ভালো ঘুমের জন্য খাবার গুলো কি কি

ভাল ঘুম

সুস্থ সবল জীবনের জন্য রাতে ভাল ঘুম  হওয়াটা সবার জন্য খুবই জরুরি। আপনি জানেন কি আপনার দৈনন্দিন খাদ্য অভ্যাসের উপর ঘুমের পূর্ণতা নির্ভর করে অনেকটাই। ঘুম ভাল হলে নানা ধরনের অসুখ-বিসুখে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়, মতিষ্ক সুস্থ থাকে। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে শরীরে অনেক সমস্যা হয়, বিশেষ করে আমাদের ব্রেন হ্যামারেজ হয়। একারণে বিশেষজ্ঞরা প্রতিদিন অন্ততপক্ষে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমের পরামর্শ দেন। যাদের রাতে ভাল ঘুম হয় না তারা ভাল ঘুমের জন্য খাদ্যতালিকায় কিছুটা পরিবর্তন আনতে পারেন। আসুন জেনে নেওয়া যাক ভালো ঘুমের জন্য খাবার গুলো কি কি এবং কিভাবে ঘুমের গুনগত মান বাড়াতে সহায়ক ভুমিকা পালন করে।

ভালো ঘুমের জন্য খাবার

পাকা কলা

কলায় আছে প্রচুর পরিমানে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং ট্রিপটোফিন। এই উপাদানগুলো সেরোটোনিন এর মতো ঘুমের হরমোন নিঃসরণে সহায়ক ভুমিকা পালন করে। রোজ রাতে কলা খান দেখুন কি দারুন ফল পাচ্ছেন।

দানাদার শস্য

গম, শিম এবং কলাই এর মতো শস্যজাতীয় খাদ্য গভীর ঘুমে এনে দেয়। এসব খাবার সেরোটোনিন নামক শিথিলকরণ হরমোনের নিঃসরণ বাড়িয়ে আপনাকে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন করে দিবে। এছাড়া এসব খাবারে থাকা ম্যাগনেশিয়ামও দেহের মাংসপেশি শিথিলকরণে সহায়ক। তাই শস্যদানা হতে পারে ঘুমের আগের একটি উৎকৃষ্ট জলখাবার।

ওটস

ওটস খুবই উপকারি এবং পুষ্টিকর একটি খাবার। এটি শুধু ঘুমের জন্যই ভাল না বরং এটি ওজন কমাতেও অনেক ভাল কাজ করে। এতে আছে জটিল কার্বোহাইড্রেটস যা খাবার হজমে বেশ সময় লাগায়। ফলে রাতভর পেট ভরা থাকার অনুভূতি থাকে এবং ঘুমের কোনো ব্যাঘাত ঘটে না। রাতের খাদ্য হিসেবে ওটসের তৈরি খাবার বা ওটস বিস্কুট খান আর দেখুন চমৎকার কার্যফল।

ডার্ক চকোলেট

এতে আছে সেরোটোনিন যা মন এবং দেহকে প্রশান্ত করতে সহায়ক। আর এর ফলে ঘুমও ভালো হয়।

মিষ্টি আলু

মিষ্টি আলুতে ঘুম বাড়াতে সহায়ক জটিল কার্বোহাইড্রেটস এবং মাংসপেশি শিথিলকরনে সহায়ক পটাশিয়ামও থাকে। তাই ঘুমের গুনগত মান বাড়াতে মিষ্টি আলুর জুড়ি নেই।

দুধ

রাতে শোয়ার আগে এক গ্লাস দুধ খেলে অনেক ভাল ঘুম হয়। কারণ দুধে প্রচুর ক্যালসিয়াম থাকে যা মস্তিষ্ককে গভীর ঘুমের জন্য সহায়ক হরমোন মেলাটোনিন নিঃসরণে উৎসাহিত করে। ফলে মেলাটোনিন নিঃসরিত হয় এবং এবং ভাল ঘুম হয়।

মধু

মেলাটোনিন নিঃসরণ বাড়িয়ে এবং মস্তিষ্ককে জাগিয়ে রাখার হরমোন ওরেক্সিন এর নিঃসরণ কমিয়ে ঘুমের গুনগত মান বাড়ায় মধু। মাত্র ১ চামচ মধুতেই গভীর ঘুম নেমে আসবে দেহে।

বাদাম

বাদামে আছে ট্রিপটোফ্যান এবং ম্যাগনেশিয়াম। এই দুটি উপাদান প্রাকৃতিকভাবেই স্নায়ু এবং মাংসপেশির কার্যক্রম স্তিমিতি করে আনতে সহায়ক। যা বিশ্রামের জন্য জরুরি। এছাড়া ঘুমের সময় হৃদপিণ্ডকে দৃঢ় এবং মসৃণভাবে সচল রাখতেও সহায়ক এটি।

পালং শাক

ফোলেট, ম্যাগনেশিয়াম, বি৬ এবং সি এর মতো ভিটামিন ছাড়াও এতে আছে গ্লুটামিন নামের একটি অ্যামাইনো এসিড যা শান্তিপূর্ণ ঘুমের জন্য বেশ সহায়ক হিসেবে কাজ করে।

সুতরাং আজ থেকেই এর কোনো একটি খাবার দিয়ে শুরু করুন। আর দুপুরের খাবারের পর থেকে ক্যাফেইন জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকুন। ঘুমানোর অন্তত তিন ঘণ্টা আগে রাতের খাবার শেষ করে ফেলুন। এছাড়া ভাল ঘুম এবং মানসিক চাপ কমানোর জন্য দিনে ব্যায়াম করাটাও জরুরি।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *