কাঁচা পেঁপের নানা রকম উপকারিতা ও অপকারিতাগুলো হলো   

কাঁচা পেঁপে খাওয়ার উপকারিতা

বহুমাত্রিক পুষ্টিগুন সম্পূর্ণ উপাদান হলো কাঁচা পেঁপে । কাঁচা পেঁপে সবজি হিসাবে ও পাঁকা পেঁপে পল হওসাবে খুবই সমাদৃত। কাঁচা পেঁপে দিয়ে নানা রকমের সুস্বাদু তরকারি রান্না করা যায়।পেটের যে কোন সমস্যায় সবুজ পেঁপে যেমন কার্যকরী, তেমনি যে কোন রোগ নিরাময়েও এই পেঁপে কার্যকরী।কাঁচা পেঁপে আমাদের দেশের বেশ পরিচিত একটি সবজি । 

কাঁচা পেঁপে খাওয়ার উপকারিতা নিম্নে দেয়া হলো:   

১/ ডায়বেটিসের রোগীদের জন্য পেঁপে খুবই উপকারী সবজি।কারন কাঁচা পেঁপে বা এর জুস রক্তে চিনির পরিমান কমায় এবং ইনসুলিনের পরিনাম বাড়ায়।

 

২/ প্রতিদিনের খাবার তালিকায় কাঁচা পেঁপে রাখা উচিত।কারন পেঁপে আমাদের ত্বক উজ্জ্বল করে ও যে কোন রকমের দাগ দূর করে। ব্রণ খুবই কমোন একটি সমস্যা।এই ব্রণ থেকে মুখে দাগ পড়লে, মেছতা, ফুস্কুরির সহ আরও নানা রকমের দাগ দূর করতে পেঁপে খুবই কার্যকর।

 

৩/ ” নিউট্রিশন ব্রিটিশ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, কাঁচা পেঁপেতে অনেক বেশি পরিমানে ক্যারটিনয়েডস রয়েছে।যা গাজর ও টমেটোর চেয়ে অনেক বেশ। কাঁচা পেঁপেতে যে ক্যারটিনয়েডস রয়েছে তা আমাদের মানব শরীরের জন্য খুবই উপকার।   

 

৪/ কাঁচা পেঁপে আমরা শুধুরান্না করেই খাইনা, এটিকে আমরা সালাদ হিসাবেও খেয়ে থাকি। আর পেঁপেতে রয়েছে  ভিটামিন-এ ও ভিটামিন-সি আর ক্যালোরি একেবারে নেই বললেই চলে। যা আমাদের ওজন কমতে সহায়তা করে।

 

৫/ প্রতিদিন দুপুরে খাবার পর ও রাতে খাবার খাওয়ার পর এক টুকরো কাঁচা পেঁপে ভালো করে চিবিয়ে খেলে পেট পরিস্কার হয় এবং গ্যাসটিক ও বদ হজমের সমস্যা দূর হয়।

 

৬/ পেঁপে কাটলে এক রকমের সাদা রস বা আঠা বের হয়।এটিও আমাদের শরীরের জন্য উপকার। আমাশয় ও পেটের যন্ত্রণায় কাঁচা পেঁপের আঠা ৩০ ফোঁটা ও এক চামচ চুনের পানি মিশিয়ে দুধের সাথে খেলে পেট ব্যথা ও আমাশয়ের যন্ত্রণা দূর হয়।

 

৭/ পেঁপের মাঝে বিদ্যমাণ আঁশ কোষ্ঠকাঠিন্য, অ্যাসিডিটি, ডায়রিয়া, পাইলস ইত্যাদি দূর করে। আমাদের পেটকে ভিতর থেকে পরিস্কার করে। 

 

৮/ কাঁচা পেঁপে উচ্চরক্তচাপের হাত থেকে শরীরকে রক্ষা করে এবং সঠিক ভাবে শরীরে রক্ত সরবরাহ হয়। এতে করে রক্ত থেকে সোডিয়াম দূর করে হার্টকে সুস্থ করে এবং হার্টের সকল ধরনের সমস্যা নিরসন হয়।

 

৯/ উঁকুন নাশে পেঁপের আঠা খুবই কার্যকর।১ চামচ পেঁপে আঠার সাথে ৭/৮ চামচ জল ভালো করে মিশিয়ে চুলের গোড়ায় লাগিয়ে নিয়ে কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে নিতে হবে।এ রকম ১/২ দিন পর পর করলে উঁকুন নির্মূল হয়।

১০/ কাঁচা পেঁপেতে সাইমোপ্যাপিন ও প্যাপিন নামে ২ ধরনের এনজাইম থাকে যা আমাদের শরীরের প্রোটিন চর্বি ও কার্বোহাইড্রেট ভাঙ্গতে সহায়তা করে।   

কাঁচা পেঁপে কিছু অপকারিতাও বিদ্যামান নিম্নে সেগুলে তুলে ধরা হলো –      

১/ কাঁচা পেঁপের বোটা থেকে বের হওয়া সাদা তরল আঁঠা আমাদেী শরীরে এলার্জির সৃষ্টি করতে পারে।

২/ গর্ভাবস্থায় কাঁচা পেঁপে না খাওয়াই ভালো।কারন কাঁচা পেঁপেতে রয়েছে লেটেক্স। আর এই লেক্টেস এ বিদ্যমান উপাদান পেপেইন এটি আমাদের জরায়ুতে রক্তপাত সহ নানা রকমের জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে।

৩/ পেঁপে রক্তে শর্করার পরিমান কমায়। পলে যারা উচ্চরক্তচাপের ওষুধ খান তাদের জন্য পেঁপে বিপদজন। 

৪/ যাদের অ্যালার্জির জন্য  শ্বাস কষ্ট হয় ও অ্যাস্থেমা রয়েছে তাদের ভুলেও পেঁপে খাওয়া উচিত নয়।

৫/ পেঁপেতে প্রচুর ভিটামিন-সি রয়েছে।তাই প্রতিদিন বেশি বেশি পেঁপে খেলে ভিটামিন- সি এর পরিমান বেড়ে যায়। ফলে কিডনিতে পাথর হবার সম্ভাবণা থাকে।

কোন কিছুই অতিরিক্ত পরিমানে শরীরে  প্রবেশ করানো উচিত নয় তা,সে যতই পুষ্টিকর উপাদানই হোক না কেন। কাঁচা পেঁপের যেমন প্রচুর পুষ্টিমান রয়েছে তেমনি শরীর সুস্থ রাখতেও এটি খুব উপকারী।

 

 

 

লিখেছেন – ত্রোপা চক্রবর্তী                 

   

 

       

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *