বাসক পাতার উপকারিতা গুনগুলো কি কি? 

বাসক পাতার উপকারিতা

ভেষজ গুন সম্পূর্ণ বাসক পাতার উপকারিতাগুনগুলো কি কি? 

প্রচুর ঔষুধি গুন সম্পূর্ণ বাসক পাতা আমাদের জন্য অনেক উপকার। বাংলাদেশে প্রচুর বাসক গাছ পাওয়া যায় এবং এই পাতা বহু রোগের ঔষধহিসাবেও প্রমানিত। বৈজ্ঞানিক গবেষণাতেও প্রমানিত হয়েছে যে বাসাক পাতা ভেষজগুন সম্পূর্ণ।


বাসকপাতা ভাসিকা, আডুসা,বানসা ইত্যাদি নামেও অবহিত করা হয় তবে বাসক নামটাই বেশি সমাদৃত।এই পাতার শুধু পাতাই নয় এর ফুল, মূল ও বাসক গাছের বিভিন্ন অংশ দিয়েই ঔষধ তৈরি করা হয়।

★ বাসক পাতার উপকারিতা সমূহ দেয়া হলো—

১/বাসক পাতায় অ্যান্ট-মাইক্রোবাল উপাদান রয়েছে যা যক্ষা রোগ উপশমে সহায়তা করে।  

২/ বাসক পাতার অ্যান্টি-মাইক্রোবাল উপাদান ব্রাংকাইটিস ও হুপিং কাশি নিরসনেও ব্যবহার করা হয়।

৩/ বাসক পাতায় রয়েছে অ্যান্টি – ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে যা বিভিন্ন রকম বাতের ব্যথা, গিটের ব্যাথা  বিভিন্ন রকম ব্যাথা নিরসণে উপযোগ।   

৪/ নিয়মিত বাসক পাতার রস সেবন করলে রক্ত পরিস্কার হয়। ফলে রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং রক্তে হিমোগ্লোবিনও পরিমিত পরিমানে থাকে।   

৫/ যেহেতু নিয়মিত এই পাতার রস সেবন করলে রক্ত পরিস্কার হয় ফলে ব্রণ দূর হয়, এলার্জি সমস্যা দূর হয়।   

৬/ জ্বর, সর্দি, কাশি হলে বাসক পাতার রসের সাথে মধু ও তুলসীপাতার রস মিশিয়ে খেলে জ্বর হলে তাপমাত্রা কমে এবং সর্দি কাশি  হলে বুকে যে শ্লেষা হয় তা বেড় হয়ে যায়।

৭/ শ্বাস কষ্টের রোগীদের জন্য বাসক পাতার রস খুবই উপকার।   

৮/ মাংসপেশিতে টান লাগলে ঔ স্থানে হলুদ, চুনের সাথে বাসক পাতা বেটে লাগালে উপকার পাওয়া যায়। 

৯/ বাসক ফুলের রস ও মধু মিশিয়ে খেলে লিভাটের বিভিন্ন সমস্যা দূর হয় এবং জন্ডিস হলে এই পাতার রস খেলে উপকার পাওয়া যায়। 

১০/ গলা ব্যথা নিঃরসনে এই পাতার রস খুবই উপকার। 

১১/ প্রস্রাবে জ্বালা পুরা হলে বাসক ফুলের রস খেলে জ্বালা পুরা দূর হয়। 

১২/ দাতের মাড়ি দিয়ে রক্ত পরলে ১০/১২ টি বাসক পাতা পানিতে সেদ্ধ করে, সেই পানি দিয়ে কুলিকুচি করলে উপকার পাওয়া যায়।

১৩/ খিচুনি রোগে খুবই কার্যকর এই পাতার রস।

১৪/ যাদের গায়ে খুব দূর্গন্ধ হয় তারা এই পাতার রস গায়ে মাখলে এই গন্ধদূর করা যায়।

১৫/ গায়ের রঙ্গ ফর্সা করার জন্য বাসক পাতার রসের সাথে শঙ্খ চূড় পাউডার লাগাল চোখে পরার মত উজ্জ্বল হয়। 

১৬/  দাদ বা চুলকানি হলে এই জায়গায় বাসকের কচি পাতার রস ও হলুদ একসাথে মিশিয়ে লাগালে উপকার পাওয়া যায়।   

 

★ বাসক পাতার কিছু অপকারিতাও আছে।যদিও তা খুবই সামান্য।নিম্নে তা দেয়া হলো —

১/ গর্ভবতীদের জন্য বাসাক পাতা খাওয়া একেবারেই উচিত না।

২/ বাসক পাতার রস বেশি খেলে পেটে প্রচন্ড ব্যথা, বমি ইত্যাদি হবার সম্ভাবনা থাকে।

৩/ ডায়বেটিস রোগীরা প্রয়োজনের তুলনায় বেশি বাসক পাতার রস খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে গিয়ে আরঔ সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।    

 

বাসকের অনেক অনেক উপকারী গুন রয়েছে তা বলে শেষ করা যাবে না।এর মধ্য আছে ক্ষারীয় পদার্থ  যার পলে পোকামাকড়ের উপদ্রপ কমে, ছত্রাক জন্মায় না, মাথায় ব্যবহার করে উকুন দূর করা যায় ইত্যাদি। এই উপকারী ভেষজ উপাদানটি চাষ করে বিভিন্ন রোগের ওষুধ তৈরি করা হয়। 

 

BY

ত্রোপা চক্রবর্তী

 

    


Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *