হুমায়ূন আহমেদের লেখা হিমুর দ্বিতীয় প্রহর খন্ড-১৮

আপনি যদি সময় নয়আপনি জেগে ছিলেন তাই দরজা তাহলে অন্য সময় আসব

হােক আসুন, ভেতরে আসুন।  দরজার হুক লাগালেন । ভউ হলে দরজার দুক জন্যে এত ঝামেলা একটা পেরেক উচু হয়ে সম্পন্ন কাউকে দেখলে অবশ্যই বিশ্বাস কর । আপনি কী দেখতে চান?” 

জি নাআমার কৌতূহল কমনানান ঝামেলা করে কোনাে এক পীর মাহেবের কাছে যাব, তার কেরামতি দেখব, সেই ইচ্ছা আমার নেই। 

কেউ যদি আপনার সামনে এসে আপনাকে কোনাে কেরামতি দেখাতে চায়আপনি দেখবেন?মিসির আলি চায়ের মগ নামিয়ে রাখলেনএদিকওদিক তাকাচ্ছেন সবত সিগারেট খুঁজছেনএই ঘরে সিগারেট নেইআমি ঘরটা খুব ভালমতােদেখেছিমিসির আলি সাহেবের কাছে যেহেতু এসেছি স্বভাবটাও তার মতাে করার চেষ্টা করছিপর্যবেক্ষণক্ষমতাকে বাড়িয়ে দেবার চেষ্টাআমি লক্ষ্য করলাম, মিসির আলি সাহেবের চেহারায় সুক্ষ হতাশার ছাপ পড়ল অর্থাৎ শােবার ঘরেও সিগারেট নেইনিকোটিনের অভাবে তিনি খানিকটা কাতর বােধ। 

আমি বসে বসে ঘরের কিছই চোখে পড়ছে নালেটেবিলের উপরে বাংলা 

আমি বললাম, স্যার, আমার কাছে সিগারেট নেই‘ 

মনি জেগেছিলাম নাঘুমুচ্ছিলামযাই হােক আসুন,আমি ভেতরে ঢুকলামমিসির আলি সাহেব দার . নেহার লুকটা বেশ শতি, লাগাত তার কষ্ট হলঅন্য কেউ হলেজানত নাযে অতিথি কিছুক্ষণের মধ্যে চলে যাবে তার জন্যে করে দরজা বন্ধ করার দরকারটা কি

হিমুর দ্বিতীয় প্রহর খন্ড-১৮

বসুন। চেয়ারটায় বসুনহাতলের কাছে একটা পেরেক s. আছেপাঞ্জাবিতে লাগলে পাঞ্জাবি ছিড়বে‘ 

মিসির আলি সাহেব পাশের ঘরে ঢুকে গেলেন। আমি বসে সাজসজ্জা দেখতে লাগলামউFেশ করার মতাে কিছুই চোখে কয়েকটা বেতের চেয়ার। গােল একটা বেতের টেবিলটেবিলের উপর ম্যাগাজিনউপরের পাতা ছিড়ে গেছে বলে ম্যাগাজিনের নাম পড়া যায়এক কোনায় একটা চৌকিচোকিতে বিছানা পাতাএই বিছানায় কে দলে মিসির আলি সাহেব মানে হয় নাএই ঘরে আলো কম বিছানায় শুয়ে পড়া যাবে নামিসির আলি সাহেবের নিশ্চয়ই বিছানায় শুয়ে বই a অভ্যাসতাঁর শােবার ঘরটা দেখাতে পারলে হত

মিসির আলি ঢুকলেনতার দুহাতে দুটা মগ মগভরতি চা নিন চা নিনদুচামচ চিনি দিয়েছিআপনি কী চিনি আরও বেশি মানায় জি নাযে যতটুকু চিনি দেয় আমি ততটুকুই খাই‘ 

তিনি আমার সামনের চেয়ারটায় বসালেনএরকম বিশেষত্বহীন চেহারমানুষ আমি কম দেখেছিকে জানে বিশেষত্বহীনতাই হয়তাে তার বিশেষতচাখাচ্ছেন শব্দ করেনিজের চায়ের স্বাদে মনে হয় নিজেই মুগ্ধ আমি এত আরামকরে অনেক দিন কাউকে চা খেতে দেখিনি। 

তারপর হিমু সাহেব, বলুন আমার কাছে কেন এসেছেনআপনাকে দেখতে এসেছি স্যার| আচ্ছাএর আগে বলেছিলেনকথা বলতে এসেছেনআসলেকোনটা 

ঠোঁটে সূক্ষ্ম একটা হাসির ছায়া দেখলাম হাসিটা কী ব্যঙ্গের? কিংবা আমার ছেলেমানুষীতে তার হাসি পাচ্ছেনা মনে হয় । 

হিমুর দ্বিতীয় প্রহর খন্ড-১৮

স্যার, আমি নিজেও সামান্য ভবিষ্যৎ বলতে পারিঠিক আড়াইটার সময় কেউ একজন এসে আপনাকে এক প্যাকেট সিগারেট দেবে।’ মিসির আলি এবারে সহজ ভঙ্গিতে হাসলেনচায়ের মগে চুমুক দিতে দিতে বললেন, সেই কেউ একজনটা কী আপনি?” 

জি স্যারআড়াইটার সময় আমি আপনার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আপনাকে এক প্যাকেট সিগারেট কিনে দিয়ে যাব 

দোকান খােলা পাবেন? ঢাকা শহরে কিছু দোকান আছে খােলেই রাত একটার পর‘ 

দুটাই চোখ বন্ধ করে তাে আর কথা বলব নাআপনার দিকে তাকিয়েই। 

তাও তাে ঠিকবলুন কথা বলুনআমি শুনছি‘ 

মানুষের যে নানান ধরনের অতীন্দ্রিয় ক্ষমতার কথা শােনা যায় আপনি কীতা বিশ্বাস করেন?” 

আমি যে রকম অতীন্দ্রিয় ক্ষমতা সম্পন্ন মানুষ এখনও কাউকে দেখিনি কাজেই বিশ্বাসঅবিশ্বাসের প্রশ্ন আসে নাআমার মন খেলা, তেমনি তা 

আমি মিসির আলি সাহেবের দিকে একটু ঝুঁকে এসে বললাম, আমি কিন্তু স্যার মাঝে মাঝে ভবিষ্যৎ বলতে পারিসব সময় পারি নাহঠাৎ হঠাৎ পারি।’ 

ভালতাে!আপনি কী আমার মতাে কাউকে পেয়েছেন যে মাঝে মাঝে ভবিষ্যৎ বলতেপারে‘ 

সব মানুষই তাে মাঝে মাঝে ভবিষ্যৎ বলতে পারেএটা আলাদা কোনো ব্যাপার নাইনটিউটিভ একটা বিষয়মাঝে মাঝে ইনটিউশন কাজে লাগে মাঝে মাঝে লাগে নামস্তিষ্ক ভবিষ্যৎ বলে যুক্রিম দিয়ে সেইসব যুক্তির পুরােটাআমরা বুঝতে পারিনা বলে আমাদের কাছে মনে হয় আমরা আপনা আপনি ভবিষ্যৎ বলছি

 ওয়ার্কের চেয়েও সামান্য পনার ভাল লাগেটা ম্যাজিক দেখাবার পর হ্যা, তা করবেমানুষ খুব যুক্তিবাদী প্রাণী হলেও তার মধ্যে অনেকখানি অংশ আছে যুক্তিহীন মানুষ যুক্তি ছাড়াই বিশ্বাস করতে ভালবাসেপ্রাণীহিসেবে মানুষ সব সময় অসহায় বােধ করেসে সারাক্ষণ চেষ্টা করে অসহায়ত থেকে মুক্তি পেতে পীরফকির, সাধুসন্নাসী হস্তরেখা, অ্যাস্ট্রলজি, নিউমালোলজির প্রতি এইসব কারণেই মানুষের বিশ্বাস

হিমুর দ্বিতীয় প্রহর খন্ড-১৮

 আপনার ধারণা মানুষ কোনাে বিশেষ ক্ষমতা নিয়ে পৃথিবীতে আসে নি?| অবশ্যই মানুষ বিশেষ ক্ষমতা নিয়ে পৃথিবীতে এসেছেএকদিন যে মানুষ সমগ্র নক্ষত্রমল জয় করবে তার ক্ষমতা অসাধারণ তবে তার মানে এই না সেভবিষ্যৎ বলবেদুটা বেজে গেছেআপনার কথা ছিল না আমার জন্যে এক প্যাকেট সিগারেট এনে দেয়া” 

আমি উঠে দাড়ালাম মিসির আলি বললেন, চলুন আপনার সঙ্গে যাইকোন দোকানটা রাত দুটার সময় খােলা থাকে আমাকে দেখিয়ে দিনমাঝে মাঝে সিগারেটের জন্যে খুব সমস্যায় পড়ি। 

মিসির আলি তার ঘরের দরজায় তালা লাগালেন নাতালা খুঁজে পাচ্ছেনঘর খােলা রেখে গভীর রাতে বের হচ্ছেন তার জন্যেও তার মধ্যে কোনাে অস্বস্তি লক্ষ্য করলাম নাঘর খােলা রেখে বাইরে যাবার অভ্যাস তাঁর নতুন না এটা বােঝা যাচ্ছেমনে হচ্ছে, তার মধ্যেও খানিকটা হিমু ভাব আছেডিলিউশন হচ্ছে খিনি

আমার ভবিষ্যৎ বলার ক্ষমতা ইনটিউটিভ (গে ওয়ানে লেনিআমি ব্যাপারটা বুঝতে পারছি না বলে আপনার কাছে এসেছি আপনার ভবিষ্যৎ বলার ক্ষমতা সম্পর্কে অন্যরা জানে

অন স্লাভাছি থাকে, যারা আমাকে ভালমতাে চেনে তালা , আপনার আশেপাশের মানুষদের এই ক্ষমতা দেখাতে আপনার লে তাই না?‘ 

ভালই লাগেএকজন মা ডশিয়ান সুন্দর একটা ম্যাজিক দেন যেমন আনন্দ পায়আমিও সে রকম আনন্দ পাই । 

হিমু সাহেব!মি স্যার

হিমুর দ্বিতীয় প্রহর খন্ড-১৮

আমার ধারণা আপনি একধরনের ডিলিউশনে ভুগছেনডিলিউশন নিজের সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণাযে কোনাে কারণেই হােক আপনার ভেতর ধারণা জলেছ আপনি সাধুসন্ত টাইশের মানুষ আপনার খালি পাপাবি এইসব দেখে তাই মনে হচ্ছেযে কোনাে ডিলিউশন মানুষের একবার ঢুকে গেলে তা বাড়তে থাকেআপনারও বাড়ছে

আপনি আপনার ভবিষ্যৎ বলার ক্ষমতা নিয়ে একধরনের অহংকার বােধ করছেন আপনাকে যতই লােকজন বিশ্বাস করছে আপনার ততই ভাল লাগছেরাত দুটায় আপনি আমার কাছে এসেছেন বিশ্বাসীর তালিকাবুদ্ধির উদনেরাত দুটার সময় না এলে আপনি সকাল দশটায় আসতে পারতেন আসেন নিকারণ যে সাধু সেজে আছে সে যদি সকাল দশটায় আসে তা হলে তার প্রহসন থাকে নারহস্য বজায় রাখার জন্যেই আসতে হবে রাত দুটার দিকে হিমসাহেল। 

জ্বি স্যার?” 

আপনার সম্পর্কে আমি কিছু জানি নাআপনি আমাকে নিজের সম্পর্কে কিছু বলেন নিতবে আমি মােটামুটি নিশ্চিত নিজেকে অন্যের চেয়ে আলাদাপ্রমাণ করার জন্যে আপনি অদ্ভুত আচারআচরণ করেনযেমন আপনার পায়ের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে আপনি প্রচুর হাটেনমনে হচ্ছে রাতেই হাঁটেন

কারণ দিনে হাঁটা তাে স্বাভাবিক কর্মকাণ্ডে পরেযেহেতু আপনি রাতে হাটেনবিচিত্র সব মানুষের সঙ্গে আপনার পরিচয় আছেআপনার ডিলিউশনকে পােক্ত করতে এরাও সাহায্য করেএদের কেউ কেউ আপনাকে বিশ্বাস করতে শুরু করেআপনার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা মানেই আপনাকে সাহায্য করাআমার ধারণা এদের কেউ কেউ আপনাকে সাধুও ভাবেআপনার পদধুলি নেয়। 

হিমুর দ্বিতীয় প্রহর খন্ড-১৮

মানুষ কোনাে কারণ ছাড়াই একজনকে সাধু হিসেবে বিশ্বাস করতে শুরু 

জি স্যার? আপনি আমার কথায় আপসেট হবেন নাআমি আপনাকে হার্ট করার ন্যে কিছু বলিনি। 

আপনি যে ধরণের কথা বলবেন তা আমি জানতাম সব জেনেশুনেই আমার কাছে এসেছেন?জি স্যার‘ 

আমার ধারণা আপনি আমার কাছে এসেছেন অন্য কোন সমস্যা নিয়ে যা আপনি বলছেন না” 

স্যার আমি আপনাকে একটা জিনিস দেখাতে চাইকি জিনিস?” 

আমি কিছুদিন আগে প্রচণ্ড ভয় পেয়েছিলামযা দেখে ভয় পেয়েছিলাম, সেই জিনিসটা আপনাকে দেখাতে চাই‘ 

কেন? আপনি চান যে আমিও ভয় পাই?‘ 

আমার কাছে শুনে আপনি ব্যাপারটা সম্পর্কে ধারণা করতে পারবেন না‘ 

তবু শুনিআমি ভয় পাবার গল্পটা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত বললামমিসির আলি 

গরের মাঝখানে একবারও কিছু আনতে চাইলেন নাহ্যা পর্যন্ত বললেন নাসিগারেট কিনলামতিনি একটা সিগারেট ধরালেনতারপর বললেন, আপনি একটা কাজ করুনগল্পটা আবার বলুন। 

আর বলব?হ্যা আবার। 

তা অসীনের অনুসন্ধান করেন সামার ভেতর থেকেমাসে ফিরে যেতে ইচ্ছা করছে নামনে হচ্ছে, বাতটা হেঁটে হেঁটেই কাটিয়ে আনি ক্লান্তিতে শরীর ভেঙ্গে আসছে পা ভারি হয়েছেঘুমে চোখ বন্ধ হয়ে লতবস্তা ভাইয়ের পাশে গিয়ে কি শুয়ে থাকব? স্লিপিং ব্যাগে তাদের ডালি কেমন কাটছে সেটাও দেখতে ইচ্ছা করছে

হিমুর দ্বিতীয় প্রহর খন্ড-১৮

ছেলেটার নাম যেন কি? গাবুল না আনল নাঅন্য কিছুনামটা কি সে আমাকে বলে? আচ্ছা প্রতিটি পাছিল নিল আনষের মত নাম আছে? গাছ মাকি তার গাছ শিশুদের নাম রাখেনআন্নাযেমন গাছের নামে নাম রাখি শিমুল, পলাশ, বাবলা, এক্সা কি পছন্দের মানষের নামে তাদের পুত্র কন্যাদের নাম রাখে যেমন একজনের নাম রাখলহিমু, আরেকজনের সােলায়মান । 

হ্যা মনে পড়েছেবস্তা ভাইয়ের পুত্রের নাম সুলায়মান সুলায়মানকে 

*দ্বিতীয় বার শুনে দেখি কেমন লাগেআমি আবারাে গল্প শুরু করলামমিসির আলি সিগারেট টানতে টানতে তার বাসার দিকে যাচ্ছেনআমি সঙ্গে সঙ্গে যাচ্ছি এবং গল্প বলছি । তিনি নিঃশব্দে শুনে যাচ্ছেনআমি তাঁর মুখে চাপাহাসিও লক্ষ্য করছি । 

হিমু সাহেব হি স্যালি। 

আপনার গল্পটা ইন্টারেস্টিং, আমি আপনার সঙ্গে পরে এই নিয়ে কথা 

আপনি যদি চানযে জায়গাটায় আমি ভয় পেয়েছিলামসেখানে নিয়ে যেতে পারি। 

আমি চাচ্ছি নাতাহলে স্যার আমি যাই‘ 

আচ্ছা আবার দেখা হবেভাল কথা যে গলিতে আপনি ভয় পেয়েছিলেন আপাতত সেই গলিতে না ঢুকা ভাল হবে

এই কথা কেন বলছেন? হঠাৎ ব্রেইনে চাপ সৃষ্টি না করাই ভালমানুষের একটা অসুখের নামএরিকনােফোরিয়ামাকড়সা ভীতিএই অসুখ থেকে মানুষকে মুক্ত করার একটা পদ্ধতি হচ্ছে তার গায়ে মাকড়সা ছেড়ে দেয়ামাকড়সা তার গায়ে কিলবিল করে হাটিৰে  এবং রােগি বুঝতে পারবে যে মাকড়সা অতি নিরীহ প্রাণীতাকে ভয় পাবার কিছু নেইএই চিকিৎসা পদ্ধতিতে মাঝে মাঝে রােগ ভাল হয়তবে কিছু ক্ষেত্রে খুব খারাপ ফল হয়রােগি তখন চারদিকে মাকড়সা দেখতে পায় আমি চাইনা আপনার ক্ষেত্রে এই ঘটনা না ঘটুক‘ 

হিমুর দ্বিতীয় প্রহর খন্ড-১৮

স্যার যাই?। 

 স্লিপিং ব্যাগের ভেতর পিতাপুত্র দুজনই ঘুমুচ্ছিলআমি তাদের ঘুম ভাঙ্গালাম নাতাদের পাশে শুয়ে পড়লাম এরা মনে হচ্ছে, আমার জন্যে তাগ রেখেছেপাশের জায়গাটায় খবরের কাগজ বিছিয়ে রেখেছেশুধু যে খবরের কাগজ তা না বরের কাগজের উপর বড় পলিথিনের চাদর আমি শােনামাত্র শিপিং ব্যাগের মুখ খুলে গেলসােলায়মানতার মাথা বের করল। 

কি খবর সুলায়মান ? সুলায়মান হাসল তার সামনের দুটা দাঁত পড়ে গেছে । 

দাত পড়া সুলায়মানকে সুন্দর দেখাচ্ছে সুলায়মান লাজুক গলায় বলল, আফনের জন্যে বাপজান জায়গা রাখছে। 

ভাল করেছেএখন থাইক্যা আফনের এই জাগা রিজাভ।’ 

বাচা গেলসব মানুষেরই কিছু না কিছু রিজার্ভ জায়গা দরকারতুই কি পড়তে পারিস

আমি চলে আসছিরাস্তার শেষ মাথায় গিয়ে ফিরে তাকালামমিসির আলিঘরে ঢুকেন নিএখনাে বাইরে দাড়িয়ে সিগারেট টানছেনতাকিয়ে আছেনআকাশেদিকে কি দেখছেন তারাআমি একটু বিস্মিত হলামমিসির আলিধরনের মানুষরা মাইক্রোসকোপ টাইপ কাছের জিনিসকে তারা সাবধানেদেখতে ভালবাসেনধরা ছোঁয়ার বাইরের ভগতের প্রতি তাদের আগ্রহ থাকার পড়াশােনাতাে করা দরকাররে ব্যাটা।” গরীব মানুষের পড়ালেখা লাগে নাকে বলেছে?কেউ বলে নাইআমি জানি‘ 

হিমুর দ্বিতীয় প্রহর খন্ড-১৮

এখন থেকেই নিজে নিজে জানা শুরু করেছিস?সুলায়মান দাঁত বের করে হাসল চোখ অন্যদিকে ফিরিয়ে বলল, আফনেরেকি ড্রাকুম  যা ডাকতে ইচ্ছা হয় ডাক কি ডাকতে ইচ্ছা করে?” মামা। 

বেশতাে মামা ভাকবিমামা আফনে কিছু ব্র্যানেন? জানিনবি?” 

বল চামুলত সে তার বাবার মুমী জালাতে চাচ্ছে নাসুলায়মান পড়আমার পাশেআমি গল্প শুরু করলামমন ভেতর অসীম ক্ষমতা সম্পন্ন দে ঘুমিয়ে থাকেতাৰ

জানা যায় তাহলে সে অসাধ্য সাধন করতে পারেসৰ মানমত করে আলাউদ্দিনের চেরাগ নিয়ে পৃথিবীতে পাঠানাে হয়অল্প কি হেয়াগে ঘুমিয়ে থাকা দৈত্যকে জাগাতে পারে। 

সুলায়মান।ডি মামাতাের মনের যে কোন একটা ইচ্ছার কথা বলতো দেখি তোৰ একটা ইচ্ছা পূর্ণ হবে‘ 

আমার কোন ইচ্ছা নাই মামা। 

শপিং ব্যাগ থেকে বের সুলায়মান এসে শুয়ে 

চেরাগের গল্পযে কেতার যদি ঘুম |

 

Read More

হুমায়ূন আহমেদের লেখা হিমুর দ্বিতীয় প্রহর খন্ড-১৯

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *