শুরুতে হতাশা, মাঝ পথে জেগে ওঠা। এমন নীতি নিয়ে মুম্বাইয়ের পথ চলা। তবে যেখানে রোহিতদের সজাগ দৃষ্টি রাখার কথা সেখানে যেন তাদের ঘুম ভাঙেনি। রোববারের (১৩ মে) ম্যাচটি দুই দলের জন্যই গুরত্বিপূর্ণ ছিল। তবে মোস্তাফিজ বলে কথা। এক মোস্তাফিজের কারণে পাখির চোখের মতো তাকিয়ে ছিল বাংলার মানুষ মুম্বাইয়ের দিকে। মোস্তাফিজহীন চার ম্যাচ জিতলেও বাংলাদেশের মানুষ মুম্বাইয়ের পক্ষেই ছিল। আর এমন ম্যাচটিতে এক বাটলারের কাছে হারতে হয়েছে মুম্বাইয়ের। সাথে প্লে-অফে ওঠার পথও সংকীর্ণ হয়েছে রোহিতদের।
মুম্বাই অবশ্য রাজস্থানের কাছে নয়, হেরেছে জস বাটলারের কাছে। ১৬৮ তাড়া করতে নামা রাজস্থানের হয়ে একাই রান করেছেন বাটলার। দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৭ রান করেছেন অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানে। কিন্তু এ রানটা এসেছে ৩৬ বলে। শুরু থেকেই রান তোলার গতিটা বাড়িয়ে রেখেছিলেন বাতলার। না হলে ১৬৮ রানের লক্ষ্যটাও কঠিন হয়ে যেত।
টানা ব্যর্থতায় একাদশে জায়গা হারিয়েছিলেন ডি’আর্চি শর্ট। আজ প্রত্যাবর্তনে করলেন ৪ রান। রাজস্থানের রান তখন ৯। কিন্তু দলকে বিপদে পড়তে দেননি বাটলার। আগের তিন ম্যাচেই ফিফটি পেয়েছেন। সে ফর্ম টেনে আনলেন আজও। শুরু থেকেই ক্রিজ ব্যবহার করেছেন দারুণ বুদ্ধিমত্তায়। তাই ষষ্ঠ ওভারেই পঞ্চাশ পেয়ে গেছে রাজস্থান। ত্রয়োদশ ওভারেই এক শও পার করে ফেলেছেন রাহানে-বাটলার। ১৪তম ওভারের প্রথম বলে ৯৫ রানের জুটি থামে। রাহানেকে ফেরান হার্দিক পান্ডিয়া।
ম্যাচে ফেরার আশা জেগে ওঠে মুম্বাইয়ের। কিন্তু সঞ্জু স্যামসন এসে বাটলারের পথ ধরলেন। ক্রিজ ব্যবহার করে দ্রুত রান তুলে নিতে লাগলেন। ৩৫ বলে পঞ্চাশ করা বাটলারও বল নিয়মিত সীমানায় পাঠালেন। জয় থেকে ৪ রান দূরে স্যামসন (১৪ বলে ২৬) আউট হয়ে গেলেও, আগেই মুম্বাইয়ের সর্বনাশ হয়ে গেছে। পরের বলেই পঞ্চম ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ শেষ করে দিয়েছেন বাটলার। ৫৩ বলে ৯৪ রান করার পথে ৯টি চারও মেরেছেন ইংলিশ উইকেটরক্ষক।