হুইসেল-ঋভু চট্টোপাধ্যায়

হুইসেল-ঋভু চট্টোপাধ্যায়

-কটা বাজে এখন ?

-দুটো পনেরো।

-রাত দুটো পনেরো!

-না’তো কি দুপুর হবে ?

-তা না, আমি জিজ্ঞেস করছি মানে তুমি কি এখন বেরোবে ?

-সেই জন্যেই তো জামাকাপড় পরলাম।

-তোমার কি মাথা খারাপ হয়ে গেছে নাকি, প্রতিরাতে এমনি ভাবে বেরিয়ে যাচ্ছ ?

-পাগলের মত কথা বোলো না। প্রতিরাতে আমি বেরিয়ে নিষিদ্ধপল্লি যাচ্ছি না।

-বাজে আমি বকছি, এমনি ভাবে চলতে পারে কি?

-মাম্পি এটা আমার চাকরি। 

-এটা তোমার চাকরি ? আমাকে শেখাচ্ছো ? মাঠে ঘাটে কে হাগছে, মুতছে, এসব দেখা তোমার কাজ ?

-সারা রাত ডি.এম. সাহেবও মাঠে থাকছেন।

-ডি.এম এর কথা বাদ দাও তো। মাস গেলে মোটা টাকা কামাচ্ছে, অসুখ হলে নামি দামি হাসপাতালে ট্রিটমেন্ট পাচ্ছে। এইরকম অনিয়ম করে তোমার কিছু হলে আমাদের কি হবে একবার ভেবেছ ? ডি.এম দেখাচ্ছে।

-তুমি কি দরজাটা ভিতর থেকে লাগাবে, না আমি বাইরে থেকে চাবি দিয়ে দেব ?

-বাইরে থেকে চাবি দিয়ে চলে গেলে ছুটি কি ব্যালকোনি থেকে ঝাঁপিয়ে নেমে স্কুল যাবে ?

-আমি তো চলে আসব।

-তোমার কথা বাদ দাও, মাঠ থেকে আবার স্কুল ছুটবে। ঘরবাড়ি সম্পর্কে কোন মাথা ব্যথা আছে ?

বেরোবার সময় মুখে ‘তুমি যত পারো চেল্লাও।’ বলে গেলেও কথাগুলো একটাও ফেলে দেওয়ার নয়। এই একটা মাস যা যাচ্ছে না, নিজের পিছনেও সুতো খুলে যাচ্ছে। ঝামেলা মানে পুরো আস্ত হিমালয়। একে তো অফিসের চেয়ারে পিছনটা ঠেকানো থেকে চাপ, গুচ্ছের ভাতা, অমুক তুসুক এই স্কুলের প্রতিবন্ধী ভাতা তো ঐ স্কুলের অভিসন্ধি ভাতা। শরীর গলে পাঁক হয়ে যাচ্ছে। তাও যদি ওভারটাইম থাকত, কিছু এক্সট্রা পাওয়া যেত। এখানে কাজ ছাড়া কিছুই এক্সট্রা নেই, পাওনা পেমেন্টেরই পি মেরে দিচ্ছে। মাস খানেক আগে দুপুর তিনটের সময় সবেমাত্র রুটির টুকরো মুখে ঢুকিয়েছে এমন সময় বিল সেকসেনের রজত দরজা ঠেলে মুখ বাড়িয়ে বলে উঠল, ‘কর্মকারদা, সাহেব ডাকছেন।’

-সেরেছে। খাবোনা নাকি, সেই নটার সময় গিলেছি।

মিনিট দশ পরে সাহেবের ঘরে ঢুকলে সাহেব ধমকে ওঠেন,‘কি কর্মকারবাবু এত দেরি আপনাকে কখন ডেকে পাঠিয়েছি, এই এলেন ? ’

-খাচ্ছিলাম, বলুন কি বলছেন ?

-এই শনিবার আমাদের ব্লকে ডি.এম রাতে থাকবেন। ব্লকে বলতে ঐ নদীর ধারের গ্রামটাতে। কি যেন নাম……..

-দীঘিপুর। 

-হাইস্কুল আছে তো ? 

-হ্যাঁ।

-আপনি কাল অফিসে এসে একটা গাড়ি নিয়ে গ্রামটাতে চলে যাবেন। হাইস্কুল, প্রাইমারি স্কুল সব ঘুরে দেখবেন। মাস্টারগুলোর সাথে কথা বলবেন আর দেখবেন সদস্য কে আছে। তাকে সঙ্গে করে কয়েকটা বাড়ি ঘুরে একটা সার্ভের মত করতে হবে। কারা বাইরে শৌচকর্ম করে তার ওপর। অবশ্য এই শৌচকর্ম, টয়লেট এই সব শব্দ ব্যবহার করবেন না। জিজ্ঞেস করবেন,‘কে কে মাঠে হাগতে যাও?’ বুঝলেন?

-বুঝলুম। কিন্তু আমার সাথে আর কেউ যাবে না ?

-কে যাবে, অফিসে লোক কই ?

কর্মকারবাবু সাহেবের মুখের সামনে কোন কথা না বললেও নিজের চেয়ারে বসতে বসতে একপ্রস্থ চিল্লিয়ে উঠল। ‘লোকজন নাই আর হাজারটা কাজ। একজন স্টাফকে কটা কাজ করতে হচ্ছে একবার বলুন তো?’

-কি করবেন দাদা, এটা তো আর আমাদের হাতে নেই। তাও অফিসে দুটো ছেলে নিয়েছে। ওদের অবস্থাটা দেখুন তো একবার, ঐ কটা টাকা, রাত নটা সাড়ে নটা পর্যন্ত থাকছে। না আছে পি.এফ না আছে অন্য কিছু।

একটা লম্বা শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে কর্মকারবাবু সেইসময়ের মত চুপ করে গেল। জীবনটা এক্কেবারে নরক হয়ে গেছে। শনিবারগুলোতে আর বন্ধুদের আড্ডাতে যেতে ইচ্ছা করেনা। ওরাও তো সব সরকারি কাজ করে, না হয় বড় সরকার তা বলে এতটা পার্থক্য? মুখ পর্যন্ত দেখানো যাচ্ছে না। একই কাজ, নো ওভার টাইম, নো গুড়……..। মাঝে মাঝে স্যালারির কথাটা মনে আসেনা। এটা নীলকরদের দাদন দেওয়ার মত হয়ে যায়। দিয়ে দিলাম, কাজ করলে কর, না করলে মর। বয়সটাও নেই, না হলে সরকারি চাকরির পিছনে তিন লাথি মেরে চলে যাওয়া যেত।

পরেরদিন অফিসে পৌঁছানো মাত্রই সাহেব নিজের ঘরে ডেকে পাঠিয়ে বললেন,‘কর্মকারবাবু কাল রাতের ঘটনা তো সব জানেন। আজ মন্ত্রীরা সব আসবে। অফিসের দুটো গাড়িতেই পুলিশ থাকবে। কাল রাতে ফোন করেছিল। আপনাকে বাসে যেতে হবে।’

-বাসে!তিনটে বাস চেঞ্জ করে যাওয়া। একপিঠেরই বাইশ টাকা ভাড়া। আসা যাওয়া নিয়ে চুয়াল্লিশ টাকা। মুখের কথা, ভাড়া কে দেবে?

-আমাদের তো টি.য়ের সিস্টেম নেই। তবে আমি দেখব আপনাকে ভাড়াটা দিয়ে দেওয়া যায় কিনা। প্লিশ খুব আর্জেন্ট।

জেলায় একদল হাতির তাণ্ডবে একরাতে একটা গ্রামের আটজন মারা যায়। গ্রামবাসিরা মৃতদেহ রাস্তাতে ফেলে রাত থেকেই বিক্ষোভ দেখাতে আরম্ভ করে। অফিস বের হওয়ার আগে টিভিতে কর্মকার খবরটা দেখেছে। আসার সময় বাসেও এইসব নিয়ে বিস্তর আলোচনা করেছে। শুধু মন্ত্রীদের চটজলদি সফরের কথাটা কানে আসেনি। হাতিগুলো এই অফিসে আসতে পারত।

দুটোবাস ঠেঙিয়ে দীঘিপুর গ্রামে পৌঁছে প্রাইমারি স্কুল ঘুরে হাইস্কুলে এসে হেডস্যারকে গ্রামে আসার উদ্দেশ্যটা বললেন। মাস্টারমশাই রেগে উঠে বললেন,‘খ্যাপাগিরির একটা সীমা থাকা উচিত। যতটা হয় ততটাই করতে হয়। আপনি মাঠে মাঠে ঘুরে হাগা বন্ধ করতে পারবেন? কোনদিনও না। আমি স্কুলের ছেলেমেয়েদের অনেকের বাবা মা’দের ডেকে বহুবার বলেছি। কিছুই হয়নি। আমাদের দেশে কিছু টেকনিক্যাল প্রবলেম রয়েছে, বাস্তব সমস্যা। আমাদের গ্রামের কথাই ধরুন এই গ্রামের একদিকে হিন্দুদের বাস অন্যদিকে মুসলিমদের। হিন্দুদের মনসা পুজোতে বিরাট ধুম, মুসলিমদের ঈদে। মেলা বসে, বাইরের দোকান আসে। ওরা কেথায় যাবে? চাষিদের বাস। মাঠে কাজ করতে করতে পায়খানা পেলে কি করবে ? দু’কিলোমিটার দূরে মাঠ। এটা তো ধরুন আমাদের গ্রামের কথা, শহরে এত ট্রাক, তার ড্রাইভার খালাশি এরা কোথায় যাবে? সবসময় সবার যে সকালেই পায়খানা পাবে তাও নয়। আসলে সব লোক দেখানো বুঝলেন সব লোক দেখানো। তাছাড়া অভ্যেসেরও একটা বিরাট ব্যাপার আছে।’

মাস্টারমশাই সবাই বলছে কাজ দেখাতে হবে। কাজ, কাজ আর কাজ। দেশ, রাজ্য সব চকাচক, তাতে আপনার আমার প্রাণের বিনিময়ে হলেও চলবে। আর অফিসারগুলো সবকটা পাজি। মেরে ফেলল সব। তাও যদি টাকা পয়সা ঠিক ঠিক দিত।

আগেও অবশ্য কর্মকারকে গ্রামটাতে বেশ কয়েকবার আসতে হয়েছে। গ্রামের অনেকের সাথে কথাও বলেছে। তাদের কথা শুনেছে, ভয় দেখিয়েছে। সমস্ত রকমের সরকারি সুযোগ সুবিধে বন্ধ করবার কথাও বলেছে। কিন্তু মানুষ নির্বিকার। কেউ আবার লজ্জা লজ্জা ভাব নিয়ে বলেছে,‘হাওয়া না লাগলে তো বেরোয়না।’ কেউ বা ‘সার ঘাস লাগতি হবেক।’ কর্মকার হেসেছে, শুধু হেসেছে।

একবার আবার অন্য এক গ্রামে কর্মকারকেও মাঠে যেতে হয়েছিল। সে এক আজব সমস্যা। ঝোপের আড়াল থেকে শুধু চোখদুটো লোক খুঁজছিল। ‘কেউ দেখে ফেললেই সর্বনাশ।’ ঝোপ থেকে বেরিয়ে এসেই একজনের সাথে দেখা হল। সঙ্গে সঙ্গে প্রশ্ন,‘কর্মকারবাবু ওদিকে কি করছিলেন?’

-আর বোলোনা, সরকারি হুকুম, মাঠে কেউ হাগছে কিনা দেখতে হচ্ছে।

-কয়েকদিন আগেই তো সকালে পুলিশ এসেছিল।

-আজ আমি এসেছি।

পরেরদিন থেকে আবার ঝামেলা আরম্ভ হল। এক এক দিন চার পাঁচবার পর্যন্ত এই গ্রামটাতে আসতে হল। হাইস্কুলের কয়েকটা ভালো ঘর সুন্দর করে পরিষ্কার করানো হল। গ্রামের সদস্য এবং পার্টির লোকজনদের সঙ্গে দেখা করে সবকিছু বলে বোঝানোর চেষ্টা করা হল। কয়েকটা দিন বাড়ি ফিরতে রাত্রি এগারোটা হয়ে গেল। মাম্পির মুখ চুন। কিন্তু কিছুই করবার নেই। সমস্যা দিন দিন আরো বাড়তেই থাকল।

ডি.এম গ্রামে রাতে থাকলেন। কর্মকারদেরও সে রাতে থাকতে হল। শহরের এক ক্যাটারারের সাথে খাবার সরবরাহের ব্যাপারে কথা হল। এলাহি খাওয়া দাওয়ার আয়োজন হল। গ্লাসের আয়োজনও ছিল তবে লুকিয়ে।

রাতে গ্রামের লাকজনের সাথে আলোচনা হল। সেইসঙ্গে তার পরের দিন ভোর থেকেই আশেপাশের মাঠে ঘোরাঘুরিও চলল। সবার হাতে টর্চ, লাঠি আর হুইসেল। সকাল সাতটা পর্যন্ত মাত্র জনা দশ বারো মাঠে বসতে গিয়েছিল তাদের সবাইকে হুইসেল বাজিয়ে প্রথমে সাবধান করা হল, বোঝানো হল, যারা আবার এরই মধ্যে মাঠে করে ফেলেছে তাদের আবার মাটি দিয়ে ঢেকে দিতে বলা হল। কেউ কেউ আবার বসতে গিয়েও টর্চের আলো আর হুইসেলের আওয়াজ শুনে দৌড়ে পালিয়ে গেল। বাড়ি ফিরে বিশ্রাম নেওয়ার সময় মাম্পিকে সব কথাগুলো বলতে দুজনেই হেসে লুটিয়ে পড়ল। মাঠে টয়লেট করবার, ভুল হল হাগবার ঝকমারিতে প্রশাসন ব্যতিব্যস্ত। মাম্পি হাসতে হাসতে বলল,‘ঐ কর ওরা হেগে যাক, আর তোমরা দেখে যাও।’

মাস চার বেশ ভালোই চলল। চারদিক থেকে ব্লক অফিসে খবর আসতে লাগল,‘গ্রামে গঞ্জে বেশ ভালোই সাড়া পড়েছে। লোকেরা আর সকালে মাঠে যায়না। সরকার থেকেও বিভিন্ন জায়গায় শৌচাগার তৈরী করেছে। কর্মকারবাবুদের কাজের চাপও কিছুটা কমেছে। কিন্তু কয়েকমাস পরেই আবার সেই আগের অবস্থা ফিরে এল। সাহেব একদিন কর্মকারবাবুকে ডেকে বললেন, ‘শুনুন মনে হচ্ছে আবার কয়েকটা দিন ঘুরতে হবে। কয়েকটা গ্রাম থেকে খারাপ খবর আসছে।’

কথাগুলো শুনেই কর্মকারবাবুর চেখদুটো কপালের ওপর উঠে গেল। আবার সেই রাত থাকতে ছোটাছুটি!এক হরিবেল কান্ড। টর্চ নিয়ে মাঠে মাঠে ঘোরা আর হুইসেল বাজানো। কিছুসময় চুপ থেকে বলল,‘এবারে আমাকে বাদ দিয়ে দিন।’

-আপনাকে! অসম্ভব, আপনি সিনিয়র তাছাড়া গ্রামের লোকজন আপনাকে চেনে, আপনার কথা শোনে।

-মারালো।

-কিছু বললেন ?

-না, মানে বলছিলাম দীঘিপুর গ্রামের সবাই শুনেছে বলে এখানেও শুনবে এমন কথা কি দিতে পারা যাবে ? তাছাড়া কয়েকটা গ্রামের আবহাওয়াও ভালো নয়। শুনলাম তো কোন এক জায়গায় ডি.এম.কেউ নাকি লাঠি নিয়ে তাড়া করেছিল।

-কিছু করবার নেই কর্মকারবাবু সব কিছু জানলেও কিছু বলা যাবেনা। স্কুলে স্কুলে মিড্ ডে মিল দেখতে যেতে বলছে। কত টাকা দেয়, সেটাতো জানি। মাস্টাররা কি নিজের রক্ত বিক্রি করে খাওয়াবে ? কিন্তু কিছুই বলবার নেই। আমিও তো ভিসিটে যাই, দেখিও…………….বাদ্ দিন।

– কবে থেকে যেতে হবে ?

– খুব তাড়াতাড়ি।

বাড়ি ফিরে কথাগুলো মাম্পিকে বলতেই মুখ ঝামটা শুনল,‘ভালো আবার লোকের পিছনে হুইসেল বাজাও। এই ঘর সংসার তো আমার একার, তুমি শুধু গায়ে হাওয়া লাগাও আর হাগা তাড়াও।’

কর্মকারবাবুর আবার অন্য আরেক সমস্যা এসে হাজির হল। পাশের বাড়ির ঘোষেদের সাথে একটা জায়গার ব্যাপারে বেশ ভালোই ঝামেলা হচ্ছিল। ঘোষেদের আঠারো উনিশ বছরের ছেলেটা বদের বটগাছ। সময় অসময়ে পায়ে পা লাগিয়ে ঝগড়া করে। কিছু বললে খিস্তি খামারির শেষ রাখেনা। কর্মকার অফিসের সাহেবকে বলে থানাতেও খবর পাঠিয়েছে। কয়েকদিন চুপ থেকে আবার সেই এক, বরং সমস্যা আরো বেড়ে গেল। রাতের অন্ধকারে বাড়ির দরজার সামনে নোংরা ফেলে চলে যায়। বুঝতে পারা গেলেও কিছুই করবার নেই। মাম্পি আবার এইরকম হলেই হাসতে হাসতে বলে,‘হুইসেল বাজাও। তোমার পিছনেও হুইসেল বাজাও।’

কর্মকারবাবু মাম্পির সব কথা শুনলেও করবার কিছুই নেই। ভোররাত থেকে উঠে সারাদিন ঘুরে শরীরের কলকব্জা সব ভেঙে যাচ্ছে।

সেদিনও কর্মকারবাবু মাঠ থেকে ফিরে দরজার সামনে কিছু চেনা মুখ দেখে থমকে দাঁড়াল। মাম্পি তখন চামুণ্ডা মূর্তিতে। কর্মকারকে দেখতে পেয়েই পুরো রাগটা গিয়ে পড়ল তার ওপর। কি হয়েছে প্রশ্ন করতেই বলে উঠল,‘দ্যাখো রাত থেকে মাঠেঘাটে পায়খান করা বন্ধ করতে বেরিয়েছ, আর নিজের বাড়ির কাছে এক ঝুড়ি হেগে গেছে।’

-কে?

-আমার বাবা।

গতি ভালো নয় দেখে কর্মকার বলে উঠল,‘আমাকে তো এমনিতেই স্নান করতে হবে। তুমি জল দাও আমি দেখছি।’ 

তারপরেই আলগোছেতে ব্যাগ, মোবাইল, টর্চ এমনকি হুইসেলটাও নামিয়ে রেখে বালতি বালতি জল ঢেলে জায়গাটা পরিষ্কার করতে লাগল। ভিতরে ছুটি ছিল কিনা জানা নেই, থাকলে নিশ্চয় হুইসেলটা বাজাতে আরম্ভ করত।

 

********************************************************************************

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *