ভেষজ উপাদান হলুদ ব্যবহারের উপকারিতাগুলো

হলুদ আমাদের রান্নার একটি অন্যতম উপাদান। গোটা এশিয়া মহাদেশেই হলুদ মশলা হিসাবে খুবই পরিচিত। হলুদ যেমন রান্নার রঙ্গকে করে সুন্দর ও লোভনীয় তেমনি হলুদ ব্যবহার করে যে আইটেমটি করা হয় তার স্বাদ ও গন্ধকেও করে আকর্ষনীয়।হলুদ

আয়ুর্বেদীক শাস্ত্রে হলুদের বহু গুনাগুন ও এর কাযর্কারীতা এবং এর যথাযথ ব্যবহারের কথা বলা হয়েছ। এটাকে আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে অলৌকিক ভেষজ উপাদান সম্পূর্ণ হিসাবেও আখ্যায়িত করা হয়। এতে রয়েছে – ভিটামিন – সি, ভিটামিন-বি-৬, ফাইবার, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, কারকিউমিন নামক রাসায়নিক উপাদান। যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়,ভিতর থেকে ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ায়, শরীরের অজানা ক্ষত সারাতে কার্যকরী এবং ক্যান্সার প্রতিরোধেও সহায়ক। আরও এমন অনেক উপকারী গুন রয়েছে যা আমাদের অজানা। 

 

★ হলুদের উপকারিতার শেষ নেই। নিম্নে এর বিশেষ কয়েকটা গুন তুলে ধরা হলো :

১/ হলুদে কারকিউমিন নামের যে উপাদান রয়েছে তা হাড় ক্ষয় রোধে সহায়ক এবং হাড়কে করে মজবুত।

২/ অতি প্রাচীনকাল থেকে ত্বকের যত্নে হলুদের ব্যবহার হয়ে আসছে।বিভিন্ন প্রসাদবীতেও হলুদ ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও ত্বকে উজ্জ্বলতা বাড়াতে , বিভিন্ন দাগ ও স্যান বার্ণ দূর করতে হলুদ বেটে লাগালে খুব ভালো উপকার পাওয়া যায়। 

৩/ যাদের আথ্রাইটিসের সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত কাঁচা হলুদ খেলে  উপকার পাবেন।

৪/ হলুদের অ্যান্টি – ব্যাকটেরিয়াল উপাদান দাতের ক্ষয়, মাড়ি দিয়ে রক্ত পরা, দাঁতের উপরে যে এনামেলের আস্তরন রয়েছে তা রক্ষা করে।

৫/ হলুদে যে উপাদানগুলো রয়েছে যেমন – ভিটামিন – সি, কারকিউমিন ইনফ্লুয়েঞ্জা এগুলো  সর্দি কাশি কমাতে সাহায্য করে। 

৬/  কাঁচা হলুদে রয়েছে অ্যান্টি – অক্সিডেন্ট যা অ্যানিমিয়া রোগ নিরাময়ে সহায়ক। সাধারনত মেয়েদের এই রেগ হয় তাই প্রতিদিনই মেয়েদের কাঁচা হলুদ খাওয়া উচিত।

৭/ হলুদে উপস্থিত কারকিউমিন ও আয়রন শরীরের লোহিত রক্ত কনিকা বাড়ায় এবং শরীরে আয়রনের ঘাটতি দূর করে।

৮/ হলুদে যে উপাদানগুলো রয়েছে তা স্মৃতিশক্তি রক্ষা ও অ্যালজাইমার রোগ নিরাময়ে সহায়ক।

৯/ হাঁপানি রোগ নিরাময়ে কাঁচা হলুদ খুবই উপজারি।এটি আমাদের শ্বাসনালীর সকল বাধা দূর করে এবং সুস্থভাবে শ্বাস নেবার ক্ষমতা বাড়ায়। 

১০/ যকৃতের স্বাভাবিক কাজ বজায় রাখতে হলুদ খুবই উপকার। 

১১/ থাইরয়েডের ও গলগন্ডের সমস্যা দূর করতে হলুদ খুবই উপকার। 

১২/ বিভিন্ন গবেষণায় এটা দেখা গেছে যে, হলুদে কারকিউমিন নামের যে উপাদান আছে তা আমাদের মূত্রনালীর নানা সংক্রামন জনিত সমস্যা থেকে আমাদের বাঁচাতে পারে।  

১৩/ কাঁচা হলুদ আমাদের শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখে।

১৪/ হলুদে যে অয়ান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে তা আমাদের ব্রণের সমস্যা দূর করে   । 

১৫/ কাঁচা হলুদ অ্যান্টি-এলার্জি  হিসাবে কাজ করে। যা আমাদের এলাড়জির প্রবণতা দূর করে। 

★এর সামান্য কিছু অপকারিতা আছে। যেমন – 

১/ কিডনিতে পাথর হলে হলুদ কম খাওয়া উচিত।

২/ হলুদ রক্ত তরল করে জমাট বাদ্ধতে দেয় না। তাই যে কোন অপারেশনের পর হলুদ কম খাওয়াই ভালো।

৩/ অত্যাধিক পরিমানে কাঁচা হলুদ খেলে বমি, ডায়রিয়া বা পেট ব্যথা হবার  সম্ভাবনা থাকে।

৪/ কারো কারো কাঁচা হলুদে এলার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে। ইত্যাদি।

উপরে উল্লেখ্য গুনাবলি ছারাও হলুদের আরও অনেক অনেক গুনাবলি আছে। বিভিন্ন রোগের ঔষধ হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে হলুদ।    

 

BY

ত্রোপা চক্রবর্তী

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *