কি ভাবছেন বলুন তো? প্রথম লাইন পড়েই মনে খটকা লেগে গেলো?
কি বলতে চায় লেখিকা?
হ্যাঁ বলতে এটাই চাই যে আমাদের প্রত্যেকের ভেতর যে আমিত্ব আছে সেখানে আবার কিছু ভাবনার প্রকারভেদ আছে।
এই যে মনের ক্ষুদ্র মানসিকতা প্রসূত চিন্তা চেতনা সেটাই হলো মনের ক্ষুদ্রতা আবার মনের বৃহৎ বাসনা যা বিকশিত হয়ে মানুষ কে মানুষ হতে সাহায্য করে সেটি হলো মনের বড়ত্ব।
এখনো সহজবোধ্য হলোনা বুঝি। ধরুন কোনো বিষয়ে আপনার জানাশোনার কমতি আছে বা ঘাঁটতি আছে তো সেই বিষয়ে যিনি ভালো জানেন তাকে যদি বিনয়ের সাথে জানতে চান তাহলেই কিন্তু বিষয় টা অনেক সহজসাধ্য হয়ে যায়।
এক্ষেত্রে আপনার ক্ষুদ্র মন আপনাকে বা আমাদের কে কি বলবে জানেন? প্রথমে বলবে তুমি যে জানোনা এটা কাউকে প্রকাশ করোনা।
দ্বিতীয়বার বলবে উনি হয়তো বিষয় টা ভালো জানেন কিন্তু জানতে চেয়ে ছোট হবে কেনো?
তৃতীয়বার বলবে জানতে চাইলে তুমি ছোট হবে আর তার অহংকার বেড়ে যাবে।
আরো কত কত না বোধক প্রশ্নে আপনার ক্ষুদ্র মন আপনাকে আষ্টেপৃষ্টে বেঁধে ফেলবে আপনি হয়তো এই মুহুর্তে সেটা ভাবতে পারছেন না।
যদি মনের উদারতার কথা বলি তবে বলতে হয় এক্ষেত্রে আপনার মন আপনাকে সবসময় সাহস জোগাবে।
নতুনত্বের প্রতি আকর্ষণ এবং জানতে আগ্রহী করে তুলবে।
কখনো কোনো না বোধক চিহ্ন দিয়ে বেঁধে রাখতে চাইবে না। হৃদয়ে অফুরন্ত জ্ঞানতৃষা নিয়ে আপনি ঘুরে বেড়াবেন এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত।
কোনো ক্ষুদ্রতা আপনাকে বাঁধতে পারবেনা জটিল বাঁধনে। আমাদের সমাজ সংসারে এমন ক্ষুদ্র মনের মানুষের অভাব নেই। তবে এর মাঝেও সকল বাধা ডিঙিয়ে মনকে মুক্ত করে দিতে হবে অসীম ভাবনায়।
ভেবে দেখবেন আপনাকে গন্ডিতে আবদ্ধ করে রাখে আপনারই মনের ক্ষুদ্রতা। তাই পুরনো কিছু বিশ্বাস যা কিনা অচল বলে মনে হয় এখন সেগুলো ঝেড়ে ফেলুন নিমেষে।
বাঁচতে চেষ্টা করুন জগতের পরিবর্তন এবং শিক্ষা ও সংস্কৃতি নিয়ে। এই জগতটাই যদি পরিবর্তনশীল হয়ে থাকে এবং এর প্রতিটি প্রাণ যদি নিয়তির নিয়মে পরিবর্তিত হয় তবে আপনি কেনো আপনার হৃদয় থেকে অন্ধ কুবিশ্বাস গুলো সরাতে পারবেন না?
পারবেন। অবশ্যই পারবো আমরা সবাই মিলে।
সবার জন্য শুভকামনা।
**প্রবন্ধ
মনিকা শকুন্তলা।