স্মিথ বললেন, আমি বিধ্বস্ত, আমি ক্ষমাপ্রার্থী।

কথা শুরু করেছিলেন স্বাভাবিকভাবেই। কিন্তু ক্রমেই ধরে এলো গলা। ক্ষমা চাইলেন নিজের বিবৃতিতে। প্রশ্নোত্তর পর্বের একপর্যায়ে আর নিজেকে ধরে রাখতে পারলেন না। কান্নায় ভেঙে পড়ে স্টিভেন স্মিথ বললেন, ‘আমি বিধ্বস্ত, আমি ক্ষমাপ্রার্থী।’বল টেম্পারিংয়ের পরিকল্পনার দায়ে নিষিদ্ধ অস্ট্রেলিয়ান তিন ক্রিকেটার দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে বৃহস্পতিবার ফিরেছেন দেশে। সিডনি বিমানবন্দরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে লিখিত বিবৃতিতে স্মিথ পুরো ঘটনার দায় নিয়েছেন নিজের কাঁধেই।স্মিথ বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া দলের অধিনায়ক হিসেবে আমি পুরো দায়ভার নিচ্ছি।
আসলে আমি সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে মারাত্মক ভুল করেছি। এটা আসলে নেতৃত্বের ব্যর্থতা ছিল। ব্যর্থতা ছিল আমার অধিনায়কত্বের। আমি যে ভুল করেছি, সেটার মাসুল দিতে ও যে ক্ষতি করেছি সেটা সারিয়ে তুলতে সর্বাত্মক চেষ্টা করব। এ ঘটনায় যদি কোনো ভালো জিনিস হয়ে থাকে, সেটা হলো এটা অন্যের জন্য শিক্ষা হয়ে থাকবে। এ ঘটনায় আমি সারাজীবন অনুতপ্ত হব। আমি সত্যিই ব্যথিত ও অনুতপ্ত।’এর পর কান্নায় গলা ধরে আসে স্মিথের। তার বাবা পিটার এসে তার কাঁধে হাত রাখেন। বাবার হাতের স্পর্শ পেয়ে স্মিথ আবার স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করেন এবং বলতে শুরু করেন, ‘আমি দুটি কিংবা তিনটি কথা বলব।
প্রথমত আমি খুবই দুঃখিত। আমি ক্রিকেট ভালোবাসি। আমি বাচ্চাদের আনন্দ দিতে ভালোবাসি। আমি সেসব বাচ্চাকে ভালবাসি, যারা আমার মতো ক্রিকেটকে ভালবাসে। আর একটা বিষয় হলো, আপনি যখন কোনো বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিতে যাবেন তখন একবার ভেবে দেখবেন যে কাদের ওপর প্রভাব ফেলতে যাচ্ছেন। মূলত আপনি আপনার বাবা-মার ওপর প্রভাব ফেলতে যাচ্ছেন। পরিবারকে হেয় করছেন। আমার বৃদ্ধ বাবার মলিন মুখটা দেখে খুব কষ্ট হচ্ছে। আমি যে ব্যথা নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় এসেছি, সেটার জন্য দুঃখিত। এটা সত্যিই ভয়ংকর। আমি সত্যিই দুঃখিত।’কান্নার কারণে কথার মাঝে ছেদ পড়ছিল। আবার স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করে স্মিথ বলেন, আশা করছি যথাসময়ে আমি আমার সম্মান ফিরে পাব। আপনাদের ক্ষমা পাব। আমি আমার দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে সম্মানিত বোধ করছি। সম্মানিতবোধ করছি অস্ট্রেলিয়া দলের অধিনায়ক হতে পেরে। বিশ্বে ক্রিকেট খুবই জনপ্রিয় একটি খেলা। এটা আমার জীবন। আশা করছি আবার ক্রিকেটে ফিরতে পারব।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *