মেহেরপুর জেলার সংক্ষিপ্ত তথ্যবলী ও দর্শনীয় স্থানসমূহ

মেহেরপুর জেলার সংক্ষিপ্ত তথ্যবলী

মেহেরপুর জেলা বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলের খুলনা বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল । মেহেরপুর জেলা ২৩.৪৪/ থেকে ২৩.৫৯/ ডিগ্রী অক্ষাংশ এবং ৮৮.৩৪/ থেকে ৮৮.৫৩/ পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত । এটি বাংলাদেশের পশ্চিমাংশের সীমান্তবর্তী জেলা । এ জেলার উত্তরে কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থানা ও পশ্চিমবঙ্গ (ভারত), দক্ষিণে চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবনগর, দামুড়হুদা থানা ও পশ্চিমবঙ্গ (ভারত), পূর্বে কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর, চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা, পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ । মেহেরপুরের পশ্চিমাঞ্চল জুড়ে উত্তর-দক্ষিণে বিস্তৃত প্রায় ৬০ কিলোমিটার ভারতীয় সীমান্ত রয়েছে ।

মেহেরপুর জেলার দর্শনীয় স্থানসমূহ

  • মেহেরপুর পৌরসভা
  • পৌর ঈদগাহ
  • মেহেরপুর পৌর হল
  • মেহেরপুর শহীদ স্মৃতিসৌধ
  • আমদহ গ্রামের স্থাপত্য নিদর্শন
  • সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দির
  • জোড়পুকুরিয়অ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সাহারবাটি গাংনী
  • আমঝুপি নীলকুঠি
  • ভাটপাড়ার নীলকুঠি, সাহারবাটি
  • ভবানন্দপুর মন্দির
  • মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ
  • মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্স

মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ, মেহেরপুর

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় অস্থায়ী সরকার গঠন করা হয়েছিল মেহেরপুর জেলার ভবেরপাড়া গ্রামের বৈদ্যনাথ তলার আমবাগানে । পরবর্তীকালে এ এলাকাটির নামকরণ করা হয় মুজিবনগর । ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রির এখান থেকেই অস্থায়ী সরকারের ঘোষণা এবং ১৭ এপ্রিল শপথবাক্য পাঠ করানো হয় । স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের ডেকোয়ার্টার্সও স্থাপিত হয়েছিল এ মুজিবনগরে । তাই এ স্থানটি বাংলাদেশের কাছে ঐতিহাসিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । ঐতিহাসিক গুরুত্বের কথা বিবেচনা করেই এখানে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয় ।

১৯৮৭ সালের ১৭ এপ্রিল এটি উদ্বোধন করা হয় । স্মৃতিসৌধটি ৩৮ একর জমির ওপর নির্মিত । মূল স্মৃতিসৌধটি ২৩ কংক্রিটের ত্রিকোণ স্তম্ভ সমন্বয়ে উদীয়মান সূর্যের প্রতিকৃতিতে নির্মিত । স্মৃতিসৌধ ছাড়াও এখানে একটি বিডিআরের সীমান্তফাঁড়ি ও একটি ডাকবাংলো নির্মাণ করা হয়েছে । মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ স্থাপত হচ্ছেন তানভীর করিম ।

এই যে ২৩টি সফেদ দেয়াল । ১৯৪৮ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত ২৩ বছরের সংগ্রামী ঐতিহ্যের প্রতীক মুজিবনগরে ঢুকতেই প্রথমে চোখে পড়বে বঙ্গবন্ধু তোরণ । বঙ্গবন্ধু তোরণ দিয়ে ঢুকেই সাইনবোর্ডে লেখা, বা দিকে মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের মানচিত্র আর সোজা স্মৃতিসৌধ । এই স্মৃতিসৌধ উদিয়মান সূর্যের প্রতিকৃতিতে নির্মিত । ১৬০ ফুট ব্যাসের গোলাকার স্তম্ভের ওপর মূল বেদিকে কেন্দ্র করে দাঁড়িয়ে আছে ২০ ইঞ্চি পুরু ২৩টি দেয়াল । সমকোণী ত্রিভুজাকৃতির দেয়ালগুলোর উচ্চতা ৯ থেকে ৪২ ফুট । এগুলো দিয়ে বোঝানো হয়েছে উদীয়মান সূর্যরশ্মি ।

স্মৃতিসৌধে একটি স্থান সিরামিক ইট দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে । এখানেই শপথ গ্রহণ করেছিল বাংলাদেশের প্রথম মন্ত্রিপরিষদ । স্মৃতিসৌধের মূল বেদি থেকে বের হওয়ার জন্য রয়েছে ৯টি সিঁড়ি । ৯টি সিঁড়ি ৯ মাস স্বাধীনতাযুদ্ধের প্রতীক । পর্যটক দেখলে সুভাষ মল্লিক এভাবেই মুজিবনগর স্মৃতিসৌধের কথা জানিয়ে থাকনে । স্মৃতিসৌধের কাছেই তাঁর বাড়ি । বাংলাদেশের প্রথম সরকারের শপথ অনুষ্ঠানের এখনো জীবন্ত সাক্ষী ।

বাঁ দিকের পথে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ মানচিত্র । এই পথেই রয়েছে অত্যাধুনিক একটি মোটেল, আধুনিক মসজিদ, সরকারি শিশুপল্লী, শপিং মল, পোস্ট অফিস, ডিজিটাল টেলিফোন এক্সচেঞ্জ । এ ছাড়া আছে প্রশাসনিক ভবন, মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিকেন্দ্র, প্রাথমিক বিদ্যালয়, । আনসার ও ভিডিপি অফিস, রেস্ট হাউস ও ব্যারাক, পল্লী বিদ্যুৎ বোর্ড, অফিস ভবন, বাস টার্মিনাল, হেলিপ্যাড, পিকনিক স্পট, গাটি পাকিং, পাবলিক টয়লেট, লন টেনিস কোর্ট । আরো আছে ছয় দফার ভিত্তিতে ছয় ধরনের ছয়টি বিশাল বাহারি গোলাপ বাগান । সবকিছু দেখে মনে হবে মুজিবনগর কমপ্লেক্স ছোট একটি সাজানো গোছানো আধুনিক শহর । এভাবেই পিচঢালা পথে হাঁটতে হাঁটতে গোলাপ বাগানের পাশে পাবেন কয়েকটি চায়ের দোকান ।

তার পাশেই মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের মানচিত্র । সেক্টর ভিত্তিক গড়ে তোলা হয়েছে এই মানচিত্র । ২০০১ সালে ৪৫ কোট ২৫ লাখ ৫২ হাজার টাকার প্রকল্পটি একনেকের অনুমোদন পায় । প্রায় ৬৬ একর জায়গায় পুরো কমপ্লেক্সটি ।

মানচিত্রের চারপাশে গ্যালারি । গ্যালারির ওপর দিয়ে ঘুরে ঘুরে দেখতে হয় । মুক্তিযুদ্ধভিতিক ১১টি সেক্টর ভাগ করা ছাড়াও আছে ঐতিহাসিক ঘটনাচিত্র, মানচিত্রে যুদ্ধকালে দেশের চারটি পথ দিয়ে শরণার্থী গমন, হার্ডিঞ্জ ব্র্রিজ ধ্বংস, আ স ম আবদুর রবের পতাকা উত্তেলন, শাজাহান সিরাজের ইশতেহার পাঠ, শালদাহ নদীতে যুদ্ধ, কাদেরিয়া বাহিনীর জাহাজ দখল ও যুদ্ধ, শুভপুর ব্রিজে সম্মুখযুদ্ধ, কামালপুর ও কুষ্টিয়ার মিরপুরের যুদ্ধ, চালনা ও চট্টগ্রাম বন্দর ধ্বংস, পাহাড়তলী ও রাজশাহীর হত্যাযজ্ঞ, জাতীয় শহীদ মিনার ধ্বংস, সচিবালয়ে আক্রমণ, রায়েরবাজার বধ্যভূমি ও বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ডের ভাস্কার্য ।

মানচিত্রের চারপাশে আছে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ, ২৫ মার্চের কালরাত্রি, অগ্নিসংযোগ, পাকিস্তানি বাহিনীর নারী নির্যাতন, ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকারের শপথ অনুষ্ঠান, ১২ আনসার কর্তৃক অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামকে গার্ড অব অনার এবং সেক্টর বন্টনসহ অরোরা নিয়াজি ও এ কে খন্দকারের উপস্থিতিতে পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের ভাস্কর্য ।

মুজিবনগর কমপ্লেক্সকে আরো সুন্দর করে তুলতে ১৯৯৯ সালে বন মন্ত্রণালয় একটি বিশেষ পরিকল্পনা নেয় । ছয় দফাকে কেন্দ্র করে তৈরি করা হয় ছয়টি গোলাপ বাগান । এক কোটি ৫৫ লাখ টাকায় আনা হয় ছয় প্রজাতির দুর্লভ জাতের জাপানি গোলাপগাছ । এক নম্বর বাগানে লাগানো হয় শোভাবর্ধনকারী হরেক দেশীয় ফুলগাছ । সেই সঙ্গে বিশেষজ্ঞদের পরিকল্পনা ও নকশা অনুযায়ী দুই হাজার ৩০০ গোলাপের গাছ দিয়ে বাগোনটি তৈরি হয় ।

শরণখোলা, বাগেরহাট

প্রকৃতির অপরূপ লীলাভূমি সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের পর্যটন শিল্পের জন্য উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে । সুষ্ঠু ব্যবস্থপনা ও সদিচ্ছার অভাব এবং সরকারি হতে পারছে না । সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্চের কিছু অভয়াশ্রম হয়ে উঠতে পারে এক আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্র সুন্দরবনে ৩৩৪ প্রজাতির বৃক্ষ, ১৬৫ প্রজাতির সাগর শৈবাল, ১৩ প্রজাতির পরাশ্রয়ী আকির্ড রয়েছে । সুন্দরী এ বনের প্রধান বৃক্ষ । মোট বনাঞ্চলের ৭৩ ভাগ জুড়েই রয়েছে সুন্দরী । এছাড়া কেওড়া, বাইন, পশুর, ধুন্দল, কাঁকড়া, বাইন, গরাণ, হেঁতাল ও গোলপাতা উল্লেখযোগ্য । ২৬৯ প্রজাতির বন্যপ্রাণী, ১৮৬ প্রজাতির পাখি ও ২১০ প্রজাতির মাছ রয়েছে এই রেঞ্জের বনে । বন্যপ্রাণীর মধ্যে, বিখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগার, মায়াবী চিত্রল হরিণ, ভয়ঙ্কর কুমীর, বানর, শূকর ও গুইসাপ উল্লেখযোগ্য । প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, বন্যপ্রাণীর অবাধ বিচরণ ও সমুদ্রের বিশাল জলরাশির কারণে সুন্দরবনের পূর্ব বিভাগের শরনখোলা রেঞ্জের অন্তর্গত । সমগ্র সুন্দরবনের সর্বাপেক্ষা আকর্ষনীয় অঞ্চল কটকা ও কচিখালী রয়েছে এই অংশেই । কটকা কচিখালী ছাড়াও শরনখোলা রেঞ্জের সুপতি, বাদামতলা, জামতলা, তিনকোণা আইল্যান্ড ও জেলে পল্লী দুবাল পর্যটকদের কাছে সমাদৃত ।

সাগর তীরে কটকা অভয়ারণ্য । এখানকার মনোরম পরিবেশ দেশী বিদেশী পর্যটকদের প্রধান আকর্ষণ  । ঘন বনানীর ছায়ায় নির্মিত বিশ্রামাগারের বারান্দায় বসে চোখের সামনে উত্তাল সমুদ্রের আছাড়ে পড়া ঢেউ পর্যটকদের উচ্ছত্মসিত করে তোলে । কোলাহল আর সকালে নদীর পাড়ে কুমীরের রোদ পোহানোর দৃশ্য অপূর্ব । এখানে বিশ্রামাগ্রর প্রান্তিক এ ৪ শয্যাবিশিষ্ট ২টি কক্ষ রয়েছে ।

পূর্ব অভয়ারণ্যের দক্ষিণ পূর্বপ্রান্তে সাগর তীরে গড়ে উঠেছে কচিখালী । সুন্দরবন পর্যটকদের জন্য এখানে গড়ে উঠেছে একটি বড় ধরনের বিশ্রামাগার । এক শয্যাবিশিষ্ট তিনটি ও দুই শয্যবিশিষ্ট একটি বেডরুম, ড্রইংরুম ও ডাইনিং রুমের সমন্বয়ে এ বিশ্রামাগারটি অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর ।

প্রতি শীতমৌসুম অর্থাৎ অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারী মাস এখানে কৌতুহলী পর্যটকদের ভীড় থাকে । তারা এখানকার সাগরপাড় আর ছনক্ষেতে খুঁজে ফেরে বহু প্রত্যাশিত রয়েল বেঙ্গর টাইগার । ঝাঁক বাধা চিত্রাল হরিণ ছুটে বেড়িয়ে বন্ধুদের জানিয়ে দেয় পর্যটকদের আগামন বার্তা । তাই শুনে মুচকি হাসে গাছে গাছে বানরের ঝাঁক । নিস্তব্ধ প্রাকৃতিক পরিবেশ আবার হঠাৎ করে চেনা অচেনা পাখ পাখালির কলকাকলী শিহরণ । কটকা কেন্দ্রের কাছে অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান জামতলা । জামতলায় রয়েছে পর্যবেক্ষণ টাওয়ার । যেখান থেকে বিস্তীর্ণ ছনক্ষেতে হাজার হাজার হরিণের ছোটাছুটি আবার কখনও রয়েল বেঙ্গল টাইগার দেখা যেতে পারে ।

কচিখালী আর কটকার ঠিক মধ্যবর্তী স্থানের নাম বাদামতলা । বাদামতলা অত্যন্ত নির্জন এক সমুদ্র সৈকত ।

সেখানে আছড়ে পড়া সামুদ্রিক ঢেউ পর্যটকদের মন কাড়বে । শীতকালে বাদামতলার সৈকতে অজস্ত্র বাঘের পায়ের ছাপ দেখা যায় । কচিখালী ও জামতলা থেকে পায়ে হেটে বাদামতলা পৌছানো সম্ভব ।

সাগরদ্বীপ দুবলাসহ সন্নিবেশিত ১০টি মৎস্য মৌসুমে ৩০ থেকে ৪০ হাজার মৎস্যজীবী ভীড় জমায় । অক্টোবরে এরা আসা শুরু করলে ও নবেম্বরে রাসমেলা নামক এক ধর্মীয় উৎসবের মধ্য দিয়ে তাদের বছরের কাজ শুরু হয় । দু’শ বছরের ঐতিহ্যলালিত এ রাসমেলাতেও দেশী বিদেশী হাজার হাজার পর্যটক ও দর্শনার্থী ভীড় জমায় । শরণখোলা রেঞ্জে যোগাযোগ ও যাতায়াতের জন্য এ রেঞ্জ বিশেষ উপযোগী ।

ঢাকা, চট্টতগ্রাম, খুলনা ও বাগেরহাট থেকে বাসযোগে শরণখোলা উপজেলা সদর রায়েন্দা বাজারে আসতে হবে । এখানে সাশ্রয়ী ভাড়ায় বিভিন্ন ধরনের লঞ্চ ও ট্রলার ভাড়া পাওয়া যায় ।

শরণখোলা রেঞ্জ এর মাধ্যমে পূর্ব বনবিভাগের অনুমতি সাপেক্ষে শরণখোলা থেকে কচিখালী ও কটকায় যেতে ৫ থেকে ৬ ঘন্টা সময় লাগে । শরণখোলা থেকে এর দূরত্ব যথাক্রমে ৩০ ৪০ কিলোমিটার । শরণখোলা রেঞ্জের কটকাও কাচিখালীতে আরামপ্রদ বিশ্রামাগারে পর্যটকরা যেমন রাত্রিযাপন করতে পারে, তেমনি ইচ্ছে করলে একদিনের মধ্যে সমগ্র এলাকা ঘুরে ফিরে আসতে পারে ।

তবে এজন্য কিছু কাজ করা দরকার । শরণখোলা রেঞ্জ অফিস থেকে পর্যটকদের বনে প্রবেশের রাজস্ব গ্রহণ ও অনুমতি প্রদানের ব্যবস্থ করতে হবে । শরণখোলা রেঞ্জ ভিত্তিক পর্যটকদের জন্য সরকারি ও বেসরকারী উদ্যোগে নিরাপদ জলযানের ব্যবস্থ করতে হবে ।

প্রস্তাবিত সাইনবোর্ড শরণখোলা আঞ্চলিক মহাসড়ক এর কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে । বনদস্যু ও জলদস্যুদের কবল থেকে পর্যটকদের নিরাপদ রাখতে হবে । নিরাপদ রুটে নৌ বাহিনী ও কোস্টগার্ডের টহল জোরদার করতে হবে । সুন্দরবনের আকর্ষণীয় জায়গা চিহ্নিত করে পরিবেশ উপযোগী অবকাঠামো ও চিত্তবিনোদনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে । সুপতি ষ্টেশনে এবং কচিখালী থেকে জামতলা পর্যন্ত উডেন ট্রেইল তৈরি করে গভীর বনে পর্যটকদের নিরাপদ পথ চলার ব্যবস্থ করতে হবে । শরনখোলা রেঞ্জ অফিস বা তেরাবেকা টহল ফাড়ি সংলগ্ন এলাকায় মংলা করমজলের মত টুরিষ্ট স্পট স্থাপন করতে হবে ।

 

 

 

 

 

 

 

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *