০১.
এই সামান্য কাহিনির নায়ক-নায়িকা শ্রীযুক্ত জয়গোপাল দাশগুপ্ত এবং শ্রীমতী জয়াবতী বসু পরস্পর নিতান্তই অপরিচিত। এই কাহিনির বাইরে বা ভিতরে তাদের দুজনের মধ্যে কোনও সংশ্রব, আলাপ-পরিচয় পর্যন্ত নেই।
শ্রীমতী জয়াবতী বসু আবহাওয়া অফিসের করণিক, বয়স চব্বিশ, চেহারা তেমন নয় বটে তবে জয়াবতী সুকেশী।
শ্ৰীযুক্ত জয়গোপাল দাশগুপ্ত মধ্য কলকাতার একটা বয়স্ক শিক্ষণ নৈশ বিদ্যালয়ে প্রকৃতি বিজ্ঞানের শিক্ষক, বয়স পঁচিশ, চেহারা প্রয়োজন নেই (এই কাহিনিতে)।
০২.
জয়াবতী সব বিষয়েই যেকোনও সাধারণ বাঙালি যুবতীর মতো। কিন্তু তার একটি প্রধান ত্রুটি হল যে বড়ই ভুলো মন তার। কোনও সফল বা ব্যর্থ প্রেমই এই জন্যে দায়ি কিনা তা বলা কঠিন এবং এই কাহিনিতে তা আমাদের না জানলেও চলবে।
জয়াবতী প্রথম যখন কলেজে ভরতি হয়, তখন প্রথম দু-তিন মাস তার মনেই থাকত না কোথায় ক্লাস, এমনকী বিষয় আর্টস না সায়েন্স, সেটা খেয়াল রাখতেও তাকে বিশেষ কষ্ট করতে হত।
পুরানো দু টাকার নোট বা নতুন দশ টাকার যে নোট হয়েছে সেটাকে এক টাকার নোট হিসেবে ভুল করে হয়তো অনেকেই খরচ করে ফেলে কিন্তু জয়াবতীই বোধহয় একমাত্র যে সিকি ভেবে বহু আধুলি দিয়েছে।
চটি, ব্যাগ, ছাতা, চশমা এই সব অস্থাবর জিনিস জয়াবতী এই সামান্য বয়সে কত যে হারিয়েছে তার কোনও ইয়ত্তা নেই।
জয়াবতী প্রতিদিন স্নান করে ভেজা চুল এলোখোঁপা করে কাটা দিয়ে গেঁথে আবহাওয়া অফিসে এসে সেখানে চুল শুকোয়। যদিও অফিস, তবুও চুল মেলে দিয়ে শুকিয়ে নিতে জয়াবতীর কোনও অসুবিধা হয় না।
অফিস ঘরের মধ্যে জায়গার খুব অভাব। জয়াবতী কাজে নতুন এসেছে, তাই অফিস ঘরে চেয়ার টেবিল তার জোটেনি। তাতে তার ভালই হয়েছে। বারান্দার একদিকে একটা ছোট ঘরে আবহাওয়া সংক্রান্ত যন্ত্রপাতি রাখা হয়েছে। সেই ঘরেই একটা ছোট টেবিল আর চেয়ার ফেলে সাময়িক স্থান হয়েছে জয়াবতীর।
অফিসে এসেই চুল খুলে ফেলে জয়াবতী। তারপর জানলার পাশে চেয়ারটা টেনে নিয়ে জানলার বাইরের আধা-রোদে চুল শুকিয়ে নেয়। কিন্তু চুল শুকানোর পর আবার যখন খোঁপা বাঁধতে যায়, কিছুতেই আর চুলের কাটাগুলো খুঁজে পায় না সে।
যাতে চুলের কাটাগুলো হারিয়ে যেতে না পারে তার জন্যে চেষ্টার ত্রুটি নেই জয়াবতীর। প্রত্যেক দিনই চুল খোলার পরে খুব যত্ন করে গুছিয়ে রাখে কাটাগুলো এমন জায়গায়, যাতে কিছুতেই হারিয়ে যেতে না পারে। কিন্তু কোথায় যে এত যত্ন করে রাখে, চুল শুকানোর পরে অধিকাংশ দিন আর মনেই থাকে না।
জয়াবতীর একেবারে কিশোরী বয়স থেকে অভ্যাস কাটা গেঁথে খোঁপা শক্ত করে রাখা, ঢিলে বা এলোমেলো খোঁপা হলে তার ভীষণরকম অস্বস্তি হয়। সুতরাং যেসব দিন জয়াবতী তার চুলের কাটা কয়টা খুঁজে বের করতে পারে না, তার খুবই অসুবিধা হয়।
এর মধ্যে একদিন চুলের কাটা খুঁজতে গিয়েই জয়াবতী একটা জিনিস আবিষ্কার করে ফেলল।
আগেই বলেছি যে জয়াবতী যে ঘরটায় বসত সেই ঘরের মধ্যে কিছু যন্ত্রপাতি রাখা ছিল। এর অধিকাংশই নতুন এবং বহুমূল্য যন্ত্র, কিন্তু ব্যবহার কী করে করতে হয় সেটা কারওর জানা না থাকায় এই ঘরে ফেলে রাখা আছে।
এরই মধ্যে একটি যন্ত্র সদ্য চেকোশ্লোভাকিয়া থেকে এসেছে। এটি হল ঝড়-নিরূপক যন্ত্র। কোথায় কখন কী ভাবে ঝড় আসছে অথবা আসবে সবই এই যন্ত্রটায় জানা যাবে।
যন্ত্রটা দেশে এসে গেছে কিন্তু যন্ত্রটা চালানো শেখবার জন্যে যে বৈজ্ঞানিকটিকে চেকোশ্লোভাকিয়ায় পাঠানো হয়েছিল তিনি কাজ শিখে দেশে ফেরার পথে লন্ডনে হঠাৎ ভাগ্যক্রমে একটা মদের দোকানে বয়ের কাজ পেয়ে যাওয়ায় আর ফিরলেন না। সরকার এই ঘটনার পর আর কোনও দ্বিতীয় বৈজ্ঞানিককে পাঠানোর সাহস পাননি, বরং আয়োজন করা হয়েছে যে চেকোশ্লোভাকিয়া থেকে একজন যন্ত্রবিদ এসে এখানেই কয়েকজনকে ওই যন্ত্র পরিচালনা শিখিয়ে যাবেন।
চেকোশ্লাভাকিয়ার সেই যন্ত্রবিদ এখনও এসে পৌঁছাননি, তাই যন্ত্রটা জয়াবতীর ঘরে পড়ে রয়েছে।
চুলের কাঁটা খুঁজতে খুঁজতে একদিন জয়াবতী ওই ঝড় নিরূপক-যন্ত্রের মধ্যে হাত গলিয়ে দিল। যন্ত্রটার মাঝামাঝি জায়গায় একটা সবুজ এবং একটা নীল রঙের ছোট বালবের মধ্যে একটা ড্রয়ারের মতো ছিল, জয়াবতী একদিন ওখানে কাটা রেখেছিল। তাই আজও কাটা খুঁজতে গিয়ে ভাবল ওইখানে থাকতে পারে কিন্তু হাত দিয়ে পেল না। আরেকটু আরেকটু করে হাত গলিয়ে দিতে শেষে হাতে যেন চুলের কাটাগুলো ঠেকল। এতটা ভিতরে চলে গেছে ভাবেনি জয়াবতী, সে হাত দিয়ে টেনে বার করে আনতেই দেখল চার-পাঁচটা কাটা স্টেনলেস স্টিল বা ওই জাতীয় কোনও ধাতু দিয়ে তৈরি। চুলের কাটা নয়, ওই যন্ত্রেরই কোনও অংশ হবে, কিন্তু চুলের কাটার কাজ অনায়াসেই। চালানো যায়।
বলা বাহুল্য এই আকস্মিক আবিষ্কারে জয়াবতীর অশেষ উপকার হল। কয়েকদিনের মধ্যেই সে বাড়ি থেকে চুলে কাটা গেঁথে আনা ছেড়ে দিল, কেননা সে দেখল এই যন্ত্রের মধ্যে যেখানেই হাত গলাচ্ছে, ছোট বড় নানা আকারের সুদৃশ্য কাটা বেরিয়ে আসছে। সে ক্রমশ এখান থেকে কাটা নিয়ে আত্মীয়, বান্ধবী এবং প্রতিবেশিনীদের মধ্যে, চুলের আয়তন দৈর্ঘ্য এবং বিস্তার অনুসারে ছোট বড় মাঝারি কাটা বিলিয়ে রীতিমতো জনপ্রিয় হয়ে উঠল।
সপ্তাহ তিনেকের মধ্যে সেই নীল আর সবুজ রঙের বালব দুটি ছাড়া সেই ঝড়-নিরূপক যন্ত্রটির আর কিছুই অবশিষ্ট রইল না।
এখানে বলে রাখা ভাল যে, জয়াবতী কখনওই জানত না বা কখনও ভাবেওনি যে তার ওই। কণ্টকপ্রসূ যন্ত্রটি আসলে কী? আর যেকোনও মেয়ের মতোই এতটা ভাবার মতো ক্ষমতা তার ছিল না।
ইতিমধ্যে অফিস ঘরের মধ্যে একটা চেয়ার খালি হয়ে যাওয়ায় জয়াবতী সেখানে চলে গেল। এবং এই যন্ত্রের ঘরে তালা পড়ল।
তারপর একদিন চেকোশ্লোভাকিয়া থেকে যন্ত্রবিদ এসে পৌঁছলেন। সেই বিদেশি তার শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রথমে সেই ঘর এবং তারপর সারা আবহাওয়া অফিস তন্ন তন্ন করে অনুসন্ধান। করলেন, কিন্তু তখন কোথায় সেই ঝড়-নিরূপক যন্ত্র?
এই নিয়ে সারা দেশে খুবই চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হল। বিধানসভা থেকে একদিন এবং লোকসভা থেকে পরপর দুদিন বিরোধী সদস্যেরা একজোটে বেরিয়ে গেলেন। বহুলক্ষ টাকা বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয়ে যে দুর্লভ যন্ত্রটি আনা হয়েছিল সেটি এইভাবে অন্তর্হিত হওয়ায় এটাকে অনেকে অন্তর্ঘাতী কার্যকলাপের অন্তর্গত বলে মনে করতে লাগলেন। একটি সংবাদপত্র ধারাবাহিক সম্পাদকীয় নিবন্ধ লিখলেন এই ঘটনার উপরে, ঝড়ের পূর্বাভাস নামে সেই নিবন্ধ পড়ে এ দেশের আবালবৃদ্ধবনিতা অশ্রুসম্বরণ করতে পারেননি। শুধু আবহাওয়া দপ্তরের ভার ঠিক কোন মন্ত্রীর, সেটা ধরতে না পেরে সংবাদপত্রটি সেই মন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করতে পারলেন না। তাই খুব গোলমাল হল। জোর পুলিশি তদন্ত চলতে লাগল।
০৩.
আজ কিছুদিন হল জয়গোপালের মনের মধ্যে একটা ধারণা ঢুকেছে যে তাকে পুলিশ খুঁজছে।
ধারণাটা তার মনের মধ্যে যাকে বলে বেশ বদ্ধমূল হয়ে বসেছে। কেন যে পুলিশ তাকে খুঁজছে, এ বিষয়ে জয়গোপালের নিশ্চিত কোনও ধারণা নেই। তবে জয়গোপাল একটু লোভী স্বভাবের যুবক। প্রায় বছর খানেক আগে জয়গোপাল রাস্তায় কুড়িয়ে পাওয়া একটা দশটাকার নোট চালানোর। চেষ্টা করেছিল। পর পর কয়েকজন দোকানদার নোটটা জালি বলে ফিরিয়ে দেয়। তাদেরই কেউ সন্দেহ করে পুলিশে কোনও খবর দিয়ে রাখতে পারে, অথবা সেবার যখন কলেজ স্ট্রিটে গোলমাল হয় সে একটা স্টেট বাসের গদি তুলে নিয়ে বাড়ি চলে আসে।
এগুলো যে পুলিশ পিছনে লাগবার মতো কারণ নয় সেটা জয়গোপাল বোঝে। কিন্তু তার মন থেকে সন্দেহ দূর হওয়ার নয়।
শেষে ভয়ে ভয়ে একদিন জয়গোপাল ঘরের দরজা বন্ধ করে, হাতের কাছে কেরোসিন তেল না থাকায় নারকেল তেল ঢেলে ওই দশ টাকার নোটটায় আর বাসের গদিটায় আগুন লাগিয়ে দিল। দশ টাকার নোটটা অচিরেই ভস্মীভূত হয়ে গেল, কিন্তু বড় কষ্ট দিল ওই বাসের গদিটা। এটা কিছুতেই জ্বলতে চায় না, আবার পরমুহূর্তেই ছাদের সিলিং পর্যন্ত দাউ দাউ করে আগুন লাফিয়ে ওঠে। আর পোড়া গদির সে কী দুর্গন্ধ, মড়া পোড়ার গন্ধের চেয়েও বিকট। এবং শব্দ–কেন যে এত শব্দ, এইটুকু গদির মধ্য থেকে কী করে এত শব্দ ধূপধাপ, ধুম-ধাম, ফট-ফটাস! জয়গোপাল কানে আঙুল দিয়েও রক্ষা পায় না, আবার ঘর থেকে বেরোতেও সাহস পায় না, পাছে ঘরের অন্য জিনিসেও আগুন লেগে যায়। সে যে কী কঠিন সমস্যা, এই রকম অবস্থায় যিনি কখনও পড়েছেন। তিনিই শুধু হয়তো বুঝতে পারবেন।
একটা পুরানো তিনপায়া টেবিল, লোহার আলমারির মাথায় বসানো শীতকালে ব্যবহারের জন্য লেপ, ঘরের কোনায় গাদা করা পুরানো খবরের কাগজ এবং ডান হাতের কনুই থেকে যোবলা। স্কোয়ার ইঞ্চি জায়গা কিছুতেই আগুনে পোড়ার থেকে রক্ষা করতে পারল না জয়গোপাল।
দগ্ধ কনুই, জয়গোপাল তবুও দুশ্চিন্তার হাত থেকে অব্যাহতি পেল না। কারণ সেই বাসের সিটের দগ্ধাবশেষ।
কোথায় ফেলবে? সিটের ফ্রেমের লোহার শিকগুলো আগুনের তাপে গলে বাঁকা হয়ে গিয়েছে, কিন্তু তবুও দেখলে কি একেবারেই অনুমান করা যায় না যে এগুলো দিয়েই একটা বাসের সিট তৈরি হয়েছিল, যে বাসের সিটটি কিনা ছিল লুটের মাল।
কেন যে মরতে জয়গোপাল ওই সিটটা তুলে আনতে গিয়েছিল, আজ তাই ভাবে। ওই সিটটা তার কোনও কাজে লাগেনি। একদিনের জন্যও আরাম করে বসার মতো মনোবল সংগ্রহ করতে পারেনি। তার জীবনে কালগ্রহের মতো দেখা দিয়েছে ওই বাসের গদি।
এই তো গতকাল বিকেলে দুটো মোটামতো লোক মোড়ের পাশের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে কেমন বাঁকা বাঁকা চোখে তাকে পর্যবেক্ষণ করছিল। নিশ্চয় পুলিশের লোক। এই রকম ঘটনা জয়গোপাল প্রতিদিনই লক্ষ করছে। সবই ওই সিটটার জন্যে–দশটাকার নোটটার জন্যেও হতে পারে। কিন্তু জাল নোটটা নিয়ে আর ভয় নেই, তার সমস্ত চিহ্ন ভস্ম হয়ে লুপ্ত হয়ে গিয়েছে।
এইবার বাসের সিটের পোড়া কঙ্কালটুকু কোথাও ফেলে দিতে পারলেই নিশ্চিন্ত চিত্তে জয়গোপাল আবার রাত্রে শান্তিতে ঘুমোত পারে।
বাজার থেকে চট কিনে আনল। সঙ্গে সুঁচ আর সুতো। সুঁচ-সুতো দিয়ে ভাল করে মুড়িয়ে রাতের অন্ধকারে এটাকে নিয়ে কোথাও ফেলে আসতে হবে।
কিন্তু কীসে করে নিয়ে যাবে এই বস্তুটা। জয়গোপালের নিজের কোনও যানবাহন নেই। রিকশাই। হোক আর ট্যাক্সিই হোক, তার চালক তো নিশ্চয় সন্দেহ করবে।
অনেক বুদ্ধি খাটিয়ে জয়গোপাল স্থির করল, বাড়ি থেকে সন্ধ্যার দিকে একটা রিকশায় করে জিনিসটা নিয়ে বেরোবে, তার পরে মোড়ে গিয়ে রিকশা ছেড়ে ট্যাক্সিতে উঠবে। তারপরে ট্যাক্সি থেকে আবার রিকশা আবার ট্যাক্সি এই ভাবে চলে অবশেষে যখন নিরাপদ বোধ করবে, মালসুদ্ধ রাস্তায় নেমে, মালটা যেন ভুল করে ফেলে যাচ্ছে এই রকম ভাবে যে কোনও বাসে উঠে চলে আসবে।
যত দুশ্চিন্তা করেছিল, তা দেখা গেল নিরর্থক। অতি অনায়াসেই জিনিসটাকে ফুটপাথে ফেলে চলে আসতে পারল জয়গোপাল।
শুধু পরের দিন প্রতিটি সংবাদপত্রে একটা খবর দেখে সে আবার হতাশ হল এবং আরও দুশ্চিন্তায় পড়ল। সংবাদটি এই–আবহাওয়া অফিসের ঝড়-নিরূপক যে যন্ত্রটি কিছুকাল আগে চুরি গিয়েছিল, তাহা গতকল্য দগ্ধ অবস্থায় চটে মোড়ানো প্যাকেটে পাওয়া গিয়াছে। বোধহয় দুষ্কৃতকারীরা উহা কাজে লাগাইতে না পারিয়া ফেলিয়া গিয়াছে। পুলিশ দুষ্কৃতকারীদের অনুসন্ধান করিতেছে।
খবরটা আরও বড় ছিল। জয়গোপাল খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়ল। সে যেখানে ফেলে এসেছিল ঠিক সেই বাসস্টপের পাশের ফুটপাথেই পাওয়া গিয়েছে। এটা যে সেই দগ্ধ বাসের গদি এ বিষয়ে তার বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই, শুধু দুশ্চিন্তা আরও বাড়ল এই ভেবে যে এবার তাকে ঝড় নিরূপক-যন্ত্রের চোর হিসেবে হয়তো জেল খাটতে হবে।