি কক আর মর্কেল যদি প্রোটিয়াদের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন! ক্রিকেট তো গৌরবময় অনিশ্চতারই খেলা।
জয়ের সামনে দাঁড়িয়ে অস্ট্রেলিয়া
৪১৭ রানের লক্ষ্যে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে এক প্রান্তে মারক্রাম দাঁড়িয়ে থাকলেও অন্যরা ছিলেন শুধু আসা-যাওয়ার মিছিলে। ডিন এলগার (৯), হাশিম আমলা (৮), ডি ভিলিয়ার্স (০), ডু প্লেসিরা (৪) শুধু নামার জন্যই নেমেছিলেন। টেন্ডা ভাবুমা ৮৪ বল খেলে ৩৬ রান করে কিছুটা প্রতিরোধ গড়েন।
মারক্রামের সঙ্গে ভাবুমা গড়েন ৮৭ রানের জুটি। এই জুটিও যখন হ্যাজলউড ভেঙে দেন, তখন দাঁড়িয়ে যান কুইন্টন ডি কক। মারক্রামের সঙ্গে গড়েন ১৪৭ রানের বিশাল জুটি। দলীয় ২৮৩ রানের মাথায় মারক্রাম আউট হয়ে গেলে আবার অনিশ্চয়তায় ঢেকে যায় প্রোটিয়ারা। ভারনন ফিল্যান্ডার, কেশব মাহারাজ আর কাগিসো রাবাদারা ছিলেন শুধু আসা-যাওয়ার মিছিলে। ফিল্যান্ডারের অবদান মাত্র ৬ রান। বাকিদের খাতা শূন্য। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ২৯৩ রান নিয়ে চতুর্থ দিন শেষ করে প্রোটিয়ারা।
অসি পেসার মিচেল স্টার্কই ঝড় তুলেছেন বেশি। তিনি একাই নিয়েছেন ৪ উইকেট। ২ উইকেট নেন হ্যাজলউড। ১টি করে উইকেট নেন প্যাট কামিন্স আর মিচেল মার্শ।