‘মন্ত্রী সাহেবের শালার সঙ্গে কথা বলতে চাচ্ছি। উনার টেলিফোন নাম্বার তাে আপনি রেখে দিয়েছেন। তাই না?
‘টেলিফোনে কি বলবেন?”
‘সেটা এখনাে ঠিক করিনি। বাংলাদেশ আইনে আমি হাজত থেকে একটা টেলিফোনের সুযােগ পাই। সেই সুযােগ ব্যবহার করতে চাচ্ছি।’
‘আচ্ছা দেখি – উনি কথা বলতে চান কিনা কে জানে।
ওসি সাহেব নিচু গলায় ভদ্রলােকের সঙ্গে আগে কিছুক্ষণ কথা বললেন। আমার সম্পর্কে কিছু বললেন বােধহয়। তারপর টেলিফোন আমার দিকে এগিয়ে দিলেন। আমি আনন্দিত গলায় বললাম—কেমন আছেন ভাই। আমি হিমু।
‘কি চান আমার কাছে? ‘আমি আল্লাহর কাছেই কিছু চাই না, আর আপনার কাছে কি চাইব?”
‘বড় বড় কথা শিখেছেন : মুখের চেয়ে জিহ্বা বড়। জিহ্বা এখন সাইজ মত কাটা পড়বে।
‘স্যার আপনার বুকের ব্যথাটার খবর কি শুরু হয়েছে? ‘তার মানে?
‘আমি একজন মহাপুরুষ টাইপ জিনিস। আপনি আমার নামে মিথ্যা ডাইরী করেছেন। তার শাস্তি হিসেবে আপনার বুকে ব্যথা শুরু হবার কথা। এখনাে হচ্ছে
কেন বুঝতে পারছি না।’
‘চড়িয়ে দাঁত ফেলে দেব হারামজাদা।’
‘স্যার, ব্যথাটা খুব বেশি হলে দেরি না করে সােহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চলে যাবেন। এনজিষ্ট ট্যাবলেট আনিয়ে রাখুন। জিভের নিচে দিতে হবে।’
হিমুর রূপালী রাত্রি খন্ড-১৩
টেলিফোনের ওপাশে ভদ্রলােক রাগে থর থর করে কাঁপছেন। ভদ্রলােককে দেখা না গেলেও বােঝা যাচ্ছে। আমি তাঁর রাগ সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করে হাসিমুখে বললাম, ‘আমার নামে মিথ্যা এফ আই আর করিয়েছেন— এটা ঠিক হয়নি। বুকের ব্যথা উঠামাত্র থানায় ওসি সাহেবকে সত্যি কথাটা জানাবেন। ব্যথা কমেযাবে। আপনার দুলাভাই মিথ্যা বললে কোন সমস্যা না, তিনি মন্ত্রী মানুষ। মিথ্যা তিনি বলবেন না তাে কে বলবে? তিনি সত্যি কথা বললেই সমস্যা।
সত্যি কথা বললে সমস্যা মানে?
মন্ত্রীরা মিথ্যা বলেন এটা ধরে নিয়েই আমরা চলি। এতে সিস্টেম অভ্যস্ত হয়ে গেছে। কাজেই হঠাৎ একজন মন্ত্রী যদি সত্যি কথা বলা শুরু করেন তাহলে সমস্যা হবে না?’
‘ফর ইওর ইনফরমেশন – আমার দুলাভাই কবনােই মিথ্যা বলেন না। এমপিরা ট্যাক্স ফ্রি গাড়ি পায় আপনি বােধহয় জানেন। সংসদে সব এমপিরা কোন বিষয়েই একমত হন না, শুধু ট্যাক্স ফ্রি গাড়ির বিষয় ছাড়া। সেখানে আমার দুলাভাই ট্যাক্স ফ্রি গাড়ি নেননি।
‘আমি যে গাড়িতে চড়তে চাইলাম সেটা তাহলে কার? ‘আমার। ‘স্যার আপনি কি করেন? ‘বস। গার্মেন্টস?” ঠিক ধরেছেন।
‘আপনাদের গার্মেন্টসে কি হলুদ পাঞ্জাবী হয়? আমাদের দু’টা হলুদ পাঞ্জাবী দিতে পারবেন? একটা আমার জন্যে, একটা ওসি সাহেবের জন্যে। আমার সাইজ চৌত্রিশ। ওসি সাহেবের ছয়ত্রিশ * এক্সট্রা লার্জ কিনলেই হবে।
হিমুর রূপালী রাত্রি খন্ড-১৩
খট করে শব্দ হল। ভদ্রলােক টেলিফোন নামিয়ে রাখলেন। ওসি সাহেব চিন্তিত এবং বিরক্তমুখে বললেন, আপনি শুধু যে নিজে বিপদে পড়েছেন তা না । আপনি তাে মনে হয় আমাকেও বিপদে ফেলেছেন। অনেক টাকা-পয়সা খরচ করে ঢাকায় পােস্টিং নিয়েছি। বিরাট ইনভেস্টমেন্ট। ইনভেস্টমেন্টের দশ ভাগের এক ভাগও এখনাে তুলতে পারিনি। এর মধ্যে যদি বদলি করে দেয় তাহলে আম-ছালা সবই যাবে। শুধু পড়ে থাকবে আমের আঁটি। ভাল কথা, ভদ্রলােকের বুকে কি সত্যি ব্যথা উঠবে?
‘জ্বি উঠবে। আমার আধ্যাত্মিক ক্ষমতার জন্যে না। এম্নিতেই উঠবে। মানসিক ভাবে দুর্বল তো তার জন্যে মনে একটা চাপ আছে। এ চাপ শরীরে চাপ ফেলবে। বুকে তীব্র ব্যথা হবে : এও হতে পারে — ব্যথা ট্যাথা কিছু হল না, কিন্তু মনে হবে ব্যথা হচ্ছে । স্যার, আমার বন্ধুকে ছাড়ার ব্যবস্থা করবেন না?”
করছি। সিগারেট খাবেন? ক্তি যাব।
ব্যাঙাচি বিশ্বাসই করছে না যে তাকে ছেড়ে দিচ্ছে। সে একই সঙ্গে আনন্দিত এবং দুঃখিত। তাকে ছেড়ে দিচ্ছে এই আনন্দ তার রাখার জায়গা নেই। আবার আমাকে আটকে রেখেছে এই দুঃখেও সে আসলেই বিপর্যস্ত।
‘দোস্ত তােকে রেখে চলে যেতে খুবই খারাপ লাগছে।
‘আমাকে তাে রেখে যেতেই হবে। আমি দোষ করেছি গিন্টি পার্টি। তুই তাে দোষ করিসনি। | ‘তা ঠিক। তাের ভাবীর অনেক বড় বড় আত্মীয়-স্বজন আছে। তাদের ধরলেই তাের রিলিজের ব্যবস্থা হয়ে যাবে। কিন্তু তাের ভাবীকে কিছুই বলা যাবে।
হিমুর রূপালী রাত্রি খন্ড-১৩
বুদ্ধিমতী মেয়ে তো, তাের কথা বললেই সে বলবে তােমার বন্ধু হাজতে সেই খবর তােমাকে কে দিল? আমি তার জেরার মুখে পড়ে স্বীকার করে ফেলব যে আমিও হাজতে ছিলাম। দাবানল লেগে যাবে, বুঝলি।’
বুঝতে পারছি।”
শােন দোস্ত। তুই আশা ছাড়িস না, আমি ধর্মীয় লাইনে চেষ্টা করব। আমাদের বাড়ির পাশেই এক হাফেজ সাহেব আছেন। এক হাজার টাকায় কোরান খতম দেন। আর্জেন্ট ব্যবস্থাও আছে। খুব ইমার্জেন্সি হলে মাদ্রাসার তালেবুল এলেমদের নিয়ে চার ঘন্টায় খতম শেষ করে দোয়া করে দেন। দোস্ত তাের জন্যে এক্সটা ফি দিয়ে আর্জেন্ট দোয়া করাব। ইনশাল্লাহ আমি কথা দিলাম। আর আমি রােজ এসে তাের বের করব। টিফিন কেরিয়ারে করে খাওয়া নিয়ে আসব। প্রমিজ।
‘কিছু আনতে হবে না।’
‘অবশ্যই আনতে হবে। তুই না খেয়ে থাকবি? দোস্ত মনে তরস, রাখ— কাল সকালের মধ্যে খতম স্টার্ট হবে। ইনশাল্লাহ।
অমাকে হাজতে থাকতে হল তিনদিন। ওসি সাহেবের সঙ্গে এই তিনদিন আমার কথা হল না। তিনি অসম্ভব ব্যস্ত। কোন একটা ঝামেলা হয়েছে – দিন রাত চব্বিশ ঘন্টাই তাকে ছােটাছুটি করতে হচ্ছে। এই তিনদিনে ব্যাঙাচির কোন
খোঁজ নেই। তার টিফিন কেরিয়ার নিয়ে আসার কথা।
চতুর্থ দিন সকালে ওসি সাহেব আমাকে ছেড়ে দিয়ে ক্লান্তমুখে বললেন, যান, চলে খান।
‘চলে যাব?’
‘হা, চলে যাবেন। গত পরশুই আপনাকে ছেড়ে দেবার কথা। আমি অপারেশনে যাবার আগে সেকেণ্ড অফিসারকে বলে গিয়েছিলাম আপনাকে ছেড়ে দিতে’ সে ভুলে গেছে। কিছু মনে করবেন না – দু’দিন এটা হাজতবাস হল!
আপনাকে কবীরের দোহার ব্যাখ্যাটা তাে বলা হল না।’
হিমুর রূপালী রাত্রি খন্ড-১৩
“ব্যাখ্যা বাদ দেন। আমার জান নিয়ে টানাটানি। খুব সমস্যায় আছি। এক কাপ চা খান– চা খেয়ে চলে যান। মনে কোন কষ্ট পুষে রাখবেন না। প্রতিমন্ত্রীর শালা টেলিফোন করে আমাকে বলেছেন যে, তিনি দুঃখিত — এই খবরটা যেন আপনাকে দেয়া হয়। আমি দিলাম । কাজেই আমার দায়িত্ব শেষ।
‘উনার কি ব্যথা উঠছিল? | ‘ব্যথার খবর জানি না। উঠেছে তাে বটেই। হাসপাতাল থেকে টেলিফোন হয়েছে। গলা চিষ্ট করছে। আপনি ইন্টারেষ্টিং কারেক্টর।
থ্যাংক য়ু।
আমি ওসি সাহেবের সঙ্গে চা খেলাম । ওসি সাহেব দুঃখিত গলায় বললেন, মনটা খুবই খারাপ। মনে হয় আমাকে বদলি করে খাগড়াছড়ি-টরির দিকে পাঠাবে। শান্তি বাহিনীর ডলা খাব।
‘শান্তি চুক্তি তাে হয়ে গেছে, এখন আর কিসের ডলা?”
‘এখনকার ডলা হবে আপোসের ডলা শান্তি শান্ত ভাবে হাসতে হাসতে ডলা। যাই হােক, বাদ দেন। চায়ের সঙ্গে কিছু খাবেন?”
একটা সিগারেট খাব। | ওসি সাহেব সিগারেট দিনে। লাইটার জ্বালিয়ে সিগারেট রাতে এসেছেন। বাতাসের জন্যে ধরাতে পারছেন না। ৩’সে লাইটারের আগুন নিভে যাচ্ছে। তিনি মহা বিরক্ত আমি ওসি সাহেবকে বললাম, একটা মজার কথা কি জানেন ওসি সাহেব! ছোট্ট আগুনের শিখা বাতাসে নিভে যায় । কিন্তু বিশাল যে আগুন, যেমন মনে করুন দাবানল, বাতাস পেলে ফুলে-ফেঁপে উঠে।
ওসি সাহেব বললেন, এটাও কি কবীরের দোহা? জ্বি না, এটা হিমুর নেহা। “হিমুট: কে? ‘আমিই হিমু।
হিমুর রূপালী রাত্রি খন্ড-১৩
ও আচ্ছা, আপনি হিমু। একবার বলেছিলেন। ভুলে গিয়েছি। কিছু মনে থাকে না। এমন এক বিপদে আছি যা বলার না। কারাে সঙ্গে পরামর্শও করতে পারছি না। এটা এমনই এক সেনসেটিভ ইস্যু যে পরামর্শও করা যাচ্ছে না। ইয়ে তাল কথা, আপনি পরামর্শ কেমন দেন?
খুবই খারাপ পরামর্শ দেই। আমার পরামর্শ যে শুনবে তার অবস্থা কাহিল।’ ‘শুনি আপনার পরামর্শটা।’ ‘ঘটনা না শুনে পরামর্শ নে কিভাবে।’
ওসি সাহেব গলা নামিয়ে ফিসফিস করে বললেন, একটা রেপ হয়েছে । অল্প বয়েসী একটা মেয়েকে তার স্বামীর সামনে তিন মস্তান রেপ করেছে। মস্তান তিনটার আবার খুব ভাল পলিটিক্যালে কানেকশান আছে। মেয়ে এবং মেয়ের স্বামী এদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
‘আপনাকে চাপ দেয়া হচ্ছে মামলা ভণ্ডুল করে দিতে?
‘এটা করলে তো ভালই ছিল। মামলা নষ্ট করা কোন ব্যাপারই না, আমাকে বলা হচ্ছে এই তিনজনের জায়গায় অন্য তিনজনের নাম ঢুকিয়ে দিতে। এটা কি করে সম্ভব বলেন? | ‘সম্ভব না কেন? মেয়ে যে তিন নাম বলছে সেই তিন নাম না লিখে আপনি লিখবেন অন্য তিন নাম। ঐ তিনজনকে ধরে এনে রাম জ্যাচা।
ব্যাটা তােরা কেন রেপ করলি না? অন্যরা রেপ করে চলে গেল তােরা ছিলি কোথায়? | রসিকতা করছেন না করেন, রসিকতা করেন। আমরা নষ্ট হয়ে গেছি। আমাদের নিয়ে তাে রসিকতা করবেনই। যারা আমাদের নষ্ট করল তাদের নিয়ে রসিকতা করার সাহস আছে? নেতাদের হাত থেকে দেশটাকে বের করে এনে সাধারণ মানুষের হাতে দেন— তারপর …
হিমুর রূপালী রাত্রি খন্ড-১৩
ওসি সাহেব চুপ করে গেলেন। আমি বললাম, ওসি সাহেব একটা কাজ করলে কেমন হয়? ওসি সাহেব ভুরু কুঁচকে বললেন, কি কাজ?
‘আপনি সত্যি আসামীদের ধরে সেই ভাবেই কেইস সাজিয়ে দিন। নিরপরাধ তিনজনকে শাস্তি দেবেন সেটা কেমন কথা?
ওসি সাহেব বিরক্ত গলায় বললেন, পাগলের মত কথা বলবেন না। দেশের পরিস্থিতি বিচার করে কথা বলবেন। হাই লেভেল থেকে যেটা চাওয়া হয় সেটাই কতে হবে।
‘অপনি যখন সত্যি কাজটা করবেন তখন আপনি হাই লেভেলে চলে। যাবেন। বাকি সবাই চলে যাবে লাে লেভেলে।
‘আপনি বিদায় হােন। নিন, এ সিগারেটের প্যাকেটটা রেখে দিন। ঘুষের টকায় কেনা । অসুবিধা নেই তাে?”
‘কোন অসুবিধা নেই।
আমি থানা থেকে বের হলাম। ওসি সাহেবও আমার সঙ্গে সঙ্গে বাইরে এলেন। তাকে খুব চিন্তিত লাগছে। তার চেহারা থেকে ঘুষ খাই, ঘুষ খাই তাবটা চলে গেছে।
বন্ধ দরজায় হেলান দিয়ে তামান্নার জন্যে অপেক্ষা করতে পারি। সেটা ঠিক হবে কি? খাল কেটে হাঙ্গর নিয়ে আসা হবে না তো। ফ্লাটবাড়িগুলিতে অবধারিতভাবে কিছু নিষ্কর্মা বডি বিল্ডার থাকে। তারা কারাের শালা, কারাের খালাতাে ভাই। এদের প্রধান কাজ ফ্ল্যাটবাড়ির পবিত্রতা রক্ষা করা।
কোন ছেলে কোন মেয়ের সঙ্গে ইটিস-পিটিস করছে কিনা তা লক্ষ্য রাখা, সন্দেহভাজন কেউ ঘুর ঘুর করছে কিনা তাও নজরে রাখা। বন্ধ দরজায় হেলান দিয়ে বসে থাকা অবশ্যই সন্দেহজনক কর্মশন্ডের ভেতর পড়ে। তমন্নার মা-বাবাই জানালা দিয়ে হাত ইশারা করে কাউকে ডাকিয়ে আনতে পারেন।
হিমুর রূপালী রাত্রি খন্ড-১৩
পানির তৃষ্ণা চক্রবদ্ধিহারে বাড়ছে । কলিংবেল টিপে পানি খেতে চাইলে কেমন হয়? একবার পানি চাইলে দরজা খুলতেই হবে। তৃষ্ণার্তকে পানি দেবে না। এমন বাঙালি মেয়ের এখনাে জন্ম হয়নি। রােজহাশরের ময়দানে সূর্য চলে আসবে মাথার এক হাত উপরে। তৃষ্ণায় তখন বুকের ছাতি ফেটে যেতে চাইবে। তখন শুধুমাত্র তাদেরকেই পানি পান করানাে হবে যারা তৃষ্ণার্তকে পানি পান করিয়েছে।
আমি কলিংবেলে হাত রাখলাম। তার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই বড়ি বিস্তার উপস্থিত হলেন। মনে হচ্ছে তাকে খবর দিয়ে আনানাে হয়েছে। সম্ভবত তামান্নার মা পেছনের বারান্দা থেকে পাশের ফ্ল্যাটের মহিলার সঙ্গে কথা বলেছেন। কারণ বডি বিল্ডার শীতল গলয় বলল, ব্রাদার একটু নিচে আসেন । কুইক।
এইসব ক্ষেত্রে কোন রকম তর্কবিতর্কে যাওয়া ঠিক না। আমি হাসি মুখে বডি বিল্ডারের সঙ্গে নিচে নেমে এলাম। সেখানে আরাে কয়েকজন অপেক্ষা করছে। অপেক্ষমান এক শুটকা যুবকই মনে হয় বু৬ি বণ্ডারদের লীডার। সে জ্ঞানী টাইপ মুখ করে চেয়ারে বসে পা নাচাচ্ছে। মুখে সিগারেট। তবে সিগারেটে আগুন নেই। হাতে লাইটার আছে। সিগারেট এখনে ধরানাে হয়নি। শুটকা তরুণ লাইটারটা এক হাত থেকে আরেক হাতে লােফালুফি করছে।
Read More