অমানুষ পর্ব – ১২ হুমায়ূন আহমেদ

অমানুষ পর্ব – ১২

মেয়েটির নাম নিমো। বয়স সতেরো-তেরো হবে কিন্তু দেখায় আরো কম। রাত দশটার মতো বাজে। এমন কিছু রাত নয়, কিন্তু চারদিক চুপচাপ হয়ে গেছে। অঞ্চলটি শহরের উপকণ্ঠে। লোকচলাচল কম। বাংলা প্যাটার্নের এই বাড়িটির চারদিকে উঁচু দেয়াল। দুজন রক্ষী পাহারা দেয় পালা করে। এই বাড়িটির সঙ্গে বাইরের যোগাযোগ নেই বললেই হয়। কিন্তু নিমোকে সে ব্যাপারে খুব একটা উদ্বিগ্ন মনে হয় না। এরকম বন্দিজীবন মনে হয় তার ভালোই লাগছে।

খুটখুট করে টোকা পড়ল দরজায়।নিমো বলল, কে? কোনো জবাব পাওয়া গেল না। উইয়ি এসে গেছে নাকি? উইয়ি সাধারণত রাত এগারোটার দিকে এসে বাকি রাতটা কাটায়। আজ একটু সকাল সকাল এসে পড়ল নাকি? নিমো আবার বলল, কে, উইয়? খুট খুট করে দুবার শব্দ হল কিন্তু কেউ জবাব দিল না। রক্ষীদের কেউ এসেছে কি? কিন্তু ওদের কি এত সাহস হবে?

উইয়ির কঠিন আদেশ আছে যেন এতরা বাড়ির কম্পাউন্ডের ভেতর না ঢোকে। সে আদেশ অমান্য করবার সাহস ওদের হবে না। কিন্তু মাঝে মাঝে সবারই কি একটু আধটুআদেশ অমান্য করতে ইচ্ছে করে না? নিমোর তো সবসময়ই ইচ্ছে করে। আচ্ছা, রক্ষীদের কেউ যদি হয় তা হলে দরজা খোলামাত্র ভয়ানক অবাক হবে। ওরা নিশ্চয়ই স্বপ্নেও ভাবেনি সম্পূর্ণ নগ্নদেহের একটি মেয়ে দরজা খুলে দেবে। এরকম দৃশ্য শুধু স্বপ্নেই দেখা যায়। বাস্তবে দেখা যায় না। নিমো হাসিমুখে দরজা খুলে দিল।

দরজার ওপাশে অপরিচিত একজন লোক রিভলভার উচিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। নগ্নদেহের নিমোকে দেখে তার কোনো ভাবান্তর হল না। ভারী গলায় বলল, অসময়ে তোমাকে বিরক্ত করছি। খুবই লজ্জিত। কোনোরকম চেঁচামেচি করবে না।নিমো কোনো শব্দ করল না। লোকটা ঘরে ঢুকে পড়ল। নিমো মৃদুম্বরে বলল, তোমার নাম কী?

অমানুষ পর্ব – ১২

জামস। জামশেদ।তুমি কী চাও? আমার সঙ্গে কোনো টাকাপয়সা নেই।আমি টাকাপয়সার জন্যে আসিনি।তা হলে কীজন্যে এসেছ? আমার সঙ্গে বিছানায় যাবার জন্যে? না।নিমো দেখল লোকটা তার দিকে ফিরেও তাকাচ্ছে না।তুমি ঢুকলে কীভাবে? ঢুকতে খুব একটা অসুবিধে হয়নি।নিমো দেখল লোকটার মুখে ছোট্ট একটা হাসি। এর মধ্যে হাসির কী আছে? কী চাও তুমি?

তোমার কাছে উইয়ি নামের যে-লোকটি আসবে ওর মাথায় আমি বেরেটা থার্টি টুর তিনটি বুলেট ঢুকিয়ে দেব। সেজন্যেই এসেছি।উইয়ি যে এখানে আসে তা তো তোমার জানার কথা নয়।নিমো আবার লক্ষ করল, লোকটির মুখে হালকা একটু হাসি।উইয়িকে মারতে চাও কেন? ও বারো বছরের একটি মেয়েকে রেপ করে মেরে ফেরেছে। মেয়েটার নাম অ্যানি।নিমোর মুখ সাদা হলে গেল। কী বলছে এই লোক? নিমো চাপাস্বরে বলল, উইয়ি এরকম হতেই পারে না।তুমি কি উইয়ির স্ত্রী?

না। তবে আমরা শিগগিরই বিয়ে করব। তুমি হাসছ কেন? এর মধ্যে হাসির কী আছে তোমার মতো বেশ কয়েকটা মেয়ে আছে উইয়ির। ওদের সবাই হয়তো জানে উইয়ির সঙ্গে তাদের বিয়ে হবে।নিমো জবাব দিল না। লোকটি একটা সিগারেট ধরাল, আর ঠিক তখনই বাড়ির সামনে থামল বড় একটি গাড়ি। সিগারেট অ্যাশট্রেতে গুঁজে দিল লোকটি।এই মেয়ে, শোনো। তুমি সবসময় যেভাবে দরজা খোলো ঠিক সেইভাবেই খুলবে। খোলামাত্রই চেষ্টা করবে প্রথম সুযোগেই দূরে সরে যেতে।আর যদি দূরে না সরি? যদি উইয়িকে জড়িয়ে ধরে থাকি?

তা হলে তোমাদের দুজনকে গুলি করব।কী ঠাণ্ডা কণ্ঠস্বর! কোনো সন্দেহ নেই এই লোক দুজনকে মারতে তিলমাত্র দ্বিধা করবে না। নিমো দেখল লোকটা দরজা বন্ধ করে বাঁদিকের ড্রেসিংটেবিলের কাছে সরে গেছে। উইয়ির ভারী পায়ের শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। নিমোর ইচ্ছা হল প্রাণপণে চেঁচিয়ে উইয়িকে সাবধান করে। কিন্তু তার গলা দিয়ে কোনো স্বর বেরুল না। উইয়ি যখন দরজায় টোকা দিয়ে বলল, কোথায় আমার ময়না পাখি, দেখন হাসি।

অমানুষ পর্ব – ১২

তখন সে অন্যদিনের মতোই দরজা খুলে দিল। উইয়ি ঘরে ঢুকল নিমোকে জড়িয়ে ধরে। আর সেই সময় একটা ভারী গলার স্বর শোনা গেল, ভালো আছ, উইয়ি? আমাকে চিনতে পারছ আশা করি? উইয়ি নিমোকে ছেড়ে দিয়ে দ্রুত হাত ঢোকাল প্যান্টের পকেটে আর তখনই পরপর তিনবার গুলি হল।নিমো কিছু বুঝতে পারছে না। সবকিছু স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে। সে দেখছে। উইয়ির প্রকাণ্ড দেহটা খাটের পাশে কাত হয়ে পড়ে যাচ্ছে। বিদেশী লোকটা কী যেন বলছে তাকে। কী বলছে? সবকিছু অস্পষ্ট ধোয়াটে।

এই মেয়ে তুমি কাপড় পরে নাও। পুলিশ আসবে এক্ষুনি। ওদের সামনে এরকম ন্যাংটো অবস্থায় বের হওয়া ঠিক হবে না।লোকটা বাতি নিভিয়ে অন্ধকারে বের হয়ে গেল। খুব ছুটাছুটি হচ্ছে বাইরে। রক্ষী দুজন দৌড়ে আসছে সম্ভবত। উইয়ির গাড়িতেও যে একজন দেহরক্ষী সবসময় থাকে সেও ছুটে আসছে। নিমোর মনে হল সে এখন প্রচুর গোলাগুলি শুনবে। কিন্তু সেরকম কিছুই শুনল না।

সে কি জ্ঞান হারাচ্ছে? উইয়ির পড়ে-থাকা বিরাট শরীরের দিকে তাকিয়ে মুখ ভরতি করে বমি করল। গা গুলাচ্ছে। ঘরবাড়ি কেমন যেন দুলছে। নিমো দ্বিতীয়বার বমি করল।রিনালোর অফিসঘরটি ঠাণ্ডা। এয়ারকুলার আছে। তার ওপর একটি ফ্যান ঘুরছে। তবু নিমো ঘামতে লাগল।

পুলিশি ব্যাপারে নিমোর কোনো পূর্বঅভিজ্ঞতা নেই। ভাসাভাসা একটি ধারণা যে পুলিশ অফিসাররা নির্দয় প্রকতির হয় এবং উলটোপালটা প্রশ্ন করে সহজেই ফাঁদে ফেলে দেয়। কিন্তু এই অফিসারের বয়স অল্প এবং সে প্রশ্ন করছে খুবই আন্তরিক ভঙ্গিতে। কফি খেতে দিয়েছে। কথা বলছে নরম গলায়, যদিও কথাগুলো শুনতে তার মোটেও ভালো লাগছে না।তুমি কি একজন প্রোসটিটিউট? জি না।না বলছ কেন? তুমি তো থাকছিলে রক্ষিতার মতো। উইয়ির হাতে পড়বার আগেও অনেক পুরুষের সঙ্গে থেকেছ। থাকনি?

অমানুষ পর্ব – ১২

নিমো চুপ করে রইল।তুমি কি জানতে উইয়ি পতিতাবৃত্তির একটা বড় অংশ পরিচালনা করে? না।উইয়ির সঙ্গে যেসব মেয়ে থাকে তারা পরে বিভিন্নরকম পতিতাবৃত্তিতে জড়িয়ে পড়ে বা পড়তে বাধ্য হয় এটা তুমি জানতে না? জি না। উইয়ি আমাকে বিয়ে করবে বলেছিল।তা কি তুমি এখনও বিশ্বাস কর? আমার বিশ্বাস অবিশ্বাস উইয়ি বেঁচে থাকলে প্রমাণ হত। সেটা তো এখন প্রমাণ করবার কোনো পথ নেই।যে-লোকটা উইয়িকে মা’রল সে একজন বিদেশী?

হ্যাঁ।কী করে বুঝলে? টেনে টেনে কথা বলছিল। তার চেহারাও বিদেশীদের মতো। নামটাও সেরকম।সে তোমাকে তার নাম বলেছে? হ্যাঁ।কী নাম? আমার মনে নেই।সে বলেছে অ্যানির মৃত্যুর জন্য সে শাস্তি দিচ্ছে? হ্যাঁ।আচ্ছা, সে কি তার নাম জামশেদ বলেছে? আমার মনে পড়ছে না।লোকটার কোনো বৈশিষ্ট্য তোমার মনে পড়ে?

লোকটি খুবই ঠাণ্ডা মাথায় সমস্ত ব্যাপারটা ঘটাল। সে এতটুকুও উত্তেজিত ছিল না।গুলি করার আগে লোকটি কোনো কথাবার্তা বলেছে? বলেছে, কিন্তু আমার মনে নেই।এইজাতীয় হত্যাকাণ্ড সে আরো করবে কি না তা বলেছে? আমার মনে পড়ছে না।কফি খাও। কফি ঠাণ্ডা হয়ে যাচ্ছে।নিমো কফিতে চুমুক না দিয়ে তার কপালের ঘাম মুছল।

ভিকি খবরের কাগজের প্রথম পাতায় ছাপা খবরটার অর্থ ঠিক বুঝতে পারল না। তাকে দ্বিতীয়বার খরবটি পড়তে হল। শিরোনাম হচ্ছে একক যুদ্ধ। অসীম সাহসী একজন প্রৌঢ়, যার নাম জামশেদ, সে একাকী যুদ্ধ ঘোষণা করেছে এমন সব অপরাধীর বিরুদ্ধে, যাদেরকে পুলিশ কিছুই বলে না বা বলবার ক্ষমতা রাখে না। বেশ বড় খবর। সেখানে অ্যানির মৃত্যু-প্রসঙ্গ আছে।

এবং ভয়ংকর দুজন অপরাধী যারা অল্প কিছুদিনের ভেতর মারা গেল তাদের কথাও আছে। নিমো নামের মেয়েটার ক্ষুদ্র একটি সাক্ষাৎকারও আছে।ভিকি দীর্ঘ সময় চুপচাপ বসে রইল চেয়ারে। আজ ছুটির দিন, রুনকে নিয়ে তার বে ল্যান্ডে যাবার কথা। সেখানে একটি ছোট্ট কটেজ ভাড়া নেয়া হয়েছে। কিন্তু ভিকির আর যেতে ইচ্ছে করছিল না। ইচ্ছে করছিল, রুনকে পাশে বসিয়ে অ্যানির পুরানো দিনের ছবিগুলি দেখে।

অমানুষ পর্ব – ১২

কিংবা কবরখানায় গিয়ে অ্যানির ছোট্ট কবরটিতে কিছু ফুল দিয়ে আসে। ফুলের সঙ্গে থাকবে এই খবরের কাগজটি যেখানে অনাত্মীয় একটা বিদেশীর কথা আছে। যে ছোট্ট অ্যানির ভালোবাসার উত্তর দিতে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। ভিকির চোখ দিয়ে টপটপ করে জল পড়তে লাগল। রুন ঘরে ঢুকে অবাক হয়ে বলল, কী হয়েছে?

এই খবরটা পড়ো।রুন নিঃশব্দে পড়ল। তার চেহারা দেখে মনে হল না তার কোনো ভাবান্তর হয়েছে। ভিকি মৃদুকণ্ঠে বলল, বে লান্ডে যাবে আজ? নাহ।কী করবে? সিমেট্রিতে যাবে? নাহ। বলেই অনেক দিন পর গভীর ভালোবাসায় রুন তার স্বামীকে জড়িয়ে ধরল। ফোঁপাতে ফোঁপাতে বলল, আমার মেয়ে আর অন্ধকার কফিনে শুয়ে শুয়ে কাঁদবে না। অন্তত একজন তার ভালোবাসার সম্মান রেখেছে। আমার মামণির আজ খুব আনন্দের দিন।

রিনালো অফিসে এসেই শুনল তাকে কবার টেলিফোনে খোঁজ করা হয়েছে এবং বলা হয়েছে অফিসে পৌঁছামাত্রই যেন সে এই নাম্বারে যোগাযোগ করে। বিশেষ প্রয়োজন।রিনালো দেখল নাম্বারটা অপরিচিত। কে হতে পারে? ডায়াল ঘোরানো মাত্রই মৃদু স্বর শোনা গেল, ভিকামডিয়া বলছি।আমি রিনালো, কী ব্যাপার?আজকের খবরের কাগজ দেখেছেন, মিঃ রিনালো?

হ্যাঁ।বিশেষ কোনো খবর আপনার চোখে পড়েছে কি? কোনটির কথা বলছেন? লাওসের হাঙ্গামা? না। লাওস নিয়ে আমার মাথাব্যথা নেই। আপনি কি দেখেননি খবরের কাগজের লোকরা কীভাবে একজনকে হিরো বানিয়ে ছেড়ে দিয়েছে? জামশেদের কথা বলছেন?

হ্যাঁ।দেখেছি। কিন্তু এ ব্যাপারে আমাকে টেলিফোন করবার কারণটা ঠিক ধরতে পারছি না।আপনার কি মনে হয় না ব্যাপারটা নিয়ে একটু বেশি বাড়াবাড়ি করা হচ্ছে? আপনি ভুল জায়গায় টেলিফোন করছেন। আমি খবরের কাগজের লোক নই।মিঃ রিনালো, আমি ঠিক জায়গাতেই টেলিফোন করেছি।তার মানে?

অমানুষ পর্ব – ১২

আপনি নিশ্চয়ই লক্ষ করেছেন কোনো কাগজেই এত বড় একটা হিরোর কোনো ছবি ছাপা হয়নি। এবং আমি যতদূর জানি পুলিশ বিভাগ ছবি ছাপাতে নিষেধ করেছে।পুলিশ বিভাগের স্বার্থ? লোকটা বিদেশী। ছবি ছাপা হলেই সে পরিচিত হয়ে পড়বে। দ্রুত ধরা পড়বে। আপনারা চান না সে ধরা পড়ুক।আপনার এরকম অনুমানের কোনো ভিত্তি আছে কি?

কিছুটা আছে। আমরা ওর ছবি দিয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে চেয়েছিলাম। পত্রিকাওয়ালারা সেটা ছাপতে রাজি নয়। অপরাধীকে ধরিয়ে দিন এই শিরোনামে বিজ্ঞাপন।আপনারা এইজাতীয় বিজ্ঞাপন দিতে শুরু করেছেন?

বিজ্ঞাপনটা দেয়া হয়েছিল উদ্বিগ্ন জনসাধারণের নামে।ও, তা-ই বুঝি।হ্যাঁ, মিঃ রিনালো। আমরাও জনগণ। ট্যাক্স দিয়ে বাস করছি।মিঃ ভিকানডিয়া।বলুন।আমার কেন জানি ধারণা হচ্ছে, এই একটা লোকের জন্যে আপনারা কিছুটা বিচলিত হয়েছেন।মোটেই না। পত্রিকাওয়ালারা জিনিসটাকে একটা সেন্টিমেন্টালে রূপ দিতে চাচ্ছে, সেখানেই আমার আপত্তি।লোকটা কিন্তু সহজ পাত্রও নয়, মিঃ ভিকানডিয়া।

অমানুষ পর্ব – ১২

আড়াল থেকে গুলি করার মধ্যে কোনো বাহাদুরি দেখি না।বাহাদুরি দেখানোর তার কোনো ইচ্ছাও বোধহয় নেই। ভালো কথা, আপনি এখনও হয়তো খবর পাননি, নিওরোর মৃতদেহ পাওয়া গেছে।কী বলছেন? নিওরো, যে অ্যানির কিডন্যাপিং-এ জড়িত ছিল, তার ডেডবড়ি পাওয়া গেছে। বুলেটের সাইজ থেকে মনে হয় সেটা বেরেটা থার্টি টু জাতীয় অস্ত্র থেকে এসেছে।কখন পাওয়া গেছে ডেডবডি?

অল্প কিছু আগে। ঘণ্টাখানেক হবে।বস ভিকানডিয়া দীর্ঘ সময় চুপ থেকে বলল, আপনাকে খুব খুশি মনে হচ্ছে।পুলিশের লোক সহজে খুশি হয় না, অখুশিও হয় না।জামশেদকে ধরবার কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে?

এসব পুলিশের ব্যাপার। ও নিয়ে কৌতূহল প্রকাশ না করাই ভালো।আমার মনে হচ্ছে পুলিশ ওকে ধরবার কোনোরকম চেষ্টাই করছে না। করছে কি? রিনালো শব্দ করে হাসল। জবাব দিল না।হ্যালো রিনালো! রিনালো টেলিফোন নামিয়ে রাখল।

 

Read more

অমানুষ পর্ব – ১৩ হুমায়ূন আহমেদ

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *