জানো,
একদিন রৌদে কৃষ্ণচূড়া গাছে লাগাতাম।
ভাবতাম কেউ হঠাৎ কৃষ্ণচূড়া ফুলের সাথে
আমাকেও কুড়িয়ে নেবে।
কিন্তু কেউ এলো না!
এরপর লোকালয় ছেড়ে
একটা ছোট্ট গোলপাতার ঘর বানালাম।
পাশে ছোট্ট একটা তরী।
যেখানে সামান্য বৃষ্টিতে থই থই জল,
সকালে ঘুম ভাঙলে দেখবে;
শত শত শাপলা ফুল বাতাসে মাথা নাড়িয়ে
তোমায় অভিনন্দন জানাচ্ছে।
মনে হবে স্বর্গীয় কোনো রাজ্যের রাজা তুমি।
কিছুদিন ধরে খুব চেষ্টা করেছি
কখন ঘুমাই তা মনে রাখার জন্য,
কিন্তু পারলাম না, অনুভবই করা-ই হয়ে ওঠেনি
আমার রাজ্যে কোনো কষ্ট নেই,
কেবল একটা দুঃখ আছে,
ঘরে থাকার একটা মানুষ পেলাম না।
কে জানতো
কৃষ্ণচূড়া তোমাদের অপছন্দ!
কুঁড়েঘরে জাত যায় তোমাদের!
এখন উপলব্ধি করলাম,
প্রেম কৃষ্ণচূড়া না!
প্রেম হলো দামী পোশাক, গ্লাস লাগানো কোনো রেস্তোরা
কিংবা আপেলের মতো কোনো লোগো
হয়তো তোমায় খুঁজে পাওয়া সম্ভব হতো
যদি বিজ্ঞানের উন্নতি না হতো।