নিয়েছি। ধরে নিচ্ছি উনি সত্যি কথাই কছেন। কিন্তু….’
‘আমাকে বিয়ে করা আপনার পক্ষে সম্ভব না, তাই তাে?”
‘আমাকে বিয়ে দেবার দায়িত্ব ম্যাডামকে দেয়া হয়নি। উনি আগবাড়িয়ে সেই দায়িত্ব কেন নিতে চাচ্ছেন তাও জানি না। বিয়ে সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত একটা ব্যাপার। উনি কেন আমার ব্যক্তিগত ব্যাপারে নাক গলাবেন?
‘আমি কি বালাকে নিষেধ করে দেব?
না। ম্যাডাম বিরক্ত হবেন। আমি কিছুতেই মাভামকে বিরক্ত করতে চাই । উনার মতের বাইরে গেলেই আমার চাকরি চলে যাবে। ভাই-বােন নিয়ে আমি পথে বসব। কি যে করব কিছু বুঝতে পারছি না।’
‘আমি একটা পরামর্শ দেই?
মনে করুন আপনি হাওড়ের মাঝখানে নৌক: নিয়ে আছেন। দুর্ঘটনায় আপনার হাত থেকে বৈঠা পড়ে গেছে। আপনার নৌকায় পাল ছাড়া কিছু নেই। এই অবস্থায় আপনার প্রধান কর্তব্য হচ্ছে হাওড় পাড়ি দেয়া। কোথায় গিয়ে ঠেকবে সেটা বড় কথা নয়। হাওড় পাড়ি দেয়া বড় কথা। কাজেই আপনাকে যে দিকে হাওয়া সেদিকে পাল দিতে হবে। আপনার ম্যাডাম হচ্ছেন হাওয়া, হাওয়া যেদিকে বইছে সেই দিকে পাল তুলে দিন।
আপনাকে বিয়ে করতে বলছেন?
‘তা বলছি না। খালার সব কথায় সায় দিয়ে শেষ পর্যন্ত পিছিয়ে যাবেন। বিয়ের পিঁড়িতে বসে হঠাৎ বলবেন –একটু বাথরুমে যেতে হবে। এই বলে পর পার।
‘রসিকতা করছেন?
হিমুর রূপালী রাত্রি খন্ড-১০
‘মােটেই রসিকতা করছি না। বিয়ে নিয়ে একটা পাতানাে খেলা খেলতে আমি রাজি আছি।’
তামান্না উঠে দাঁড়াতে দাঁড়াতে বলল, আপনাকে কোন কিছুতে রাজিও হতে হবে না, অরাজিও হতে হবে না। আমি যথেষ্ট বুদ্ধিমতী একটা মেয়ে। আমার সমস্যার সমাধান সবসময় আমি নিজে করেছি, এখনাে তাই করব।
‘জি আচ্ছা।
‘আপনি শুধু দয়া করে এখন আপনার সঙ্গে যেসব কথা হল তা খালাকে বলবেন না !
‘জ্বি আচ্ছা। তামান্না ক্লান্ত ভঙ্গিতে চলে গেল। হঠাৎ লক্ষ্য করলাম মেয়েটার উপর রাগ
অথচ রাগ লাগার তাে কোন কারণ নেই। আমার অবচেতন মন কি চাচ্ছিল—এই মেয়েটির সঙ্গে আমার ভাব হােক? হাসিঠাট্টা করে বললেও কি মনের একটি অংশ সত্যি সত্যি চাচ্ছে যে তাকে নিয়ে আমি চন্দ্রিমা উদ্যানে হাঁটতে বের হই।
আমার বাবা তার পুত্রের জন্যে লিখিতভাবে যে উপদেশমালা রেখে গেছেন সেখানে বারবার আমাকে একটি ব্যাপারেই সাবধান করা হয়েছে –
বাবা হিমাল, হিন্দু নারী সম্পর্কে একটি বহুল প্রচলিত লােক-শ্লোক আছে –
“পড়ল কন্যা উড়ল হাই। তবেই কন্যার
গুণ গাই।” অর্থাৎ কন্যার দাহকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত তার গুণকীর্তন করা যাবে না । মৃত্যুর আগমুহূর্তেও তার পা পিছলাতে পারে। সে ধরা দিতে পারে প্রলােভনের ফাঁদে। পা রাখতে পারে চোরাবালিতে।
এটা শুধু হিন্দু মেয়ে না, সবার জন্যে প্রযোজ্য। এবং তােমার জন্যে বিশেষভাবে প্রযােজ্য। মায়া যখন হাতছানি দিবে তখন তােমাকে রক্ষা করার জন্যে কেউ থাকবে না। মায়াকে মায়া বলে চিনতে হবে। এই চেনাই আসল চেনা।
হিমুর রূপালী রাত্রি খন্ড-১০
প্রসঙ্গক্রমে তোমাকে আরেকটি শ্লোক বলি। শ্লোকটি রচনা করেছেন চাক মুনির পুত্র। তার জন্মস্থান তক্ষশিলা। তিনি ছিলেন মহারাজা চন্দ্রগুপ্তের পরামর্শদাতা। যাই হােক, শ্লোকটা এ রকম—
“আহার নিদ্রা ভয় মৈথুনানি সমানি চৈতাদি নাং পত্তনাম।
জ্ঞানী নরানামধিকে বিশেষ্যে।” আহার, নিদ্রা, ভয়, মৈথুন পশু এবং মানুষদের ভেতর সমভাবেই বিদ্যমান। কিন্তু মানুষ জ্ঞানী— আর এখানেই তার বিশিষ্টতা।
চানক্যের এই শ্লোক সব মানুষের জন্যে প্রযােজ্য কিন্তু তােমার জন্যে নয়। পশু এবং মানুষের ভেতর যা সমভাবে বিদ্যমান তেমাকে তা থেকে আলাদা করার চেষ্টা আমি করেছি। কতটুকু সফল হয়েছি আমি জানি না। তবে আমার ধারণা আমার সারাজীবনের সাধনা বিফলে যাবে না। তুমি সন্ধান পাবে পরম আরাধের।
আমার নিজের ধারণা বাবার সাধনা বিফলেই গেছে। তাঁর পুত্র বর্তমানে পরম আরােধ্যের সন্ধান আছে না। সন্ধান করছে ইয়াকুবের।
আমি হাত-মুখ ধুতে গেলাম। আজ অনেকগুলি কাজ করতে হবে। ব্যাঙাচিকে খুঁজে বের করতে হবে। ব্যাঙাচিকে নিয়ে শুরু হবে অভিযান —
In search of Yakub. যে কোন অনুসন্ধানেই দু’জন থাকলে ভাল হয়। হিমালয়ে হিলারী একা উঠেননি, সঙ্গে ছিল তেনজিং।
দরজায় টকটক শব্দ হচ্ছে। তামান্না ফিরে এল না-কি? আমি আগ্রহ নিয়ে বলাম, ‘কে? | ছকু গলা বের করল। সে কোকের বােতল ভর্তি করে চা নিয়ে এসেছে। সিগন্যাল না দিতেই চা নিয়ে এল ব্যাপার কি?
হিমুর রূপালী রাত্রি খন্ড-১০
“কি খবর ছকু? ‘জ্বে খবর ভাল । ছক্ক চায়ের বােতল নামিয়ে রাখল। পরােটা ভাজির বাটি সাজাতে বসল। আজ দেখি পরােটা ভাজির সঙ্গে ডিমের ওমলেট উকি দিচ্ছে। এইখানেই শেষ
আরেকটা বাটিতে ঝােল জাতীয় কিছু। সেখানে মুরগির ছানার হাড় ডুব দিয়ে আছে। আমি বিস্মিত হয়ে বললাম, ‘ব্যাপার কিরে?”
‘ব্যাপার কিছু না।
‘তুই দেখি রাজাবাদশার খাবার নিয়ে এসেছিস। করেছিস কি? দু’টাকা হল আমার নাশতার বাজেট। পরােটা ভাজি রেখে বাকি সব ফিরিয়ে নিয়ে যা।
হুকু লজ্জিত মুখে বলল, খান। আইজের খানা ফিরি। “ফিরি কেন? ‘আইজ আমি খাওয়াইতেছি। ‘ভাল। ঝােলের মত ঐ জিনিসটা কি?” ‘ছুপ। মুরগির ছুপ।।
হাত-মুখ ধুয়ে খেতে বসলাম ! পরােটা ছিড়ে মুরগির ছুপে ভিজিয়ে খাচ্ছি। ছকু আনন্দিত চোখে আমাকে দেখছে। পরােটাগুলি আগুন গরম। ছুপ জিনিসটা দেখতে কুৎসিত হলেও খেতে ভাল। আমি তৃপ্তি করে খেলাম। খাওয়া শেষ করে বললাম, ‘খেয়ে আরাম পেয়েছিরে ছক্ত। এখন বল কি চাস? ঝটপট বলতে হবে। যা চাইবি তাই পাবি। কি চাস তুই?
ছকু ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছে। কিছু বলতে পারছে না। আমি চায়ের কাপে চা ঢালতে ঢালতে বললাম, ‘আশ্চর্য এ রকম একটা সুযােগ মিস করলি। মুখ ফুটে কিছু চাইতে পারলি না।
ছকু মন খারাপ করে দাঁড়িয়ে আছে। সম্ভবত তার ধারণা হয়েছে সে বিরাট সুযােগ হেলায় হারিয়েছে।
‘তাের কিছু চাইবার নেই?”
আছে।” ‘সেটা কি?
হিমুর রূপালী রাত্রি খন্ড-১০
একটা দোকান দিতে ইচ্ছা করে। ‘চায়ের দোকান? ‘জ্বি না ইষ্টিশন দোকান। “স্টেশনারী দোকান? ‘জে। নানান পদের বাজে মাল থাকব। ‘ভুল করলি, তােরে ব্যাটা যখন চাইবার তখন চাইলি না। ‘এমন সুযােগ আর আসব না? ‘সুযােগ তাে বার বার আসে না। হঠাৎ হঠাৎ আসে—’
মনে হচ্ছে সে কেঁদে ফেলবে। কাঁদুক। মানুষ হয়ে যখন জন্মেছে তখন কাঁদতে তাে হবেই। মেসের ম্যানেজার খবর পাঠিয়েছে – রুলটানা কাগজে পেনসিলে লেখা – মােটা এক আদমী দেখা করতে এসেছে। সিঁড়ি ভেঙ্গে দোতলায় উঠবে না। তার ঘরে বসে আছে। লােকটাকে ভাল মনে হচ্ছে না। এখন কি করণীয়?
আমি নিচে নেমে দেখি ব্যাঙাচি! গভীর মনােযােগে বাসি খবরের কাগজ পড়ছে। ব্যাঙাচিকে আজ আরাে মােটা লাগছে। তার গায়ের শার্টটা জমকাল। লাল নীল ফুল লতা পাতা সাপ খােপ আঁকা। সাহেবরা হাওয়াই দ্বীপ বেড়াতে গেলে এ রকম শার্ট পরে। তাদের বগলে থাকে রােগা পটকা মেয়ে যে সাহেব যত মােটা তার বগলের তরুণী ততই রােগা। রােগা পটকাদের এ রকম শার্ট মনায় ব্যাঙাচি আমাকে দেখে মুখ ভর্তি করে হাসল । আমি বললাম, নাশতা খেয়ে বের হয়েছিস?
‘কি নাশতা? পরােটা ক টা ছিল?
পরােটা না আটার রুটি। দেড় পিস রুটি। ‘বলিস কি? রুটির সঙ্গে কি?”
পেঁপে ভাজি। আধা কাপ কমলার রস। ‘ব্যাস আর কিছু না? ‘দোস্ত আর কিছু না। তোের ভাবী আমাকে খেতে দেয় না। তার ধারণা খেতে দিলে আমি বােধহয় আগের মত হয়ে যাব।
হিমুর রূপালী রাত্রি খন্ড-১০
না খেলেও ওই ফুলতে থাকবি?” ‘অবশই। এখন একবার ওজন নে। না বাইয়ে সাতদিন একটা ঘরে বন্দি করে রাখ। সাত দিন পর ওজন নে, দেখবি ওয়েট এগারাে কেজি বেড়েছে।’
সর্বনাশ? সারাক্ষণ পেটে ক্ষুধা নিয়ে ঘূরি, দোস্ত। ক্ষুধা কমে না। আমার জীবনের একটা শখ কি জানিস দোস্ত। একটাই শখ মনের তৃপ্তিতে একবেলা খাব। ক্ষিধে যেটা পর্যন্ত খেয়েই যাব। মানুষের নানা রকম ভাল ভাল স্বপ্ন থাকে—আমার এই একটাই স্বপ্ন। জানি না স্বপ্ন সত্যি হবে কিনা।
ইনশাল্লাহ হবে।” | ‘তুই যদি কুড়ি হাজার টাকা পেয়ে যাস তাহলে ভালমত একবেলা খাওয়াবি।
“অবশ্যই পাওয়া’ ‘প্রমিজ করছিস তাে? ‘যা, প্রমিজ।
‘তোকে আমি সাহায্য করব । জান দিয়ে সাহায্য করব। ঐ লােকটাকে খুজে বার করব। পথেঘাটে খুঁজলে হবে না। সিস্টেমেটিক্যালি খুঁজতে হবে। প্ল্যান করে এগুতে হবে।
‘আয় প্ল্যানটা করি?
ব্যাঙাচি চোখমুখ উজ্জ্বল করে বলল, ‘চল, কোন একটা রেস্টুরেন্টে বসে প্ল্যান করি । তাের চেনা-জানা কোন রেস্টুরেন্ট আছে যেখানে বাকি দেবে?
আমি বললাম, তাের ঐ রেস্টুরেন্টে যাই— কাচ্চি রসা যেখানে খাস?
ব্যাঙাচি মুখ করুণ করে বলল, ‘ঐ রেস্টুরেন্ট দুপুরের আগে খুলবে ন। পাঁচশ টাকার একটা নােট পকেটে নিয়ে বের হয়েছিলাম আরাম করে নাশত করব। তোর ভাবী পকেট সার্চ করে নিয়ে নিয়েছে। পকেটে স্কচ টেপ মারা এক। টাকার একটা নােটও নেই । মাঝে মাঝে মনের দুঃখে ভাবি কাক হয়ে কেন জন্মালাম না।
হিমুর রূপালী রাত্রি খন্ড-১০
‘কাক হয়ে জন্মালে লাভটা কি হত?”‘মনের সুখে ময়লা খেতাম । ঢাকা শহরে আর যাই হােক ময়লার অভাব নেই।
ব্যাঙাচি ফুস করে নিঃশ্বাস ফেলল। আমি তাকে নিয়ে গেলাম বিসমিল্লাহ রেস্টুরেন্টে। রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার জোবেদ আলি কোন কারণ ছাড়াই আমার ভক্ত। সে চেয়ার ছেড়ে এগিয়ে এল । আমি বললাম, জোবেদ আলি সাহেব, গরম গরম পরােটা ভেঙ্গে আমার বন্ধুর প্লেটে ফেলতে থাকবেন। পরােটার সঙ্গে কি আছে? পেপে ভাজি বাদ দিয়ে যা আছে সবই নি। যেটা ভাল লাগবে সেটা বেশি করে নেবে।
রেস্টুরেন্টে মােটামুটি একটা হুড়াহুড়ি পড়ে গেল। ছক্কর ডিউটি পণ আমাদের খাওয়ানাে! ব্যাঙাচি আমার দিকে তাকিয়ে মুগ্ধ গলায় বলল, ‘দোস্ত, তুই তাে সাধারণ মানব না। মহামানব। আমি খুশি হয়েছি। যা প্রমিজ করলাম –
তাের ঐ লােক না পাওয়া পর্যন্ত আমি দাড়ি-গোঁফ ফেলব না। যদি দাড়ি-গোঁফ ফেলি তাহলে আমি বাপের ঘরের না। আমি বেজন্মা।
আমি আবারাে মুগ্ধ হয়ে ব্যাঙাচির খাওয়া দেখছি, শুধু আমি না, হন্ধু এবং জোবেদ আলিও মুগ্ধ। এত তৃপ্তি নিয়ে যে কেউ খেতে পারে তাই আমার ধারণা ছিল না। মনে হচ্ছে খাওয়ার ব্যাপারটাকে সে উপাসনার পর্যায়ে নিয়ে এসেছে।
‘দেস্ত? ‘খাওয়া শেষ করে তারপর কথা বল।’
খেতে খেতেই বলি। খাওয়া শেষ হতে দেরি হবে। তাের ঐ লোেক আগে কোথায় থাকত বললি?”
‘অতীশ দীপংকর রােড।
তাহলে আমাদের অনুসন্ধানের সেন্টার হবে অতীশ দীপংকর রােড। ঐ লােক অতীশ দীপংকর রােডের আশপাশেই আছে।
‘বুঝলি কি করে?
হিমুর রূপালী রাত্রি খন্ড-১০
বাড়ি ভাড়া করে যারা বাস করে তারা বাড়ি বদলালেও সেই অঞ্চলেই থাকে, দূরে যায় না। যে ঝিকাতলায় থাকে সে কখনাে বাড়ি বদলে কলাবাগানে যাবে না। ঝিকাতলার আশপাশেই ঘুরঘুর করবে।’
‘যুক্তি ভাল!
আমাদের খোঁজ করতে হবে মুদির দোকানে। নাপিতের দোকানে। ‘চায়ের স্টল? ‘না, চায়ের স্টল না। বাড়ির আশপাশের চায়ের স্টলে শুধু ব্যাচেলাররা চা খায় যার ঘর-সংসার আছে সে বাড়ির পাশে চায়ের দোকানে চা খাবে না। সে উকে বা মেয়েকে চা বানিয়ে দিতে বলবে।
ঐ লােকের বউ বা মেয়ে আছে কি-না তা তাে জানি না।’ ‘তাহলে একটা সমস্যা হয়ে গেল। যাই হােক অসুবিধা হবে না। বিটের পােস্টম্যানকে ধরতে হবে। এদের স্মৃতিশক্তি ভাল হয়। নাম বলা মাত্র চিনে ফেলতে পারে।
‘পােস্টম্যানের কথা আমার একবারও মনে হয়নি।’
‘রেশনের দোকান উঠে গেছে। রেশন শৃপ থাকলে সমস্যা হত না। ভাল ভাল জিনিসই দেশ থেকে উঠে যাচ্ছে।
ব্যাঙাচির খাওয়া শেষ হয়েছে। সে তৃপ্তির নিঃশ্বাস ফেলে চা দিতে বলল। তার পেটে নিশ্চয়ই এখনাে ক্ষিধে আছে। তবে প্রবল ক্ষিধের সমস্যা মিটেছে তা বােঝা যায় ।
‘হেভী খেয়েছি দোস্ত। তাের কাছে অনুঋণ হয়ে গেল। যাই হােক ঋণ শােধ করব, চিন্তা করিস না। বিষয়টা নিয়ে সিরিয়াস চিন্তা করছি।
Read More