ঘি অতি পরিচিত দুগ্ধজাত খাবার।দুধের সর বা মাখন দিয়ে তৈরি করা হয় ঘি।ঘরেও ঘি তৈরি করা যায়।শীতের দিনে শরীর সুস্থ রাখতে ঘি দারুণ উপকারী। সর্দি কাশি শারীরিক দূর্বলতা দূর করতে ঘি খুবই উপকার। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে ঘি এর কার্যকারীতা ও উপকারিতা সম্পর্কে বলা হয়েছে। সারা বিশ্ব ঘিয়ের কদর রয়েছে।
ঘিতে যে সকল উপাদান রয়েছে সেগুলো হলো –
ওমেগা–৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ওমেগা–৯ ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন- এ, ভিটামিন- ই , খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
১/ ঘিয়ের মধ্যে থাকা মিডিয়াম চেন ফ্যাটি অ্যাসিড যা খুব এনার্জি বাড়ায়। অধিকাংশ অ্যাথলিট দৌড়নোর আগে ঘি খান। এর ফলে শক্ত পাওয়া যায় ও ওজনও কমে।
২/ ঘিতে রয়েছে বাটারিক এসিড। যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
৩/ গর্ভকালীন সময় ঘি খাওয়া ভালো। এতে শিশুর মস্তিষ্কের সুষ্ঠ বিকাস হয়।
৪/ ঘি চুল পড়া প্রতিরোধ করে এবং চুলকে করে নরম ও উজ্জ্ব। তাই প্রতিদিন খালি পেলে ঘি খাওয়া উচিত।
৫/ ঘিতে রয়েছে উপকারী কোলেস্টেরল, যা শরীরের জন্য খুবই স্বাস্থ্যকর।
৬/ ঘিতে রয়েছে ওমাগা- ৬ এবং ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড শরীর এবং মস্তিষ্ককে চাঙ্গা রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।নিউট্রিশনিস্টদের মতে নার্ভের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে ও ব্রেন পাওয়ারের উন্নতিতে ঘি-এর কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে।
৭/ ঘিতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
৮/ আধুনিক গবেষণাও বলছে ঘি খেলে পজিটিভিটি বাড়ে। কনশাসনেস উন্নত হয়।
৯/ ঘি ত্বকে প্রাকৃতিক ভাবে উজ্জ্বল করে ও ত্বকে ভালো রাখতে সাহায্য করে। ঘিয়ে ত্বক পুর্ণগঠনের ক্ষমতা রয়েছে এবং ত্বকে ময়েশ্চার করে।
১০/ ঘিতে রয়েছে ভিটামিন – কে। যা ক্যালসিয়ামের সাথে মিশে হাড়ের স্বাস্থ্য ও গঠন ঠিক রাখে।
১১/ ত্বকের ক্ষত, প্রদাহ, পোড়া দাগ মিটাতে ঘি খুবই কার্যকরী।
১২/ ঘিতে রয়েছে ভিটামিন – ই। তাই নিয়মিত ঘি খেলে অবটিক নার্ভের উন্নতি হয়। ফলে এতে আমাদের দৃষ্টিশক্তি ভালো হয়।
১৩/ ঘিতে রয়েছে ন্যাচারাল লুব্রেকেটিং উপাদান।যা কোষ্ঠকাঠিন্য রেগীদের জন্য খুবই উপকার।
১৪/ ঘিতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি শরীরে উপস্থিত ফ্রি রেডিকলদের ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। ফলে ক্যান্সার সেল জন্ম নেয়ার ক্ষমতা হ্রাস পায়।
১৫/ দুধ ও দুধ জাতীয় খাবারে যাদের সমস্যা হয় তারা ঘি নিশ্চিন্তে খেতে পারেন । ঘি শরীরকে করে শক্তিশালী ও অনেক এনার্জিটিক।
★ ঘি যখন অতিরিক্ত পরিমানে খাওয়া হয় তখন তা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। অনেকের মতে হার্টের রোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস অথবা অতিরিক্ত ওজনের সমস্যায় যারা ভুগছেন ঘি খাওয়া উচিত না।
তাই ঘি খেয়ে উপকৃত হতে চাইলে অবশ্যই পরিমিত পরিমানে ঘি খাওয়া উচিত। তাই প্রতিদিনের খ্যাদ্যাভাসে সামান্য ঘি রাখা ভালো।
BY
ত্রোপা চক্রবর্তী