করোনা পরিস্থিতির কারণে চলতি বছরের পঞ্চম শ্রেণির প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ( পিইসি) মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী (ইইসি), অষ্টম শ্রেণির জুনিয়র স্কুুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে ।
গত ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে । কয়েক দফা ছুটি বাড়িয়ে তা ৩১ আগষ্ট পর্যন্ত করা হয়েছে । গত ১ এপ্রিল থেকে শুরু হতে যাওয়া এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে । শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ১৫ দিন পর এই পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে পরিকল্পনা রয়েছে ।
করোনাভাইরাস স্থিতিশীল না হওয়ার কারণে পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির পাবলিক পরীক্ষা বাতিলের নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে । গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মূখ্য সচিব আহমদ কায়কাউসের উপস্থিতিতে শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিবের একটি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুই মন্ত্রণায়ের পৃথক দুটি সারসংক্ষেপ তৈরি হচ্ছে যা আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হতে পারে । দুই মন্ত্রণালয়ের নির্ভরযোগ্য সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষার সিনিয়র সচিব আকরাম আল হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীদের ঝুকির মধ্য ফেলে ক্লাস – পরীক্ষা নেওয়া হবে না । পরিস্থিতি যখন স্বাভাবিক হবে তখনই তারা স্কুলে যাবে । যেহেতু কবে প্রতিষ্ঠান খোলা যাবে তা আমরা জানি না। তাই একাধিক বিকল্প হাতে রেখে শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর পরিকল্পনা করা হয়েছে ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা গেছে সমাপনী পরীক্ষা না হলেও এই দুই স্তরের শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা নেয়া হবে । এই ফলের উপর ভিত্তি করে পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের একটি অংশকে মেধাবৃত্তি দেয়ার চিন্তার আছে । সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরের মধ্য প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া সম্ভব হলে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে ডিসেম্বরের মধ্যে তা সম্ভব না হলে শিক্ষার্থীদের পরবর্তী শ্রেণিতে ‘অটো – পাস’ দিয়ে তুলে দেয়া হবে । এই উভয় ক্ষেত্রেই পাঠ্যবই বা সিলেবাসের যে অংশটুকু পড়ানো সম্ভব হবে না তার অত্যাবশকীয় পাঠ পরের শ্রেণিতে দেয়া হবে।