অমানুষ পর্ব – ১১ হুমায়ূন আহমেদ

অমানুষ পর্ব – ১১

ফসিলো বেরিয়ে এল। রাত প্রায় এগারোটা বাজে। বাড়ি ফেরার আগে ঘণ্টা দুই জুয়া খেলা যেতে পারে। ভাগ্য খুলতে শুরু করেছে কি না তা জুয়ার টেবিলে না-বসা পর্যন্ত বলা যাবে না। মিরান্ডায় একটি ভালো জুয়ার আসর বসে।ফসিলো শাড়ির দরজা বন্ধ করে চাবির জন্যে পকেটে হাত দিতেই অনুভব করল, তার ঘাড়ের কাছে ধাতব কিছু-একটা লেগে আছে। কাঠ হয়ে বসে রইল ফসিলো।

পেছন থেকে ভারী গলায় কেউ-একজন বলল, যেভাবে বসে আছ ঠিক সেভাবেই বসে থাকো। এক চুলও নড়বে না।ফসিলো নড়ল না। ঘাড়ের পেছনে রিভলভারের নল লেগে থাকলে এমনিতেই নড়াচড়া বন্ধ হয়ে যায়।আমি যা বলব ঠিক তা-ই করবে। গাড়ি স্টার্ট দাও। ফসিলো গাড়ি স্টার্ট দিল।মিলানের বুলেভার দিকে এগিয়ে যাও। রোড নাম্বার ১২ দিয়ে এক্সিট নেবে। তোমার পেছনে যেটা ধরে আছি তার নাম বেরেটা থার্টি টু।

দেখতে দেখতে গাড়ি বারো নম্বর রোড়ে গিয়ে হাইওয়েতে এক্সিট নিল। ফসিলো মৃদুস্বরে বলল, তুমি যা করছ তার ফলাফল সম্পর্কে তোমার ধারণা নেই সম্ভব। তুমি বোধহয় জান না আমি কে? তুমি এঞ্জেল ফসিলো। বন্ধুরা তোমাকে বিড়াল-ফসিলো বলে।ফসিলোর কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমল। হাত-পা কেমন যেন ঠাণ্ডা হয়ে আসছে। ফসিলো বুঝতে পারছে না লোকটি কী চায়। উদ্দেশ কী? সে বসেছে এমনভাবে যে রিয়ার ভিউ মিররে তাকে ঠিক দেখা যাচ্ছে না। গলার স্বর শুনে মনে হচ্ছে বিদেশী। একটু টেনে কথা বলছে।সেন্ট জেনিংসে এক্সিট নেবে।

ফসিলো সেন্ট জেনিংসে এক্সিট নিল। শেষ পর্যন্ত গাড়ি থামল পুরানো ধরনের একটি একতলা বাড়ির সামনে। কোথায় এসেছে ফসিলো মনে রাখতে চেষ্টা করছে। বাড়িটি হালকা হলুদ রঙের, টালির ছাদ। অনেকখানি জায়গা আছে সামনে। এসব খুঁটিনাটি লক্ষ করে লাভ কী? ফসিলোর মনে হল এ-বাড়ি থেকে সে আর ফিরে যেতে পারবে না। নাইট ক্লাবের মেয়েটা হয়তো তার বাড়িতে গিয়ে বসে থাকবে। রোগা একটি মেয়ে যার বয়স খুবই কম। হয়তো ষোলো-সতেরো। ফসিলো বলল, তুমি কী চাও?

অমানুষ পর্ব – ১১ 

লোকটি শীতল স্বরে বলল, বিশেষ কিছু না। কয়েকটা প্রশ্ন করব।এঞ্জেল কোনো প্রশ্নের জবাব দেয় না।সেটা দেখা স্বাবে।শুয়োরের বাচ্চাদের কী করে শায়েস্তা করতে হয় তাও আমরা জানি।জানলে ভালোই।কথা শেষ হবার আগেই ফসিলোর মাথায় প্রচ শব্দে রিভলভারের হাতল দিয়ে আঘাত করা হল। ব্যথা বোধ হবার আগেই ফসিলোর কাছে চারদিক অন্ধকার হয়ে গেল।

জ্ঞান হল অল্পক্ষণের মধ্যেই। চোখ মেলেই দেখল নাইলন কার্ড দিয়ে তাকে শক্ত করে বাঁধা হয়েছে চেয়ারের সঙ্গে। সামনেই একটি কাঠের টেবিল। টেবিলের উপর দুটি পেতলের আট ইঞ্চি সাইজ পেরেক এবং একটা হাতুড়ি। চেয়ারের উলটোদিকে যে বসে আছে ফসিলো তাকে চিনতে পারল। এই লোকটাকে সে আগে দেখেছে। বারো বছরের সেই মেয়েটির বডিগার্ড ছিল।ফসিলো, আমাকে চিনতে পারছ?

ফসিলো জবাব দিল না।নিশ্চয়ই আশা করনি তোমার সঙ্গে আমার আবার দেখা হবে? কী চাও তুমি? বলেছি তো কয়েকটি প্রশ্ন করব।প্রশ্ন জিজ্ঞেস করে কোনো লাভ নেই। এঞ্জেল ফসিলোর মুখ থেকে কেউ কিছু বার করতে পারে না।চেষ্টা করতে দোষ নেই, কী বল?

ফসিলো জবাব দিল না। সে দ্রুত নিজের অবস্থা বুঝে নিতে চেষ্টা করছে। সামনে বসে থাকা লোকটা কথাবার্তা বলছে নিরুত্তাপ ভঙ্গিতে। এমন একটা ব্যাপার ঘটছে কিন্তু তার মধ্যে কোনোরকম উত্তেজনা নেই।ফসিলো, এই পেতলের পেরেকটি দেখতে পাচ্ছ? এই পেরেকটি এখন আমি তোমার হাতের তালুতে ঢুকিয়ে দেব। তারপর প্রশ্ন শুরু করব। একেকটা প্রশ্ন করবার পর দশ সেকেন্ড সময় দেব। দশ সেকেন্ডের মধ্যে উত্তর না পাওয়া গেলে একেকটি করে আঙুল কেটে ফেলব।

ফসিলো নিজের কানকে ঠিক বিশ্বাস করতে পারছে না। এইসব কি সত্যি সত্যি ঘটছে? নাকি কোনো দুঃস্বপ্ন? ফসিলো কিছু বুঝে ওঠার আগেই লোকটা তার বাঁ হাত টেবিলের ওপর টেনে এনে মুহূর্তের মধ্যে পেরেক বসিয়ে দিল। হাত গেঁথে গেল টেবিলের সঙ্গে। ফসিলো শুধু দেখল একটি হাতুড়ি দ্রুত নেমে আসছে। পরক্ষণেই অকল্পনীয় ব্যখা। যেন কেউ হ্যাঁচকা টান দিয়ে হাত ছিঁড়ে নিয়েছে। ফসিলো জ্ঞান হারাল।

অমানুষ পর্ব – ১১ 

ফসিলোর জ্ঞান ফিরতে সময় লাগল। তার অবস্থা ঘোর-লাগা মানুষের মতো। এসব কি সত্যি সত্যি ঘটছে? হাত কি সত্যি সত্যি পেরেক দিয়ে লাগিয়ে দেয়া হয়েছে টেবিলে? ফুলে-ওঠা হাত, উপরে জমে থাকা চাপ-চাপ রক্ত দেখেও বিশ্বাস হতে চায় না। শুধু যখন একটু নড়াচড়াতেই অকল্পনীয় একটা ব্যথা সমস্ত শরীরে ছড়িয়ে পড়ে তখনই মনে হয় এটি সত্যি সত্যি ঘটছে।

সামনের টেবিলে বসে-থাকা লোকটা নির্বিকার ভঙ্গিতে সিগারেট টানছে যেন কিছুই হয়নি। লোকটির হাতে নোটবই আর কলম।ফসিলো, তোমাকে এখন প্রশ্ন করতে শুরু করব। মনে রাখবে প্রশ্ন করার ঠিক দশ সেকেন্ডের মধ্যে উত্তর চাই। প্রথম প্রশ্ন, অ্যানিকে কিডন্যাপ করবার জন্যে কে পাঠিয়েছিল তোমাদের?

বস ভিকানডিয়া।

তোমরা কজন ছিলে?

পাঁচজন। দুজনকে তুমি মেরে ফেলেছিলে।

যে-তিনজন বেঁচে আছে তাদের একজন তুমি। বাকি দুজন কে?

উইয়ি ও নিওরো।

ওদেরকে কোথায় গেলে পাওয়া যাবে?

ফসিলো চারটি ঠিকানা বলল। কখন গেলে ওদের পাওয়া যাবে তা বলল। ওদের সঙ্গে কীসব অস্ত্রশস্ত্র থাকে তাও বলল।

ঐ মেয়েটিকে তুমি রেপ করেছিলে?

ফসিলা হ্যাঁসূচক মাথা নাড়ল।

কবার?

ফসিলো উত্তর দিল না।

বলো কবার?

বেশ কয়েকবার।

তোমার সঙ্গীরাও?

হ্যাঁ।

এরকম করার নির্দেশ ছিল তোমাদের ওপর না। আসলে সমস্ত ব্যাপারটাই এলোমেলো হয়ে গেছে। র‍্যানসমের টাকার ব্যাপারে কীসব ঝামেলা হয়েছে। মেয়েটাকে বেশ কিছুদিন রাখতে হল। এর মধ্যে একদিন এতরা ওকে রেপ করল। আমরা ভাবলাম একবার যখন হয়েই গেছে…তার ওপর মেয়েটি ছিল অসম্ভব রূপসী।মেয়েটির মৃত্যুর পর বস ভিকানডিয়া কী করল?

বস খুব রাগলেন।

শুধুই রাগলেন?

আমাদের প্রত্যেকের ত্রিশ হাজার লিরা করে পাওয়ার কথা। আমরা ওটা পাইনি।বলো, এখন তোমার বসের কথা বলো।কী জানতে চাও? তুমি যা জান সব বলো। ভিকানডিয়াই কি এখন সবচে শক্তিশালী? হা।কারা কারা ওর ডানহাত? ফসিলোর কথা জড়িয়ে যেতে শুরু করছে। হাতের ব্যথা ছড়িয়ে পড়ছে সারা শরীরে। ফসিলো বলল, তুমি আমাকে নিয়ে কী করবে?

অমানুষ পর্ব – ১১ 

মেরে ফেলব।

কীভাবে মারবে?

তুমি আমার সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছ কাজেই তোমাকে সামান্য করুণা করব। কীভাবে তুমি মরতে চাও সেটা বলো। সেইভাবে ব্যবস্থা করব।ফসিলো কিছু বলতে পারল না। তার মুখ দিয়ে ফেনা বেরুতে লাগল। আরো কিছুক্ষণ পর বেরটা থার্টি টু থেকে একটি বুলেট ফসিলোর মাথার একটি বড় অংশ উড়িয়ে দিল।

হ্যালো, তুমি কে?

চিনতে পারছ না? আমার নাম জামশেদ।

কী চাও তুমি?

তোমাকে একটা খবর দিতে চাই। এঞ্জেল ফসিলোকে চেন?

এতরা জবাব দিল না।

ওকে মেরে ফেলা হয়েছে।

আমাকে এসব শোনাচ্ছ কেন?

ভাবলাম তোমার কাছে খবরটা ইন্টারেস্টিং মনে হতে পারে। তা ছাড়াও আমি আরেকটা জিনিস জানতে চাই। অ্যানির কিডন্যাপিং পরিকল্পনাটি কি তোমার?এতরা টেলিফোন নামিয়ে রাখল। সে ভেবেছিল আবার রিং হবে। কিন্তু কেউ রিং করল না। শুধু দুপুরবেলা মায়ের টেলিফোন এল–এতরা, ঐ স্বপ্নটী আমি আবার দেখেছি।কী স্বপ্ন?

ঐ যে তুমি একটা রাস্তা দিয়ে উলঙ্গ হয়ে দৌড়াচ্ছ। আর তোমার পেছনে পেছনে একজন লোক ভোজালি নিয়ে ছুটি আসছে।ও।তুমি কি কোনো ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছ? না।চার্চে যাবার কথা মনে আছে? আছে, আছে।এতরা টেলিফোন নামিয়ে রাখল।রিনালো পুলিশের হমিসাইডের লোক। অনেক ধরনের বিকৃত মৃতদেহ দেখে তার অভ্যৈস আছে। তবুও ফসিলার লাশের সামনে সে ভ্রু কুঁচকে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে রইল। খুনটা করা হয়েছে অত্যন্ত ঠাণ্ডা মাথায়। হাতের তালুতে পেরেক বসিয়ে দেবার ব্যাপারটি তাঁকে ভাবাচ্ছে। মাফিয়াদের দলগত বিরোধ শুরু হল? হলে মন্দ হয় না। নিজেরা নিজেরা খুনোখুনি করে মরুক।

অমানুষ পর্ব – ১১ 

কিন্তু ব্যাপারটা সেরকম নাও হতে পারে। ফসিলোর হাতে বসানো পেরেক দেখে মনে হয় কেউ তার কাছ থেকে কথা আদায় করতে চেয়েছে। কিন্তু ফসিলো এমন কোনো ব্যক্তি নয় যায় কাছে মূল্যবান খবর আছে। সে ভিকানডিয়ার একজন অনুগত্য ভৃত্য মাত্র।রিনালো নোটবই খুলে দুটো পয়েন্ট লিখে রাখল। এক, পেট্রোল পুলিশকে সতর্ক করে দিতে হবে। যদি এই খুনটা মাফিয়াদের দলগত বিরোধ থেকে হয়ে থাকে তা হলে অল্প সময়ের মধ্যে বেশকিছু খুনোখুনি হবে।

দুই, ভিকানডিয়ার কাছে যত টেলিফোন এখন থেকে যাবে ও আসবে সবগুলি পরীক্ষা করে দেখতে হবে। এটা খুব জরুরি। দলের কেউ মারা পড়লে বসদের টেলিফোনের সংখ্যা খুব বেড়ে যায়। অধিকাংশ কলই হয় অর্থহীন ধরনের। তবু তার মধ্যেও অনেক খবরাখবর থাকে।রিনালো সন্ধ্যার দিকে ভিকানডিয়ার ভিলায় টেলিফোন কল। রিনালোকে জানানো ইল ভিকানডিয়া ঘরে নেই। কোথায় আছে তাও জানা নেই। রিনালো বলল, আমি হমিসাইডের একজন ইন্সপেক্টর, আমার নাম রিনালো।

ও। আপনি ধরুন, দেখি উনি আছেন কি না।

ভিকনিডিয়ার মধুর গলা পাওয়া গেল সঙ্গে সঙ্গে। কে বলছেন?

আমি রিনালো, হমিমাইড ইন্সপেক্টর।

বড় আনন্দিত হলাম। কিন্তু কী করতে পারি আপনার জন্যে?

ফসিলো মারা গেছে শুনেছেন?

কোন ফসিলো?

এঞ্জেল ফসিলো।মারা গেছে? আহা! মৃত বড় কুৎসিত জিনিস, মিস্টার রিনালো।তা ঠিক। খবরটা কি আপনি আমার কাছ থেকেই প্রথম শুনলেন, না আগেই শুনেছেন? আগেই শুনেছি।ভিকানডিয়া, আপনি কি এই ধরনের আরো মৃত্যুর আশঙ্কা করছেন? মৃত্যু একটি বাজে ব্যাপার, মিস্টার রিনালো। কিন্তু আমরা সবাই মারা যাই। তা-ই নয় কি? আপনি আমার কথায় জবাব দেননি। এই ধরনের আরো মৃত্যুর আশঙ্কা করছেন কি?

অমানুষ পর্ব – ১১ 

আশা ও আশঙ্কা এই দুটো জিনিস নিয়েই তো আমরা সবাই বাঁচি।রিনালো টেলিফোন নামিয়ে রাখল। এই ধরনের কথাবার্তা চালিয়ে যাওয়া মুশকিল। এদিক দিয়ে ক্যানটারেলার কথাবার্তা সহজ স্বাভাবিক। বাড়তি দার্শনিকতা নেই। প্রশ্নের জবাব দিতে কোনোরকম দ্বিধা নেই।ক্যানটারেলা, এই ধরনের হত্যাকাণ্ড কি আরো হবে? মনে হয় না, মিঃ রিনালো। এটা দলগত কোনো বিরোধ নয়।আপনি কি এই ব্যাপারে পুরোপুরি নিশ্চিত?

মোটামুটিভাবে নিশ্চিত। বস ভিকামডিয়ার বয়স হয়েছে। তিনি এখন সবরকম বিরোধ এড়িয়ে চলেন।কারো সঙ্গেই তার কোনো বিরোধ নেই বলতে চান? বিরোধ নেই তা নয়, তবে যে-কটা বড় ফ্যামিলি এখন আছে তাদের সবার সঙ্গে তার সম্পর্ক ভালো।তা হলে আপনার ধারণা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে বড় ফ্যামিলির স্বার্থ জড়িত নয়? সেরকমই ধারণা। অবিশ্যি আমার ধারণা ভুলও হতে পারে।আচ্ছা ঠিক আছে।আরকিছু জিজ্ঞেস করবার নেই আপনার?

আপাতত না।ভালো কথা, মেয়েমানুষের ব্যাপারে আপনার উৎসাহ আছে? আমার জানামতে কয়েকটি মেয়ে আছে, সঙ্গিনী হিসেবে ওদের তুলনা নেই। ভারতীয় মেয়ে। জানেন তো ভারতীয় মেয়েরা কেমন মধুর স্বভাবের হয়।এইসব বিষয়ে আমার তেমন কোনো উৎসাহ নেই।বলেন কী! পুলিশে চাকরি করলেই একেবারে শুষ্কং কাষ্ঠং হতে হবে এমন তো কোনো কারণ নেই। তা ছাড়া যেসব মেয়ের কথা বলছি ওর লাইসেন্সড গার্লস। বেআইনি কোনো ব্যাপার নেই।

রিনালো টেলিফোন নামিয়ে রাখল। একজন পুলিশ অফিসারের সঙ্গে এইজাতীয় কথাবার্তা বলার ব্যাপারে ওদের কোনো দ্বিধাসংকোচ নেই এটাই আশ্চর্য। তার চেয়েও বড় আশ্চর্য এদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ দাঁড় করানো যায় না। কেউ ওদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে না। প্রমাণ জোগাড় করা যাবে না। এরা আইনের ধরাছোঁয়ার বাইরের একটি সম্প্রদায়ে পরিণত হয়ে পড়েছে।রিনালো ছোট্ট একটি নিশ্বাস ফেলল।

 

Read more

অমানুষ পর্ব – ১২ হুমায়ূন আহমেদ

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *