কলা আমাদের অতি পরিচিত। এটি পাকলে সুস্বাদু ও পুষ্টিকর ফল আর কাঁচা অবস্থায় সবজি হিসাবে খাওয়া হয়। গবেষনায় দেখা গেছে পেট খারাপের মত রোগের চিকিৎসায় কাঁচা কলা কার্যকর ভূমিকা রাখে। এছাড়াও আরও জটিল কিছু রোগের চিকিৎসায় কাঁচা কলার কোন বিকল্প নাই।
কাঁচা কলায় রয়েছে, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, ভিটামিন-বি৬, ভিটামিন-সি সহ আরও নানা রকম পুষ্টিকর উপাদান।
★ কাঁচা কলার উপকারী গুন সমূহ আলোচনা করা হলো —
১/ গবেষণায় দেখা গেছে যে ,কাঁচা কলায় যে উপাদান রয়েছে তা শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
২/ কাঁচা কলা আমাদের শরীরের ক্ষতিকর টক্সিক বের করে দিতে সাহায্য করে। এর ফলে মানসিক অবসাদ দূর করতে সহায়তা করে।
৩/ কাঁচা কলায় রয়েছে প্রচুর পরিমান ফাইবার। আর এটি আমাদের হজম ক্ষমতা বাড়ায়।
৪/ কাঁচা কলা ওজন নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করে।এটি হজম শক্তি নিয়ন্ত্রণ করে ফলে শরীরে কম পরিমান ক্যালরি প্রবেশ করে ।
৫/ শুধু মাত্র পেটের সমস্যাই নয় গ্যাসের সমস্যা সমাধানেও কাঁচা কলা খুবই উপকার।
৬/ কাঁচা কলায় আছে পটাশিয়াম যা রক্তনালী ও ধমনীর চাপ কমিয়ে উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। ফলে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে।
৭/ কাঁচা কলায় রয়েছে প্রচুর পরিমান খনিজ উপাদান। ফলে ডায়রিয়া ও এর যত রকম লক্ষণ সহ যেমন – বমি, মাথা ব্যথা ও দূর্বলতা ভাব দূর করে।
৮/ প্রতিদিনের খাবার তালিকায় কাঁচা কলা বৃকের সমস্যা দূর করে এবং কিডনির ক্যান্সারও দূর করে।
৯/ কাঁচা কলা রক্তে ইন্সুলিন নিসরণে সহায়তা করে এবং আঁশ জাতীয় খাবার হওয়ায় রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
১০/ ডায়বেটিসের রোগীদের শর্করা রয়েছে এই রকম খাবার কম খেতে বলা হয়। কাঁচা কলায় শর্করার মাত্রা কম এবং প্রচুর আঁশ জাতীয় খাবার। তাই চিকিৎসকরা ডায়বেটিস রোগীদের কাঁচা কলা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন ।
১১/ কাঁচা কলায় থাকা ম্যাগনেসিয়া ও ফসফরাস দেহের হাড় ক্ষয় রোধ ও হাড় মজবুত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
সবজি হিসাবে কাঁচা কলা খুবই উপকারী তবে এতে প্রচুর আঁশ থাকায় যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে তাদের না খাওয়াই ভালো।এটি অত্যন্ত পুষ্টিগুন সম্পূর্ণ সবজি।এটি রক্তে হিমোগ্লোবিন সরবরাহ করে এবং অক্সিজেন সরবরাহ করে।তাই কাঁচা কলার গুনের শেষ নেই।
BY
ত্রোপা চক্রবর্তী