অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের স্নায়ুক্ষয়ী ফাইনালে বৃষ্টি আইনে শক্তিশালী ভারতকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ফলে প্রথমবারের মতো বিশ্বজয়ের আনন্দে মাঠে বুনো উল্লাস করেন টাইগার যুবারা। নিজেদের সামনে তাদের এ উদযাপন ভালোভাবে নিতে পারেননি ভারতীয় তরুণরা। আকবরদের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ে জড়িয়ে পড়েন তারা। একপর্যায়ে ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতিও করেন দুদলের খেলোয়াড়রা। মাঠে ক্রিকেটের চেতনাবিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য এরই মধ্যে সমালোচনার শিকার হয়েছেন তারা।
তবে তাতেই ক্ষান্ত হলেন না ভারতের সাবেক ক্রিকেটার কপিল দেব ও মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন। অবশ্য বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের আচরণের বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন তারা। পক্ষান্তরে ভারতীয় ক্রিকেটারদের শাস্তি চেয়েছেন দুই কিংবদন্তি। এ জন্য ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) কাছে আর্জি জানিয়েছেন তারা।
১৯৮৩ সালে কপিলের অনন্য নেতৃত্বে বিশ্বকাপ জেতে ভারত। স্বভাবতই ক্রিকেটীয় স্পিরিট সম্পর্কে ভালোভাবেই জানেন তিনি। বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় তারকা বলেন, ভারতীয় যেসব ক্রিকেটার মাঠে এ রকম অসদাচরণ করেছেন, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেখতে চাই আমি। আশা করি, বিসিসিআই কঠোর পদক্ষেপ নেবে। প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়দের হেয় করার খেলা নয় ক্রিকেট। আগ্রাসী মনোভাবকে আমি স্বাগত জানাই। এখানে ভুলের কিছু নেই। কিন্তু বিধ্বংসী মানসিকতা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা বলে নম্রতা-ভদ্রতার সীমারেখা অতিক্রম করা যায় না। আমি বলতে চাই, তারা যা করেছে তা অগ্রহণযোগ্য ও অমার্জনীয়। আমি মনে করি, বোর্ড এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
ভারতের অন্যতম সফল অধিনায়ক আজহার। আচরণবিধি ভঙ্গ সম্পর্কে বেশ ভালোভাবেই অবহিত তিনি। সাবেক এ ক্যাপ্টেন বলেন, আমি বিসিসিআইকে ভারতীয় যুবাদের কঠিন শাস্তি দেয়ার কথা বলব। একই সঙ্গে তাদের সাপোর্টিং স্টাফরা কি শিক্ষা দিয়েছে, সেই সম্পর্কেও জানতে চাই। এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে। আমি তো মনে করি, বেশ দেরি হয়ে গেছে। এ রকম অনাকাঙ্ক্ষিত, অনভিপ্রেত ঘটনা জানার পরও বোর্ডের নিশ্চুপ থাকা উচিত হয়নি। খেলোয়াড়রা শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছে। উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে তাদের।
তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়া টুডে।