মনিকা শকুন্তলা
ক্ষণিকের বরষায় জীবন রাঙাবে বলে ডাহুক পাখি ঘন ঝোপ ছেড়ে জলায় নেমে এলো
সপরিবারে সাদা বক তার ছানাদের মুখে আহার তুলে দিতে দিতে গল্প বলে গেলো।
নতুন পানি পেয়ে ব্যঙের গলা সাধার ইচ্ছেটা আরো বৃদ্ধি পেলো
সেই সাথে নিজেদের পরিবার বড় হতে লাগলো
কলমিলতাগুলো আপন খুশিতে বাহু ছড়িয়ে দাঁড়ালো
ওদিকে কাঁদাজল বরষার ঘনবৃষ্টিতে ছেলের দল বরশি হাতে মাছ ধরতে উদ্যত
দুএকটা মাছ ছিপে উঠতেই খুশির বান ডেকে উঠলো
যেন মস্ত রুই কাতল গেঁথে ফেলেছে
নতুন পানি নতুন বরষা এমনিভাবে প্রকৃতিকে সাজাতে ব্যস্ত হয়ে গেলো
পুব আকাশে রংধনু একবার মাত্র উকি দিয়েই হারিয়ে গেলো
সে এক অপূর্ব দৃশ্য, নব বরষায় নব রংধনু যেন
জলধোঁয়া রঙে কে যেন রাঙিয়ে দিয়েছে
রাতজেগে কিষাণী শস্য পাহারা দিচ্ছে
কখন আসে বরষা ভিজিয়ে দিয়ে যায় সমস্ত শুকনো শস্যদানা
তাই নিদ্রাহীন চোখে বৃষ্টির আগমনী চিন্তা
মাটির ঘর খড়ের চালা ভিজে পানি ঝরছে
গেরস্হ ঘরের গিন্নি তাই মনে মনে প্রার্থনা করছে
এটুকুই যথেষ্ট প্রভু আর বরষা দিওনা এবছরে
ঘর ফসল দুইই যে হারাবো তাহলে!
ক্ষণিক বরষার কাল আশীর্বাদ হোক সবার জীবনে।