জয়নাল সাহেব সিগারেট ধরালেন। গল্পের ফাঁকে ফাঁকে সিগারেট টানছেন। সিগারেটের আলোর আভায় তার চোখ মুখখানি দেখা যাচ্ছে। আমি লক্ষ্য রাখছি তার চোখের দিকে। চোখে পানি দেখা যায়। কিনা। কোথায় যেন পড়েছিলাম অনিদ্রা রোগীর চোখে জল থাকে না। জয়নাল সাহেব কথা বলছেন ফিসফিস করে। অন্ধকারে মানুষ স্বাভাবিকের চেয়েও উঁচু গলায় কথা বলে। জয়নাল সাহেব তা করছেন না। আমি বিবাহ করেছিলাম অল্প বয়সে।
এখনকার পুরুষ মানুষ ৩৫ বছর চল্লিশ বছরের আগে বিবাহ করে না। আমি বিবাহ করেছিলাম ২৩ বছর বয়সে; আমার স্ত্রীর নাম রেহানা। বিবাহের আগে শুনেছিলাম রেহানার চেহারা ছবি মোটামুটি— গাত্ৰবৰ্ণ কালো। একটু মোটা ধাঁচ। মনটা খুবই খারাপ হয়েছিল। আমাদের ছিল অ্যারেনজড ম্যারেজ।আমার মামা বললেন, ভাইগ্লা পাত্রী দেখবা? বিবাহের আগে কন্যাকে চোখের-দেখা দেখা হাদিসে জায়েজ আছে। তবে কথা বলতে পারবে না। কন্যার কণ্ঠস্বর পরপুরুষের শোনা হারাম।আমার মনটা অত্যাধিক খারাপ— কারণ কন্যার চেহারা ছবি ভালো না।
দেখলে মন খারাপ হবে এই ভেবে বললাম, দেখব না।কুড়ি হাজার এক টাকা কাবিনে বিবাহ হয়ে গেল। রেহানাকে দেখলাম বাসর রাতে। ভাই সাহেব মেয়ে দেখে আমার পালপিটিশন শুরু হয়ে গেল। শরীর ঘেমে গেল। শুধু হাঁচি আসতে লাগল। প্ৰায় বিশটার মত হাঁচি দিলাম।মেয়ে অতি রূপবতী? জি ভাই সাহেব। যেমন চেহারা, তেমন গায়ের রং। তেমনই লম্বা চুল। তবে চুলের বর্ণ কালো না— পিঙ্গল চুল— আপনি কি ওই শ্লোকটা জানেন? পিংগল চুলের শ্লোক? না।
উঁচু কপালী চিরুলদাঁতি পিঙ্গল কেশ।
ঘুরবে কন্যা নানান দেশ।
এত সুন্দর মেয়ে আপনাকে অসুন্দর বলল কেন?
সবাই মিলে মশকরা করল। এর বেশি কিছু না। অতি রূপবতী মেয়েদের মনে নানান প্যাঁচঘোচ থাকে। রেহানা ছিল— অতি সরল। হাসিখুশি। অন্তর মায়াতে ভরতি। রেহানা খুব ভাগ্যবতীও ছিল। সে এসেছিল তার স্ত্রী ভাগ্য নিয়ে। বিয়ের পর পর ভালো একটা চাকরি পেলাম। মাল্টিনেশানাল কোম্পানির চাকরি— অনেক সুযোগ সুবিধা। সবচে বড় সুবিধা কোয়ার্টার আছে।
তিন রুমের কোয়ার্টার। রান্নাঘরটা শুধু ছোট। এ ছাড়া বড়ই ভালো ব্যবস্থা। দক্ষিণ দুয়ারী। কী যে সুখের জীবন শুরু হল ভাই সাহেব। নিজেকে মনে হত রাজা বাদশা। সহজভাবে তখন হাঁটাও ভুলে গেছি। স্টাইল করে হাঁটতাম। বিয়ের দুই বছরের মাথায় বড় মেয়ের জন্ম হল। মেয়ের নাম আহনা।আপনার দেওয়া নাম?
জিনা। আমার স্ত্রীর দূর সম্পর্কের এক খালাত ভাই— সফিকের দেওয়া নাম। সে আমার মেয়েটাকে অত্যস্ত স্নেহ করত। আহনা ডাকত না। সে ডাকত। গহনা কন্যা অহনা।সফিক সাহেব করতেন কী? সে খুবই উদ্যোগি ছেলে ছিল। বুদ্ধি ছিল ক্ষুরধারের চেয়েও বেশি— ব্লেড ধার। অসম্ভব হাসিখুশি। গম্ভীর মুখে সে হাসির কথা বলতো— আমি আর রেহানা হেসে গড়িয়ে পড়তাম। আমরা দুজনই তাকে খুব পছন্দ করতাম। রেহানার চেয়ে বেশি পছন্দ করতাম আমি।
ধরুন, বাসায় কোনো একটা ভালা রান্না হয়েছে। আমি মেস থেকে সফিককে নিয়ে আসতাম। সে মেসে খেয়ে ফেলেছে তারপরেও নিয়ে আসতাম। বাসায় ভালোমন্দ কিছু রান্না হয়েছে আর আমি সফিককে খবর দিয়ে নিয়ে আসি নি। এ রকম কখনো হয় নাই।সফিকের অংশটা এখন থাক। আপনার অংশটা বলুন।জি ভাই সাহেব বলছি। একটু দম নিয়ে নেই। আরেকটা সিগারেট খেয়ে নেই।গল্পটা কি অনেক লম্বা?
জিনা শেষ হয়ে এসেছে। বেশি হলে এক মিনিট লাগবে। গল্প শেষ করে। আমি মাথা বানায়ে আপনাকে ঘুম পাড়িয়ে দিব।জয়নাল সাহেব সিগারেট খেলেন। চা খেলেন। মিষ্টি পান নিয়ে এসেছিলেন। পান খেলেন। গল্প আবার শুরু করলেন।বর্ষাকালের ঘটনা বুঝলেন হিমু ভাই। অফিসে গিয়েছি বৃষ্টিতে ভিজে। আমার বস হাসান সাহেব আমাকে দেখে বললেন—একী অবস্থা। আপনার ছাতা নেই? আমি বললাম, জিনা সার।উনি বললেন, বর্ষার দেশে বাস করেন— ছাতা নেই কেন? আমি বললাম, সার আমি খুব ছাতা হারাই। গত বছর তিনটা ছাতা হারিয়েছি। এই বৎসর ঠিক করেছি। ছাতা কিনব না?
হাসান সাহেব বললেন, এই বৎসরও কিনবেন এবং ছাতা যেন না হারায় সে জন্যে নাইলনের পাতলা দড়ি দিয়ে হাতের সঙ্গে বেঁধে রাখবেন।আমি বললাম, জি আচ্ছা সার। এখনই ছাতা কিনে নিয়ে আসছি।হাসান সারা বললেন–-আরো কী আশ্চর্য। আপনি ঠাট্টা বুঝেন না নাকি? ঠাট্টা করছি। ছাতা কেনার কোনো দরকার নেই। আমার কাছে বাড়তি রেইনকোট আছে। আমি রেইনকোট দিয়ে দেব। আজ যে ভেজা ভিজেছেন। অসুখ করবে। যান বাসায় চলে যান। আজ আপনার ছুটি। আপনার জন্যে রেইনি ডে।
হাসান সারা আমাকে অসম্ভব স্নেহ করতেন। তার স্নেহের ঋণ শোধ করা অসম্ভব। যাই হোক যে কথা বলছিলাম— আমি অসময়ে বাসায় ফিরে দেখি— সফিক আমাদের বাসায়। আমার খুবই ভালো লাগল–ভালো হয়েছে গল্প করা যাবে। আমি বললাম— সফিক কেমন আছ?
সফিক বলল, ভালো। আপনি অসময়ে চলে এসেছেন কেন? অফিস ছুটি হয়ে গেছে? আমি বললাম, অফিস ছুটি হয় নি— আমার ছুটি। আমার রেইনি ডে।সফিক গম্ভীর গলায় বলল, অসময়ে দেখতে এসেছেন ভাবি কার সঙ্গে কী করছে? ভাবিকে আপনি সন্দেহ করেন? আপনার কি ধারণা ভাবি আমার সঙ্গে লটরপটর করে? আমি অবাক হয়ে বললাম, তার মানে?
সফিক বলল, আপনি নানানভাবে আপনার স্ত্রীকে যন্ত্রণা দেন। তাঁকে মারধোর করেন। একবার গলাটিপে খুন করতে গিয়েছেন। আপনি কি জানেন ভাবি যদি থানায় গিয়ে কেইস করে তা হলে পুলিশ এসে আপনাকে ধরে নিয়ে যাবে। নারী নির্যাতন মামলায় আপনার দশ বছর জেল খাটতে হবে।
আমি ভাবলাম সফিক রসিকতা করছে! কারণ রেহানা কিছুই বলছে না। কাজেই আমি হাসতে হাসতে বললাম— আমি জেলে গেলে তোমায় ভাবিকে দেখবে কে?সফিক বলল, ভাবিকে দেখার লোক পাওয়া যাবে। আপনি আপনার নিজের কথা ভাবুন। আপনি তো ভাবিকে থ্রেটও করেছেন। আপনি বলেছেন–ভাবির মুখ আপনি এসিড দিয়ে ঝলসে দেবেন। বলেন নি? কখন বললাম?
আমার সামনেই তো বলেছেন? বলেন নি? ভাবি যেমন শুনেছে। আমিও শুনেছি।আমি বললাম, সফিক এই সব তুমি কী বলছ? ঠাট্টা করছ নাকি? এই জাতীয় ঠাট্টা ভালো না।সফিক বলল, ঠাট্টা করছি না। আপনার সঙ্গে আমার ঠাট্টার সম্পর্ক না। আপনি আমার দুলাভাই না।এই বলে সে উঠে চলে গেল। আমি রেহানাকে বললাম, ব্যাপার কী? সফিক এরকম করছে কেন?
রেহানা শুকনো গলায় বলল, ও এরকম করছে কেন তা আমি কি করে বলব। ওর ব্যাপার ও জানে।এই বলে সে রান্নাঘরে ঢুকে গেল। আমি কিছুই বুঝলাম না। মন খুবই খারাপ। দুপুরে খাওয়াদাওয়া করে ঘুমালাম। সন্ধ্যাবেলায় উঠলাম। মাগরেবের নামাজ পড়ে অহনাকে নিয়ে খেলছি। এমন সময় বাসায় পুলিশ আসল। আমাকে অ্যারেস্ট করল। বাড়ি সার্চ করল। আমার অফিসের ব্যাগে এক বোতল এসিড তারা খুঁজে পেয়ে গেল। তখনো আমি ভাবছি পুরো ব্যাপারটা দুঃস্বপ্ন। মন খারাপ করে ঘুমুতে গেছি। এই জন্যে স্বপ্নে দেখেছি।
রেহানা যে আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছে আমি তার কিছুই বুঝতে পারি নি। পুলিশ এমন মার মারল— কী বলব ভাই সাহেব। মারের চোটে স্বীকার করলাম এসিড আমিই কিনেছি। পুলিশ কি করত জানেন? আমাকে চিৎ করে শুইয়ে এসিডের বোতলের মুখ খুলে ফেলত। তারপর বলত–তোর কেনা এসিডে তোর একটা চোখ গালিয়ে দেব। তখন বুঝবি কত ধানে কত চাল। হারামজাদা স্বীকার কর তুই এসিড কিনেছিস।
খুবই অস্বাভাবিক ঘটনা।জি অস্বাভাবিক। আমার পাঁচ বছরের সাজা হয়েছিল। জেলের বছর নয় মাসে হয় এই জন্যে চার বছরের মতো জেলে ছিলাম। তবে জেলে খারাপ ছিলাম না। বললে অবিশ্বাস্য লাগবে জেলে শান্তিতে ছিলাম। সারাদিন খাটাখাটনি করতাম রাতে ভালো ঘুম হত। এক ঘুমে রাত কাবার।
জেল থেকে বের হয়ে খুবই কষ্টে পড়লাম। রেহানা সফিককে বিয়ে করে চলে গেছে অস্ট্রেলিয়া; আমার নেই চাকরি। দিনের পর দিন না খেয়ে থেকেছি।মামলা যখন চলেছে তখনো কি বলেছেন এসিড আপনি কিনেছেন? জি বলেছি। রেহানার উপর রাগ করেই বলেছি। ইত্তেফাকে আমার ছবিও ছাপা হয়েছিল। পাষণ্ড স্বামী এই শিরোনামে।আপনার গল্প শেষ হয়েছে?
জি ভাই সাহেব। এখন শুয়ে পড়েন। আমি ঘুম পাড়িয়ে দিচ্ছি। আজি অন্য কায়দায় মাথা মালিশ করব। আঙুলের ডগা পানিতে ভিজিয়ে ভেজা আঙুলে চুলে বিলি কাটব। ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা লাগবে, খুবই আরাম। পাঁচ মিনিটের মধ্যে ঘুমিয়ে পড়বেন।আমি শুয়ে পড়লাম। জয়নাল সাহেব ভেজা আঙুলে চুলে বিলি কাটছেন। সত্যি সত্যি ঘুম চলে আসছে। আমি ঘুম ঘুম গলায় বললাম— আপনার স্ত্রীর সঙ্গে আপনার আর যোগাযোগ হয় নি? জি না।যোগাযোগের চেষ্টাও করেন নি?
করেছি। মেয়েটা কত বড় হল জানতে ইচ্ছা করে। কিন্তু ওদের ঠিকানা বের করতে পারি নি।মেয়ের নাম কী বললেন যেন? ভালো নাম তারা কী রেখেছে তা তো জানি না। তবে ডাক নাম— আহনা। গহনার সঙ্গে মিলিয়ে আহনা। অহনা অহনা, পরবে সোনার গহনা। নামটা সুন্দর না?
অবশ্যই সুন্দর।এখন মেয়েটার বয়স তেইশ। মেয়ে নিশ্চয়ই মায়ের মতো রূপবতী হয়েছে। চুলের রং পিঙ্গল হয়েছে কি না কে জানে। পিঙ্গল হলে সমস্যা। মেয়েকে দেশ বিদেশ ঘুরতে হবে। রেহানার চুল ছিল, এইজন্যে তাকে বিদেশে পড়ে থাকতে হয়েছে।জয়নাল সাহেব মাথায় আঙুল বুলাচ্ছেন। আমার চোখে নামছে রাজ্যের ঘুম। খুব হালকা সুরে বাঁশি বাজলে ভালো হত। শরীরের আরামের সঙ্গে যুক্ত হত মনের আরাম।
ঘুম ভেঙে দেখি আমার বিছানার পাশের চেয়ারে অতি বিখ্যাত এক ব্যক্তি বসে আছেন। বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম। কবি খুব রাগী চোখে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন। চোখ ধ্বক ধ্বক করেছে। এতটা রাগ কবিদের মানায় না। বিদ্রোহী কবিকেও মানায় না। আমি উঠে বসলাম। ভালোমতো তাকিয়ে দেখি যিনি বসে আছেন তিনি বিদ্রোহী কবি না— ফরিদা খালা। ভরাট গোলগাল মুখ বড় বড় চোখের কারণে ধান্ধা লেগে গিয়েছিল।
ফরিদা খালা কঠিন গলায় বললেন, এই আস্তাবলে তুই থাকিস? জায়গাটা তো ঘোড়া বাসেরও অযোগ্য। সারা মেঝেতে সিগারেটের টুকরা। একটা অ্যাসষ্ট্রে কিনতে কয় টাকা লাগে? গত এক বৎসরে এই ঘর কেউ ঝাট দিয়েছে বলে মনে হয় না।আমি মধুর গলায় বললাম, কেমন আছ খালা? শরীর ভালো? খালা সামাজিক আলোচনার ধার দিয়েও গেলেন না। আগের সূত্র ধরেই ধমকাতে লগালে–
টেবিলে থাকে বই খাতা— তোর টেবিলে ময়লা কাপড়। একটা আলনা কি কেনা যায় না? আমি টাকা দিচ্ছি তুই এক্ষুনি আলনা কিনে আনবি? জি আচ্ছা।ঝাঁটা কিনবি— ঘর ঝাঁট দিবি। ফিনাইল দিয়ে ঘর মুছবি; সব আজই করবি।আচ্ছা।কাপড় ধোঁয়ার সাবান কিনে আনবি। নিজের হাতে কাপড় কাচবি। একটা টেবিল ক্লথ কিনবি, অ্যাসট্রে কিনবি। ঘরে তো কোনো তোয়ালে দেখছি না গা মুছিস কী দিয়ে?
গা মুছি না।একটা তোয়ালে কিনবি, গামছা কিনবি। তোষকের উপর শুয়ে আছিস— অস্বস্থি লাগে না। দুটা বেডশিট কিনবি। দুদিন পর পর বেডশিট বদলাবি। বালিশ থেকেও তো তুলা বের হচ্ছে। ফেলে দে এই বালিশ– এক্ষুনি ফেল।আমি জানালা দিয়ে বালিশ ফেলে দিলাম। খালা যে রাগ রেগেছে— তাৎক্ষণিকভাবে বালিশ বিসর্জনে সেই রাগ কিছু কমার কথা।
দাঁত কেলিয়ে বসে আছিস কেন? হাত মুখ ধুয়ে আয়। তোর সঙ্গে জরুরি কথা! ভালো কথা হাত মুখ যে ধুবি— টুথপেস্ট ব্রাশ আছে? কয়লা দিয়ে একটা ভুলা দিলে কি চলবে? হাসবি না খবৰ্দার। হাসির কোনো কথা আমি বলছি না।মনে হচ্ছে খালার রাগ খানিকটা পড়েছে – জোয়ারের পর সামান্য ভাটা। রাগ আরেকটু কমানোর জন্যে বললাম, চা খাবে খালা? না।
কবি নজরুল খুব চা খেতেন। তিনি বলতেন চায়ে না নাই। দিনে সত্তুর কাপ চা খাওয়ার রেকর্ডও তার আছে।খালা অবাক হয়ে বললেন, কবি নজরুলের চা খাওয়ার সাথে আমার চা খাবার সম্পর্ক কী? তুমি দেখতে অবিকল কবি নজরুলের মতো।তার মানে? চুলগুলি ববক্যাট করলে তুমি পুরোপুরি নজরুল। নজরুলকে নিয়ে অন্নদাশংকর রায়ের একটা বিখ্যাত কবিতা আছে। কবিতাটা জান খালা?
ভুল হয়ে গেছে বিলকুল
সব কিছু ভাগ হয়ে গেছে
ভাগ হয়নি কো নজরুল।
খালা রাগী গলায় বললেন, যার সঙ্গে ইচ্ছা ফাজলামি করিস আমার সঙ্গে করবি না। আমি তোর ছোটশালী না, সম্পর্কে আমি তোর খালা।একজন বিখ্যাত মানুষের চেহারার সঙ্গে তোমার চেহারার মিল। এতে তো আনন্দিত হবার কথা। তুমি রাগ করছ, কেন? আমি কি ব্যাটা ছেলে?
এই বিষয়ে কবি নজরুলেরই কবিতা আছে— আমার চক্ষে পুরুষ রমণী কোনো ভেদাভেদ নাই। তা ছাড়া খালা, পুরুষ রমণীর প্রভেদটা হল বাহ্যিক। শারীরিক। মানুষের আসল পরিচয় তাঁর আত্মায়। আত্মার কোনো নারী পুরুষ নেই। পুরুষের আত্মাও যা নারীর আত্মাও তা।
Read more