মধুর গুন ও মধুর ব্যবহার

মধুর গুন ও মধুর ব্যবহার সম্পর্কে আমরা অনেকেই পর্যাপ্ত জ্ঞান না থাকায় যথেষ্ট গুরূত্ব দেই না। অথচ রোগের চিকিৎসা ও রোগের ঔষধ হিসেবে প্রাচীনকাল থেকেই মধুর ব্যবহার হয়ে আসছে। পৃথিবীতে যত খাবার রয়েছে সব খাবারের পুষ্টিগুণ ও উপাদেয়তার দিকটি বিবেচনা করে যদি আমরা একটি তালিকা করি, তবে সে তালিকার প্রথম সারিতেই থাকবে ‘মধু’র নাম। মানবদেহের জন্য মধু অত্যন্ত উপকারী এবং নিয়মিত মধু সেবন করলে অসংখ্য রোগবালাই হতে পরিত্রান পাওয়া যায়। এটি বৈজ্ঞানিকভাবেই প্রমানিত। হাজার বছর পূর্বেও মধু ছিল সমান জনপ্রিয়। ইতিহাস পর্যালোচনা করে দেখা যায়, অনেক সভ্যতায় মধু ‘ঔষধ’ হিসেবেও ব্যবহৃত হত। এমনকি প্রতিটি পবিত্র ধর্মগ্রন্থেও মধু সেবনের উপকারিতা এবং কার্যকারিতার কথা উল্লেখ রয়েছে। রোগ থেকে মুক্তির দোয়া যেমন দরকার তেমনি রোগ মুক্তির দোয়ার পাশাপাশি ভেষজ হিসেবে মধুও রাখতে পারে কার্যকর ভূমিকা। ভেষজ চিকিৎসায় ভেষজ ঔষধ হিসেবে নানান ভেষজ উদ্ভিদ যেমন ব্যবহার হয়, তেমনি হারবাল ঔষধ হিসেবে মধুও একটি গুরুত্বপুর্ণ হারবাল। তাছাড়াও নবীর সুন্নতের মাঝে মধু-কালিজিরা একটি সুন্নত।

হাদিসে শরীফে অনেক হাদিসে, হাদিসের গল্পে এর উল্লেখ আছে। যে কেউ বাংলা হাদিসের বই থেকে তা জেনে নিতে পারেন। শুধু আল হাদিস এই নয়, মধুর কথা বলা আছে কুরআন শরীফ এও। কুরআন তেলাওয়াত করবার সময় কুরআন বাংলা পড়লে আল কুরআন এর সূরা নাহলের অনুবাদ পড়লে মৌমাছি ও মধুর আয়াতটি পাওয়া যাবে। কোরান শরীফে উল্লেখ থাকায় স্পষ্টত বোঝা যাচ্ছে মধুর গুরুত্ব কতখানি।

আর শরবত খেতে কে না ভালবাসে? নানান শরবতের রেসিপিতেও আজকাল মধু ব্যবহার হচ্ছে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *