আমি তাদের নিয়ে বাদলদের বাড়িতে উপস্থিত হলাম । এত রাতে নাত্রেই জেগে থাকার কথা না, কিন্তু আমি জানি তারা সবাই জেগে আছে ।
আমার মন বলছে–– প্রবল ভাবেই বলছে। কিছু কিছু সময় আমায় ইনটিশন খুব কাজ করে।।
আমি মেজো ফুপার কাছে প্রতিজ্ঞা করেছি বাদলের ত্রিসীমানায় পাকব না । নিৰিম বাদলের বিয়ে হয়ে যাবে। এখন প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করে রাত আড়াইটায় দুই উটকো লােক নিয়ে উপস্থিত হলে ঘটনা কী ঘটবে কে জানে। মেজো রুপা ব্যপারটা খুব সহজ ভাবে নেবেন বলে মনে হয় না। তবে সম্ভাবনা শতকরা ১০ ভাগ যে তিনি ইতিমধ্যে বোতল নিয়ে স্থানে চলে গেছেন। কারণ আজ বুধবার। সুপার মদ্যপান দিবস। বােতল নিয়ে বসার জন্যে সুন্দঃ অজুহাতও আছে –
ছেলের বিয়ের কথাবার্তা হচ্ছে । এই তাে সেদিন ছােট্ট একটা ছেলে ছিল, শীতের দিনে বিছানায় পিপি করে কালে–কাদো গলায় বলত, মা, কে যেন পানি ফেলে দিয়েছে। সে আজ বিয়ে করে বউ আনতে যাচ্ছে। এ তো শুধু আনন্দের जाताना मश खानान्मन चाना। माननमारक पका दाखिया इनवाट छान সামান্য কাকে ম্রোটা দিয়ে গলা ভেজানো ।
মেজো ফুপা দ্রবীভূত অবস্থায় থাকলে কোনাে সমস্যা হবে না। মােফাজাল এবং জহিরুল এরাও ভাগ পাবে । মদ্যপাৰীৱ মলের ব্যাপারে খুব লরাউন–দিল হয়। দশটা টাকা ধার চাইলে এরা দেবে না, কিন্তু তিন হাজার টাকা দামের বােতলের পুরােটা আনন্দের সঙ্গে অন্যকে খাইয়ে দেবে। যা ভেবেছি তা–ই।
হিমুর রূপালী রাত্রি খন্ড-৭
বাড়ির সব বাতি জ্বলছে। হাসির শব্দ শােনা যাচ্ছে। আনন্দ উছলে পড়ছে। খােলা জানালায় সেই আনন্দ উছলে বের হয়ে আসছে। হাসির শব্দ, হৈচৈামোর শব্দ, ছােট বাচ্চাদের কান্নাকাটির শব্দ। আমি কলিংবেলে হাত রাখার আগেই। দরজা খুলে গেল । মেজো ফুপু দরজা খুললেন। তাঁর পরনে লাল বেনারসি, ইদানীংকার ফ্যাশানের মতাে কপালে সিদুর । মেজো সুরুপু হাসি মুখে বললেন, কী রে হিমু, তুই এত দেরি করলি? তাের জন্যে বাদল এখনও না খেয়ে বসে আছে।
আমি হাসলাম। দেরি করার অপরাধে খুবই লজিত এই টাইপের হাসি। ব্যাপারটা কি বুঝতে পারছি না। বাদলের বিয়ে হয়ে গেল না–কি? বিয়ে বােত্ব হয়। না। মনে হচ্ছে গায়ে হলুদ। ফুপুর কপালে হলুদ লেগে আছে। ‘আশ্চর্য, একটা দিন সময়মতাে আসবি না, আমি কি রােজই ছেলের বিয়ে। দেব? গায়ে হলুদের এমন জমজুমাট অনুষ্ঠান– আর তুই নেই। বাদল অস্থি হয়ে আছে তাের জন্যে। ঝিম মেরে আছিস ব্যাপার কি কথা বলছিস না কেন।
‘তােমাকে আসলে চিনতেই পারি নি। এইজন্যেই চুপ শুরে ছিলাম। মাই গড়, তােমাকে তাে দারুণ লাগছে! কে বলবে তােমার ছেলের বিয়ে ! মনে হচ্ছে তােমারই বিয়ে হয় নি। জানি না কেন। মাল খাওয়াতে নিয়ে যাচ্ছি, এইজন্যেঃ হইতে পারে। আপনের পকেটে সিগারেট আছে হিমু ভাই? একটা সিগারেট। লােন ধরাই।”
“আমার পাঞ্জাবির পকেটই নেই, আবার সিগারেট। সত্যই আপনের পাঞ্জাবির পকেট নাই।
পাঞ্জাবির পকেট যে নেই তা আমি দেখলাম । মােফাজ্জল বলল, টাকাপয়সা। কই ব্যালেন? পাজামার সিক্রেট পকেটে?
আমি হাসিমুখে বললাম, আমার কোনাে সিক্রেট পকেট নেই। আমি সঙ্গে কখনাে টাকাপয়সা রাখি না।
হিমুর রূপালী রাত্রি খন্ড-৭
মোকাল আবারও বিশ্বাস–অবিশ্বাসের মাঝামাঝি জগতে চলে গেল । উপর অবস্থা, আমার কথা বিশ্বাসও করতে পারছে না, আবার অবিশ্বাসও। করতে পারছে না। সে দালাল অস্তিল আধা পড়েছে। তবে জহিরুল আমার কন্যা | বিশ্বাস করেছে।
ভয়ে আছিস কেন? আম, লামানো তা বলবি না তো। পণঃ sr! দাড়িয়ে আছিস কেন, ভতরে আয়।” ‘ আমি খালা নিচু করে বললাম, ফুপু, আমার দুজন গেষ্ট আছে, ওর
হিরুল বলল, এই দিনে যদি মন না খান খাবেন কবে!
এই ব্যাপারটাই তাে তোমাদের ফুপুকে বােঝাতে পারছিলাম না। শরৎচন্দ্রের দেবদাস পড়ে মেয়েরা ধরেই নিয়েছে মন একটা জাবহ ব্যাপার ।। পরিমিত মদ্যপান যে হার্টের কত বড় অষুধ তা এরা জানে না। টাইম পত্রিকায় একটা আটিকেল ছাপা হয়েছে সেখানে পরিষ্কার লেখা যারা পরিমিত মদ্য পান। করে তাদের হার্ট এটাকের রিক্স অর্ধেক কমে যায়। তােমরা কী একটু খেসে ‘লাস্তায় দাঁড় করিয়ে লেখেছি। বাড়িতে ঢুকতে দাও কী না–দাও না ।
মােফাজ্জল বলল, জ্বি না, জ্বি না। আপনি মুরুব্বির মানুষ। লজ্জা করবে না তাে, খাও । এত বড় একটা আনন্দ–উৎসবে আমি একা একা বসে আছি। তােমরা আসায় তাও কথা বলার লােক পাচ্ছি । হিমু যা তাে দুটা
সি এনে দে। বােতল আরেকটা লাগবে। আমার ঘরে চলে যা। বুক শেলফের।
তোর কী বুদ্ধিশুদ্ধি দিন-দিন চলে যাচ্ছে নাকি? আমার ছেলের বিয়েতে সহ্মবান্ধব নিয়ে আসবি না তো কী পাড়ার লােকের বিয়েতে আসবি। আর আকেলটাই–বা কীরকম রাস্তায় দাড় করিয়ে রাখলি কোন হিসাবে ওরা না ” কী ভাবছে।
‘ ‘কিছুই ভাবছে না, আমি নিয়ে আসছি। ফুপা কা বাসায় আছেন?”
‘ বাসায় থাকবে না তাে যাবে কোথায়? একটা অজুহাত পেয়েছে ছোলেন। নিয়ে বোতল নিয়ে ছাদে চলে গেছে। বাড়িভরতি লােকজন। না জানি । ভাবছে।
হিমুর রূপালী রাত্রি খন্ড-৭
‘ “তােমাকে কিন্তু দারুণ লাগছে ফুপু ! শাড়ি কী কোনাে নতুন কায়দায় পড়ে। মােটাটা আলােকটা ঢাকা পনেছে। নিল এক মেনে না নেই – তাই না দিলেন
“স্যার, আমার নাম মোহুল।”
ল্যাণ বলছ কেন? আমি হিমুল ও শা, “তামণি ও শাে। এই এটি। ছেলেটা তার ও সুপ । তোমার নাম যেন কী?
“অবশ্যই সত্যি বলছি।
রাণীও বলছিল আমাকে নাকি মি লাগছে। তুই কথা বলে সময় নষ্ট করিস। না তো তোর বন্ধুদের নিয়ে আয়। আমি খাবার গরম করছি।।
‘ বলা কিছু খাবে না ফুপু। ওরা খেয়ে এসেছে। আমি বাদলের সঙ্গে খাব, জলা ছাদে বসে রুপার সঙ্গে গল্প করবে। ‘ ফুপা আমাকে দেখে আনন্দে অভিভূত হলেন। মাতালরা একটা পর্যায়ে যে কোনাে ব্যাপারে আনন্দে অভিভূত হয়। তার এখন সেই অবস্থা চলছে। ফুপার মানেই নেই যে তিনি আমাকে আসতে নিষেধ করেছেন।
“আরে হিম! হােয়াট এ প্রেজেন্ট সারপ্রাইজ! তােমার কথাই ভাবছিলাম।‘ ‘পা এরা হল আমার দুই বন্ধু, একজন মােফাজ্জল আর একজন জহিরুল।।
সুপা, মধুর গলায় বললেন, তােমরা কেমন আছ? তুমি করে বললাম। কিছু মনে কোরাে না আবার । হিমু হচ্ছে আমার ছেলের মতো সেই হিসেবে তােমরাও আমার ছেলে। হা হা হা, দাড়িয়ে আছ কেন, বসো। খুব ঠাণ্ডা তাে, এইজন্যেই। সুজোটা দুইস্কি খাচ্ছি। তার উপর ছেলের বিয়ে মহা আনন্দের ব্যাপার । মেয়ের | নিয়ে হালে কষ্টের ব্যাপার হত। মেয়ের বিয়ে মানে মেয়ের বিদায়। ছেলের বিয়ে । মানে নতুন একটা মেয়ে প্রাপ্তি। এই উপলক্ষে সামান্য মদ্যপান করা যায়। ঠিক ‘টকা ছেলে বলায় রাগ কর নি তাে?” “২ি না।”
হিমুর রূপালী রাত্রি খন্ড-৭
তােমার ফুপুকে দেখার পর পৃথিবীর যে–কোনাে মানুষকেই আমার কাছে শুটকা মনে হয়। একবার কী হয়েছে শোনাে প্লেনে কলে চিটাগাং যাচ্ছি। সে লেখি প্লেনের সীটে ঢোকে না। হাস্যকর ঘটনা। এয়ার হােস্টেল, আমি দুজনে। মিলে ঠেলাঠেলি । এখনাে মনে করলে লজ্জায় মরে যাই।” ।আমি নিচে চলে এলাম। মােফাজ্জল আর জহিরকে নিয়ে আর চিত্তার কিছু নেই। তারা মনের সুখে ব্ল্যাক ডগ খেতে পারবে।
ফুপা যত্ন করে মুখে তুলে তুলে খাওয়াবেন। বােতল শেষ হলেও কোনাে সমস্যা নেই। বিচিত্র সব জায়গা। থেকে নতুন নতুন বােতল বের হবে। শেষের দিকে সিচুয়েশন আউট অব হ্যান্ড হয়ে যাবার সম্ভাবনাও অবিশ্যি আছে। এক মাতাল হয় বিষন্ন প্রকৃতির, দুই মাতাল হয় মিত্র ভাবাপন্ন। তিন মাতাল সর্বদাই ভয়াবহ । ।
খাওয়া শেষ করে আমি বাদলের ঘরে গিয়ে বসেছি। বাদলের গায়ে সিন্ডেল। পাঞ্জাবি, হাতে রাখি। চোখেমুখে লজ্জিত একটা ভাব। বিবাহ–নামক অপু | করতে যাচ্ছে এই কারণে সে যেন ছােট হয়ে আছে। তাকে দেখাচ্ছে ও সুর । সুন্দর। বিয়ের আগে-আগে শুধু যে মেয়েরাই সুন্দর হয়ে যায় তা না, ছেলেরাও। সুন্দর হয়। আমি ব্রাদলের দিকে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে আছি।
হিমুর রূপালী রাত্রি খন্ড-৭
বাদল, তােকে খুব সুন্দর দেখাচ্ছে। গায়ের নুপ্তও তাে মনে হয় ।খােলতাই ।
আসিয়ামে বলল, হলুদ দিয়ে দুলাভলি করে গায়ের চামড়া ডন যে–লেছে, রঙ তো খােলতাই হবেই। ‘বিয়ে হচ্ছে যার সঙ্গে সেই মেয়েটার নাম কী?‘। “পুরানাে ধন্নলের নাম— অাঁখি।‘
মেয়েটা কেমন?” জানি না কেমন। কথা হয়নি তাে। ‘च अन्नवा‘ সবাই তাে তা–ই বলছে। তুই বলছিস না?‘। বানল লজ্জা লজ্জা গলায় বলল, আমিও বলছি।। “তাের খুব ভাল একটা দিনে বিয়ে হচ্ছে। ২২ ডিসেম্বর আদ্রত। ‘ ‘২২ ডিসেম্বর কী খুব শুভদিন হিমু দা?
“কালবেল সবচেয়ে লম্বা নাতটা হল ২২ ডিসেম্বরের রাত। তারা দুজনে গালে কার আন্যে অনেক সময় পাৰি।
Read More