নির্মূল করা যাবে পঙ্গপাল 

পঙ্গপাল 

বিজ্ঞানীরা এমন একটি রাসায়নিক উপাদানের সন্ধান পেয়েছেন, যা শস্য ধ্বংসকারী পঙ্গপালকে এক সাথে জড়ো হতে প্ররোচিত করে । এটি গবেষণাগারেও কৃত্রিমভাবে প্রয়োগ করা যাবে । সুবিধাজনক স্থানে প্রয়োগ করলে তা পঙ্গপালের জন্য পরিণত হবে মৃত্যুফাঁদে । এরা রাসায়নিক উপাদানটির গন্ধ পেয়ে সেখানে জড়ো হবে এবং এদের ধ্বংস করা সহজ হবে। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত গবেষণা নিবন্ধ  বিজ্ঞানসাময়িকী নেচারে প্রকাশ হয়েছে ।

বিজ্ঞানরীদের খুঁজে পাওয়া রাসায়নিক উপাদানটি আসলে ফেরোমন জাতীয় পদার্থ, যা প্রাণীর আচরণ নিয়ন্ত্রণ করে । কোনো প্রাণী যখন এ উপাদান তৈরি করে ও পরিবেশে ছড়িয়ে দেয়, তার গন্ধেে একই জাতের অন্য প্রাণীরাও প্রভাবিত হয় এবং সে অনুযায়ী বিশেষ আচরণ করে।

পঙ্গপালের সবচেয়ে ক্ষতিকর জাত লোকাস্টা মাইগ্রেটোরিয়ার শরীরে ফেরোমন জাতীয় ঐ উপাদানটির সন্ধান পান বিজ্ঞানীরা । তারা এর নাম দেন ফোর-ভিনাইলএনিসোল (4 VA) । পতঙ্গের পেছনের পা থেকে এর নিঃসরণ ঘটে । উপাদানটির গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের এলাকায় এবং গন্ধের প্রতি সংবেদনশীল শুঙ্গের মাধ্যমে একই জাতের অন্য পতঙ্গরা তা সহজেই শনাক্ত করতে পারে । সেই গন্ধের উৎসের ‍দিকে ছুটতে থাকে এরা বিজ্ঞানীরা বলেছেন, এ নির্দিষ্ট গন্ধের রাসায়নিক উপাদানটি কৃত্রিমভাবে তৈরি করে নির্দিষ্ট জায়গায় প্রয়োগ করে সেখানে পঙ্গপালকে ছুটে যেতে প্রলুব্ধ করা যাবে । মৃত্যুফাঁদে এনে সহজেই এদের ধ্বংস করা সম্ভব হবে ।   

নির্মূল করা যাবে পঙ্গপাল 

সারাবিশ্বেই লোকাস্টা মাইগ্রেটোরিয়ার বিচরণ এবং সবচেয়ে বেশি শস্যহানি ঘটায় । আফ্রিকার পূর্বাঞ্চলে এ জাতের পঙ্গপাল ফসলের ব্যাপক ক্ষতি করছে । জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ঐ অঞ্চলে প্রতিদিন ৩৫,০০০ মানুষের খাদ্যের সমপরিমাণ ফসল বিনষ্ট হচ্ছে । বিশ্বব্যাংক আশঙ্কা করছে, পঙ্গপালের আক্রমণে ভারতের রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও গুজরাট এবং পাকিস্তানের বেলুচিস্তান, সিন্ধু ও পাঞ্জাব প্রদেশে অনেক ক্ষতি হয়েছে । 

কৃত্রিম ত্বকে স্পর্শের অনুভূতি  

স্পর্শের অনুভূতি সৃষ্টি করতে পারে এমন কৃত্রিম ত্বক উদ্ভাবন করেন বিজ্ঞানীরা । ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের গবেষকরা দাবি করেন, এ বিশেষ ত্বক কৃত্রিম হাত বা পায়ে সংযুক্ত করা হলে তা বস্তু শনাক্তের পাশাপাশি স্পর্শের বিশেষ অনুভূতি সৃষ্টি করতে পারে । এ উদ্ভাবন নিয়ে এরই মধ্যে চিকিৎসকদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে ।

গবেষকরা এ বিশেষ ত্বকের নাম দেন অ্যাসিনক্রোনাস কোডেড ইলেকট্রনিক স্কিন বা ACES । এটি ১০০টি ক্ষুদ্র সেন্সরযুক্ত এক বর্গসেন্টিমিটার আকারের একটি ডিভাইস । কৃত্রিম ত্বক মানুষের স্নায়ুতন্ত্রের চেয়েও দ্রুত কাজ করে । এটি ব্রেইল অক্ষর ৯০% নিখুঁতভাবে  পড়তে পারে। শুধু তাই নয়, ২০-৩০ ধরনের গঠনবিন্যাসও শনাক্ত করতে পারে ।

 

 

Read More

জেনেনিন প্লে ষ্টোর থেকে যেসব অ্যাপ মুছে ফেলা হয়েছে 

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *