✈️ ভূমিকা
কানাডা বর্তমানে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় গন্তব্য। উন্নতমানের শিক্ষা, নিরাপদ পরিবেশ, স্কলারশিপ ও চাকরির সুযোগের কারণে প্রতিবছর হাজারো বাংলাদেশি শিক্ষার্থী কানাডায় পড়াশোনা করতে যায়। তবে স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেস অনেকেই ভালোভাবে জানেন না। চলুন ধাপে ধাপে দেখে নিই।
✅ ধাপ ১: কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়/কলেজে ভর্তি নিশ্চিত করুন
-
প্রথমেই আপনাকে Designated Learning Institution (DLI) লিস্টভুক্ত কোনো বিশ্ববিদ্যালয়/কলেজে ভর্তি হতে হবে।
-
ভর্তি হওয়ার পর প্রতিষ্ঠান থেকে Letter of Acceptance (LOA) সংগ্রহ করুন।
✅ ধাপ ২: প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সংগ্রহ করুন
ভিসার জন্য নিচের ডকুমেন্টগুলো অবশ্যই লাগবে –
-
বৈধ পাসপোর্ট
-
Letter of Acceptance (LOA)
-
একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট ও সার্টিফিকেট
-
ভাষা দক্ষতার প্রমাণ (IELTS/TOEFL ইত্যাদি)
-
মেডিকেল পরীক্ষা রিপোর্ট
-
ব্যাংক স্টেটমেন্ট (অর্থনৈতিক সামর্থ্যের প্রমাণ)
-
Police Clearance Certificate
✅ ধাপ ৩: ফান্ড প্রুফ / অর্থনৈতিক সামর্থ্য দেখানো
-
বছরে অন্তত CAD $10,000 – CAD $15,000 খরচ দেখাতে হবে (টিউশন ফি বাদে)।
-
ব্যাংক স্টেটমেন্ট, Fixed Deposit, বা Scholarship letter ব্যবহার করা যেতে পারে।
✅ ধাপ ৪: অনলাইনে ভিসা আবেদন করুন
-
কানাডার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট (www.canada.ca) থেকে অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
-
IMM 1294 Form পূরণ করে সব ডকুমেন্ট আপলোড করুন।
-
ভিসা ফি পরিশোধ করুন (প্রায় CAD $150)।
✅ ধাপ ৫: বায়োমেট্রিকস এবং মেডিকেল পরীক্ষা
-
VFS Global Center (ঢাকা) এ গিয়ে বায়োমেট্রিকস দিতে হবে।
-
মেডিকেল টেস্ট অবশ্যই Canada-approved panel physician দিয়ে করতে হবে।
✅ ধাপ ৬: ভিসা প্রসেসিং টাইম
-
সাধারণত ৬-১২ সপ্তাহ সময় লাগে।
-
মাঝে মাঝে Interview এর জন্য ডাকা হতে পারে।
✅ ধাপ ৭: ভিসা অনুমোদন ও ভ্রমণ প্রস্তুতি
-
ভিসা অনুমোদন হলে Port of Entry (POE) Letter পাবেন।
-
ফ্লাইট টিকিট, থাকার জায়গা এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত রাখুন।
বিশেষ টিপস
-
যত দ্রুত সম্ভব IELTS/TOEFL স্কোর প্রস্তুত করুন।
-
SOP (Statement of Purpose) শক্তিশালী লিখুন।
-
ফান্ড দেখাতে গ্যাপ বা সন্দেহজনক Transaction এড়িয়ে চলুন।
-
সবসময় অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে আবেদন করুন, দালালের কাছে নয়।
উপসংহার
বাংলাদেশ থেকে কানাডার স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া কঠিন নয় যদি সঠিক ডকুমেন্ট ও প্রস্তুতি থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি থেকে শুরু করে ফান্ড প্রুফ, ভিসা আবেদন, বায়োমেট্রিকস – সবকিছু ঠিকভাবে করলে আপনার বিদেশে পড়াশোনার স্বপ্ন পূরণ হবে।