আমাদের একটা বাড়ী ছিল।
তার তিনটে তলা ছিল।
সদরে তিনটে দরজা ছিল।
পাল্লাগুলোয় নক্সি ছিল।
লোহার লম্বা খিল্ ছিল।
ওপরে দুটো ছাদ ছিল।
ছাদের আগে ঘর ছিল।
রামধেনু রঙ জানলা ছিল।
ঘরের শেষে রেলিং ছিল।
লোহার তৈরি রেলিং ছিল।
লতাপাতার নক্সা ছিল।
রেলিং ‘পরে রাস্তা ছিল।
এক্কাগাড়ি অনেক ছিল।
একটু দুরে রেল ছিল।
রেলের ধোঁয়ায় কয়লা ছিল।
ছাদের শেষে গাছ ছিল।
নিমগাছেতে বাঁদর ছিল।
নিমের ছায়ায় পুকুর ছিল।
মাছভর্তি পুকুর ছিল।
শান্ বাঁধানো ঘাট ছিল।
এক পাল্লার দরজা ছিল।
ওপারেতেও গাছ ছিল।
গাছের চূড়োয় চিল ছিল।
চিলের একটা বাচ্চা ছিল।
অনেকদুরে পাহাড় ছিল।
অল্পস্বল্প পাহাড় ছিল।
মধ্যিখানে ধূ ধূ ছিল।
ছাদের মাথায় আকাশ ছিল।
সকাল বিকেল পায়রা ছিল।
সারাদিনের রোদ ছিল।
আলসে রাতের চাঁদ ছিল।
বাড়ির ভেতর উঠোন ছিল।
উঠোনেতে শ্যাওলা ছিল।
সবার যাওয়া মানা ছিল।
এক পাশেতে কুঁয়ো ছিল।
কাঁচের মতো জল ছিল।
কুঁয়োর পাশে গলি ছিল।
গলির একটা দরজা ছিল।
পাল্লাদুটো লোহার ছিল।
ঘোড়ার খুঁড়ের নাল ছিল।
সবাই বলে ভুতও ছিল।
সেই কারণে ভয় ছিল।
ভুতেরা সব নিরীহ ছিল।
সব তলাতে শান্তি ছিল।
দুঃখ সুখ সবই ছিল।
সবকিছুতে সবাই ছিল।
লোকজনেরা ভালোই ছিল।
একের জন্যে সবাই ছিল।
*****
০৫/০৪/২০২৫