নিদাহাস ট্রফির প্রথম ম্যাচে লজ্জাজনক হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে টাইগারদের বিপক্ষে জয়ের দেখা পেয়েছে ভারত ক্রিকেট দল। ম্যাচটিতে বাংলাদেশের ১৪০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ছয় উইকেটে জয় তুলে নেয় ভারত।
এদিন বাংলাদেশের ১৩৯ রান টপকাত নেমেই চতুর্থ ওভারে মোস্তাফিজের বলে হোঁচট খায় ভারত। প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও অধিনায়ক রোহিত শর্মা।১৭ রানের মাথায় ক্লিন বোল্ড করে তাকে সাজঘরে পাঠান মোস্তাফিজ। তার কিছুক্ষণ পরই ঋষভ প্রান্তকে বোল্ড করেন রুবেল হোসেন। ৭ রানে ফেরেন ভারতীয় ব্যাটসম্যান। তবে এর পরের কষ্টটা আর মোটেও বুঝতে দেননি রায়না ধাওয়ান। দু’জন মিলে পঞ্চমউর্ধ্ব জুটি গড়ে দলের শতকরান পার করেন। যদিও দলীয় ১০৮ রানের মাথায় রায়নার (২৮) বিদায় ঘটে এবং ১২৩ রানের মাথায় ধাওয়ানের (৫৫)। তারপরও বেশ স্বাচ্ছন্দেই খেলা শেষ করে মনীষ পাণ্ডে ও দীনেশ কার্তিক।
এর আগে ভারতের আমন্ত্রণে ব্যাটিংয়ে নেমে দুই উইকেট হারিয়ে শুরুতেই ব্যাকফুটে চলে যায় বাংলাদেশ। তামিম ইকবালের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নেমে শুরুতে বেশ আগ্রাসী মনোভাব দেখায় সৌম্য সরকার। কিন্তু সে ফল মোটেও সুখের ছিল না। ইনিংসের ২.৪ ওভারের সময় উনাদাকাটের বল মারতে গিয়ে শর্ট ফাইন অঞ্চলে ধরা পড়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।
এরপর নামেন লিটন কুমার দাস। তাকে নিয়ে পথ চলার চেষ্টা করেন অভিজ্ঞ তামিম ইকবাল। কিন্তু ৪.৩ ওভারের মাথায় এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়ে রিভিউতে রক্ষা পান তামিম। কিন্তু সে যাত্রায় রক্ষা পেলেও পরের যাত্রায় ঠিকই বিদায় ঘন্টা বাজে তার। তিনিও সৌম্যের মতো শর্ট ফাইন অঞ্চলে গিয়ে ধরা পড়েন।
ছয় উইকেটে জয় তুলে নেয় ভারত
যদিও এর পর মুশফিককে নিয়ে হাল ধরেন লিটন দাস। নেমেই চমৎকার কিছু বাউন্ডারির উপহার দেন মুশি। কিন্তু তার ইনিংসটি দীর্ঘায়িত করতে পারেননি। ১৪ বলে ১৮ রানের ইনিংস খেলে ক্যাচ আউটের শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েনি তিনি। টাইগার কিপারের বড় ইনিংস গড়তে ব্যর্থতার দিনে সুবিধা করতে পারেননি অধিনায়ক রিয়াদ (১), অলরাউন্ডার মিরাজ (৩)। যাই হোক শেষের দিকে সাব্বিরের দায়িত্বশীল ব্যাটিয়ে (৩০) ১৩৯ রান সংগ্রহ করতে পারে বাংলাদেশ।
ম্যাচটিতে ভারতের হয়ে উনাদাকাট তিনটি, শানকার দুটি , শার্দূল ও চাহাল একটি করে উইকেট লাভ করেন। অন্যদিকে বাংলাদেশের হয়ে রুবেল হোসেন দুটি, মোস্তাফিজ-তাসকিন একটি করে উইকেট লাভ করেন।