লালটুকটুকে টমেটোর ঔষধিগুন গুলো কি কি?

টমেটো! খুবই পুষ্টিকর ও সুস্বাদু একটি সবজি। এটি রান্না করে ও কাঁচা সালাদ হিসাবে দুই ভাবে খেতে দারুন মজা।ছোট বড় প্রায় সকলেই টমেটো পছন্দ করেন এবং এটি দেখতেও খুব সুন্দর পাকলে লাল  রঙ্গের হয়।টোমেটো দিয়ে তৈরি চাটনি সকলেরই খুব প্রিয়। টমেটোতে রয়েছে অনেক পুষ্টিকর উপাদান।টমেটো

টমেটোতে রয়েছে, ভিটামিন – এ, ভিটামিন – সি, আমিষ, ক্যালসিয়াম।আরও রয়েছে  লবন, পটাশ, ম্যাঙ্গানিজ ইত্যাদি যা শরীরের পুষ্টির জন্য দরকার যা অনেক দামী ফল খেলেও এমন পুষ্টি পাওয়া যায় না। টমেটো খেলে রক্তস্বল্পতা দূর হয়,রক্তের লাল কণিকা বাড়ে,  রক্ত জমাট বাধা দূর করে, শারীরিক দূর্বলতা দূর হয় আরও অনেক কিছু।

★ নিম্নে টমেটো খাওয়া গুনাগুনগুলো দেয়া হলো:

 

১/ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে টমেটো অতুলনীয়। কারন এতে রয়েছে লাইকোপেন। 

২/ নিয়মিত টমেটো খেলে পাকস্থলী ও অন্ত্র থাকে সুস্থ সবল।  

৩/ চর্মরোগ নিরসনে টমেটো খুবই কার্যকর। চর্মরোগ হলে ঔ স্থানে টমেটোর রস লাগালে উপকার পাওয়া যায়।

৪/ টমেটোর রস মুখের ত্বকের জন্য খুবই উপকার। এতে ত্বক মসৃণ হয় এবং এতে বয়সের ছাপও দূর হয়।তবে সব ত্বকের জন্য টমেটোর রস উপকারী নয়।   

৫/ টমেটোর রস নিয়ম করে দিনে ২/৩ বার খেলে মুখগহ্বরে কোন ক্ষত হলে তা দূর হয়। 

৬/ সর্দি কাশি ও জ্বর হলে টমেটো খাওয়া ভালো।কারন টমেটোতে রয়েছে ভিটামিন – সি যা আমাদের এই সব রোগের নিরাময়ের জন্য খুবই উপকারী। 

৭/ টমেটোতে রয়েছে লাইকোপেন ও ভিটামিন-এ যা অ্যাজমা রোগের জন্য খুবই উপকার।   

৮/ টমেটোতে রয়েছে উচ্চ পরিমাণ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক এবং এটির জন্য  ডি এন এ সহজে ক্ষতিগ্রস্ত হয় না। 

৯/ টমেটোতে আছে ভিটামিন – এ, যা আমাদের চোখের জন্য খুবই উপকারী।

১০/ টমেটো শরীরে শর্করার মাত্রা বজায় রাখে যার ফলে এটি ডায়বেটিস রোগীদের জন্য খুবি উপকারী সবজি।    

 

★ঔষধিগুন সম্পূর্ণ টমেটোর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও আছে। যদিও এগুলো সংখ্যায় কম আর অতিরিক্ত কোন কিছু ভালো নয়। আর সেই গুলো হলো :

১/ টমেটোতে সোলানিন নামের এক বিশেষ রকমের উপাদান রয়েছে যা গিটে গটে ব্যথার কারন হতে পারে।তাই টমেটো বেশি খাওয়াও ঠিক না।

২/ ক্যামসিয়াম ও অক্সালেট এই উপাদানগুলো টমেটোতে আছে। যা শরীরের জমে কিডনিতে পাথর সৃষ্টি করতে পারে।তাঔ টমেটো বেশি খাওয়া একেবারেই ঠিক না।

৩/ যারা বেশি পেটের সমস্যায় ভোগেন তাদের টমেটো বেশি খাওয়া উচিত না। কারন টমেটোতে যে ম্যালিক এসিড ও সাইট্রিক এসিড  রয়েছে    তা আমাদের পাকস্থলীতে এসিডের সৃষ্টি করতে পারে।

৪/ টমেটো বেশি খেলে ডায়রিয়াও হবার সম্ভাবনা থাকে। যাদের হজমে সমস্যা রয়েছে  তাদের টমেটো কম খাওয়াই ভালো। 

 

টমেটোতে রয়েছে প্রচুর ঔষুধি গুনাগুন।তাই এর উপকারীতার শেষ নাই।এটা আগে শীতকালীন সবজি হিসাবে পরিচিত ছিল।কিন্তু এখন সারা বছরই পাওয়া যায়। তাই আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এই সুস্বাদু ও পুষ্টিগুন সম্পূর্ণ সবজিটি রাখা আবশ্যক।

 

BY

ত্রোপা চক্রবর্তী

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *