হিমু-৩
ইয়াকুবের সন্ধানে যাত্রা শুরু হল। কোন একটা উদ্দেশ্য নিয়ে ঘর থেকে বের হবার আলাদা আনন্দ। নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয় । ছক্কর দোকানে চা খেয়ে ফুটপাতে পা রাখা মাত্র নিজেকে কলম্বাসের মত মনে হল। একজন মানুষ, একটা মহাদেশের মত। মানুষকে আবিষ্কার এবং মহাদেশ আবিষ্কার একই ব্যাপার ।
ফুটপাতে বিশাল এক পাথর।
পাথরে ধাক্কা খেয়ে হুমড়ি খেয়ে পড়ে যাবার জোগাড় হল। নিজেকে পতন থেকে অনেক কষ্টে সামলালাম। ডান পায়ের নখ কেটে রক্ত বের হচ্ছে দু হাত পায়ের নখ চেপে বসে পড়তেই কে একজন জিজ্ঞেস করল, ভাইজান, আইজ কত তারিখ?
তাকিয়ে দেখি পাথরটা থেকে পাঁচ ছ’ হাত দূরে এক মধ্যম বয়সী ভিখিরী। তার একটা চোখ নষ্ট। ভাল চেস্বটা অতিরিক্ত ভাল। সেই চোখের পাতা ক্রমাগত পিট পিট করছে। দৃষ্টিও তীক্ষ। একচক্ষু ভিখিরীই তারিখ জানতে চাচ্ছে। তার মুখে চাপা হাসি। পাথরের সঙ্গে ধাক্কা ব্যাপারটা দেখে সে মনে হয় মজা পেয়েছে। ভিখিরীদের জীবনে মজার অংশ কম। অন্যের দুঃখকষ্ট থেকে মজা আহরণ করা ছাড়া তাদের উপায় নেই। আমি বললাম, এই পাথরটা কি তুমি এখানে রেখে দিয়েছ?
হিমুর রূপালী রাত্রি খন্ড-৫
ভিখিরী গম্ভীর গলায় বলল, রাখলে অসুবিধা কি? ‘না কোন অসুবিধা নেই। তুমি রেখেছ কিনা সেটা বল । ‘ইরাখছি।
প্রতিদিনই লােকজন এখানে ধাক্কা খাচ্ছে?” ‘বেখিয়ালে হাঁটলে ধাক্কা খাইবই। ‘আজ সারাদিন ক’ জন ধাক্কা খেয়েছে?” ‘অত হিসাব নাই।’ ‘আমিই কি প্রথম?”
কি না —আফনে পরথম না। ‘নাম কি তােমার? “আমার নাম দিয়া আফনের কি দরকার?
‘কোন দরকার নেই, তারপরেও জানতে চাচ্ছি। তুমি যেমন কারণ ছাড়াই জানতে চাচ্ছিলে আজ কত তারিখ? আমিও সে রকম জানতে চাচ্ছি।’ | ‘আমার নাম মেছকান্দর মিয়া। বাড়ি বরিশাল নবীনগর
ভিক্ষা শেষ করে যখন বাড়িতে ফিরে যাও তখন পাথরটা কি কর, সঙ্গে করে নিয়ে যাও?
‘আমি পাথর নিমু ক্যান? পাথর কি আমার?
সারাদিনে তােমার রােজগার কত হয়? ‘এক জাগাও ভিক্ষা করি বইলা রােজগার কম। হাঁটাহাঁটিতে রােজগার বেশি।
হাঁটাহাটি কর না কেন? ‘ইচ্ছা করে না। সামান্য দুইটা পয়সার জন্যে অত খাটনী ভাল লাগে না। কারাের ইচ্ছা হইলে দিব। ইচ্ছা না হইলে নাই। আমি কি আফনের কাছে ভিক্ষা চাইছি?
ন?
‘আফনের কাছে যেমন ভিক্ষা চাই না, অন্যের কাছেও চাই না।’
শুধু তারিখ জানতে চাও?
মেছকান্দর মিয়া তার ঝুলির ভেতর কি যেন খোঁজাখুঁজি করছে। এর ঝুলিও অন্যদের ঝুলির মত। শান্তিনিকেতনী কাপড়ের ব্যাগ। মেছকান্দর মিয়া বিড়ি বের করল। মুখে দিতে দিতে বলল, ফকির দুই কিসিমের আছে — ভিক্ষা চাওইন্যা ফকির। ভিক্ষা না চাওইন্যা ফকির। আমি হইলাম না চাইনা।
হিমুর রূপালী রাত্রি খন্ড-৫
‘ভাল কোনটা, চাওইন্যাটা, না না চাওইন্যাটা? ‘ভাল-মন্দ দুই দিকই আছে।
নখ থেকে রক্তপাত বন্ধ হচ্ছে না। আমি উঠে দাঁড়ালাম। রক্ত পড়ছে পড়ুক : ভিক্ষুক আবারাে বলল, ‘স্যার তারিখ কত জানেন?
আমি বললাম, ‘জানি না। মনে করার চেষ্টা করছি। যদি মনে পড়ে তােমাকে জানিয়ে যাব। আর শােন, পাথরটাকে যত্নে রেখাে, এটা সাধারণ পাথর না। এই পাথর রহস্যময়। মেছকার আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আর আমি ভাবছি আজকের তারিখটা যেন কত? ফাতেমা খালার সঙ্গে দেখা হবার পর সাতদিন কি কেটে গেছে? আজকে কি ষষ্ঠ দিবস, না সপ্তম দিবস?
ঘরে তারিখ ভুলে গেলে দেয়ালে ক্যালেন্ডার দেখা যায় পথে ক্যালেন্ডার ঝুলে না। নগরকর্তারা ধরে নেন যারা পথে নামে তারা তারিখ জেনেই নামে। এ। জন্যেই শহরের মােড়ে মােড়ে ক্যালেন্ডার স্কুলে না।
ইদানীং ঢাকা শহর অনেক উন্নত হয়েছে — একটু পরপর দোকান সাজিয়ে চেংড়া ছেলেপুলে বসে আছে —আইএসডি টেলিফোন, দেশ-বিদেশে ফোন, ফ্যাক্স। এদের ব্যবসাও রমরমা। বাংলাদেশের মানুষ বিদেশে টেলিফোন করতে ভালবাসে।
ধাই ধাই করে যে দেশ এগুচ্ছে সে দেশের পথে পথে ক্যালেন্ডার থাকা দরকার। কাউকে কি জিজ্ঞেস করব আজ তারিখ কত? ক’টা বাজে জিজ্ঞেস করা সহজ। আজ কত তারিখ— জিজ্ঞেস করা খুব সহজ না। পরিচিত প্রশ্নের জবাব আমরা আগ্রহ করে দেই। অপরিচিত প্রশ্নের জবাব দিতে থমকে যাই। ভুরু কুঁচকে ভাবি লােকটা এই প্রশ্ন করল কেন? সে তারিখ জানতে চায় কেন? রহস্যটা কি?
হিমুর রূপালী রাত্রি খন্ড-৫
রাস্তার পাশে চিন্তিত মুখে এক ভদ্রলােক দাঁড়িয়ে আছেন। তাঁর বােধহয় অফিসে যাবার তাড়া। বেবীটেক্সি দেখা মাত্র হাত উচু করছেন এবং এই বেবী এই বেণী করে চেঁচাচ্ছেন। আমি তার পাশে দাঁড়ালাম এবং অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে বললাম, স্যার আজ কত তারিখ?
যা ভেবেছিলাম তাই, ভদ্রলােক জবাব দিলেন না। এমনভাবে তাকালেন যেন আমি ভয়ংকর কোন মতলব নিয়ে তার কাছে এসেছি। শুরুতে ৩াল মানুষের মত তারিখ জানতে চাচ্ছি, তারপরই নিচু গলায় ফিসৃফিস্ করে বলব, মানিব্যাগ বের করুন। আপসে মনিব্যাগ আমার হাতে দিয়ে চলে যান। নাে সাউন্ড প্লীজ। আমি ভদ্রলােককে আরাে ভড়কে দিলাম। মহা বিনীত ভঙ্গিতে বললাম, এক্সকিউজ মি স্যার। আপনার নাম কি ইয়াকুব?।
তদ্রলােক কোন কিছু না বলে দ্রুত হাঁটতে শুরু করলেন। আজ মনে হয় তিনি বেবীটেক্সি নেবেন না। হেটেই অফিসে যাবেন। ভদ্রলােক হাঁটতে হাঁটতে একবার পেছনে ফিরলেন। ওম আমি হাসলাম । হেসে তাঁর পেছনে পেছনে হাঁটা শুরু করলাম। ভদ্রলােক তাঁর হাঁটার গতি বাড়িয়ে দিলেন। আমিও বাড়িয়ে দিলাম। তিনি এখন প্রায় দৌড়াচ্ছেন। ভদ্রলােককে তাড়াতাড়ি অফিসে পৌছে দেবার ব্যাপারে সামান্য সাহায্য করছি। পরােপকার বলা যেতে পারে।
আচ্ছা নগরীর মানুষ কি বদলে যাচ্ছে? তারা এত সন্দেহপ্রবণ হয়ে উঠছে কেন? সবাই সবাইকে সন্দেহ করছে। আপনার নাম কি ইয়াকুব? এই নির্দোষ
এনে আতংকে অস্থির হওয়ার মানে কি? আপনার নাম কি গােলাম আযম? এই এনে শংকিত হওয়া যায়। এমন প্রশ্ন তাে করছি না।
হিমুর রূপালী রাত্রি খন্ড-৫
সামনের ভদ্রলােকের ভাগ্য ভাল । তিনি খালি বেবীটেক্সি পেয়ে প্রায় লাফিয়ে ট্যাক্সিতে উঠে গেছেন। বেবীটেক্সির পেছনের জানালা দিয়ে কৌতূহলী হয়ে আমাকে দেখছেন। তার চোখ থেকে ভয় এখনাে কাটেনি। আমি টা-টা, বাই – বাই ভঙ্গিতে হাত নাড়লাম। তিনি চট করে মুখ ঘুরিয়ে নিলেন। অফিসে ফিরে এই ভদ্রলােক আজ রােমহর্ষক সব গল্প শুরু করবেন। তার সহকর্মীরা চোখ বড় বড় করে গল্প শুনবে –
‘ভয়ংকর এক বদমাশের পাল্লায় পড়েছিলাম। অল্পের জন্যে জীবনটা রক্ষা পেয়েছে। বেবীটেক্সির জন্যে অপেক্ষা করছি— হঠাৎ দেখি হলুদ পাঞ্জাবী পর এক লােক এগিয়ে আসছে। তার একটা হাত পাঞ্জাবীর পকেটে। সে যখন আমার পাশে এসে দাড়াল, তখন বুঝলাম তার হাতে পিস্তল। মদ খেয়ে এসেছে ; মুখ দিয়ে ভক ভক করে মদের গন্ধ আসছে। আমাকে বলল, ‘তুমি ইয়াকুব?”
আমি বললাম, ‘জ্বি না।’
সে বলল, ‘মিথ্যা কথা বলছিস কেন? তাের নাম ইয়াকুব। আমি হতভম্ব। কি বলব বা কি করব কিছুই বুঝতে পারছি না।
সে বলল, কোন কথা না, আমার সঙ্গে গাড়িতে ওঠ। কুইক। নাে সাউন্ড।
আমি তাকিয়ে দেখি রাস্তার পাশে একটা মাইক্রোবাস দাঁড়িয়ে আছে। মাইক্রোবাসে ছয় জন বসে আছে। তাদের গায়েও হলুদ পাঞ্জাবী। সবাই তাকিয়ে আছে আমার দিকে। আমার হাত-পা জমে গেল। আমি কোনমতে বললাম, ‘আপনি ভুল করছেন …।
শ্রোতারা হতভম্ব হয়ে গল্প শুনবে। তারা যতই হতভম্ব হবে, গল্পের ডালপালা ততই ছড়াবে এবং একটা সময় আসবে যখন এই দুলােক নিজেই নিজের গল্প বিশ্বাস করতে শুরু করবেন। তিনি যদি লেখক হন তাহলে তার আত্মজীবনীতে এই গল্প স্থান পাবে।
হিমুর রূপালী রাত্রি খন্ড-৫
ফাতেমা খালার সঙ্গে কথা বলা দরকার। তাকে জানানাে দরকার যে প্রজেক্ট ইয়াকুবের কাজকর্ম পূর্ণ উদ্যাম চলছে : অনুসন্ধান সকল সম্প্রদায়ের মধ্যেই চলছে। ভিক্ষুক সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি মেছকান্দর মিয়াকে দিয়ে অনুসন্ধানের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সাফল্য দ্বারপ্রান্তে। টেলিফোন কোথেকে করব বুঝতে পারছি না। সঙ্গে কার্ড নেই যে কার্ড ফোনে কথা বলব। টেলিফোনের দোকান খুলে যারা বসে আছে তাদের কাছে গেলে লাভ হবে না। তাদের হচ্ছে ‘ফেল কড়ি মাখ তেল’ ব্যাপার।
মালীবাগে আমার একটা টেলিফোনের বাকির দোকান আছে। সেখানে আমার নামে খাতা আছে। খাতায় নাম লিখে টেলিফোন করতে হয়। কল শেষ হবার পর দোকানের মালিক জগলু ভাই বিরস গলায় বলেন ‘টাকা তাে অনেক জমে গেল হিমু সাহেব। কিছু অন্তত ক্লিয়ার করেন। আজ না। পারলেও এই সপ্তাহের মধ্যে কিছু নিতে পারেন কিনা দেখেন। চা খাবেন?
আমার টেলিফোনের এই বাকির দোকানের সবচে বড় সুবিধা হচ্ছে টেলিফোন শেষ হবার পর চা পাওয়া যায়। এক কাপ না, যত কাপ ইচ্ছা। দুপুরে গেলে জগলু ভাই জোর করে ভাত খাইয়ে দেন। রাতে বিপদে পড়লে ঘুমুবার ব্যবস্থাও আছে। জগলু ভাই রাতে দোকানে থাকেন। শােরুমের পেছনে বড় ঘর আছে। সেই ঘরে সবটা জুড়ে খাট পাতা। রাতে উপস্থিত হলে তিনি মহা বিরক্ত হয়ে বলেন—“কি ব্যাপার রাতে থাকবেন?
হিমুর রূপালী রাত্রি খন্ড-৫
বালিশ নেই, কোলবালিশ মাথার নিচে দিয়ে ঘুমুতে হবে। আর শুনুন, নাক ডাকাবেন না। আমি সব সহ্য করতে পারি, নাক ডাকা সহ্য করতে পারি না।’ | জগলু ভাইয়ের দোকান থেকে ফাতেমা খালাকে টেলিফোন করলাম। ভারী গম্ভীর পুরুষ কণ্ঠ শােনা গেল– কে কথা বলছেন? ফাতেমা খালার ম্যানেজার।
আমি বললাম, বুলবুল নাকি? ভাল? ‘কে, হিমু সাহেব?”
দয়া করে আমাকে কখনাে বুলবুল ৬াকবেন না। বুলবুল আমার ডাকনাম। আমার ভাল নাম রকিবুল আমি ডাকনামে পরিচিত হতে চাই না। আমি পরিচিত হতে চাই ভাল নামে।
মহাকবি শেক্সপীয়ার নাম প্রসঙ্গে একটা কথা বলেছিলেন — গােলাপকে তুমি যে নামেই ডাক সে গন্ধ ছড়াবে।’
দয়া করে আমার সঙ্গে শেক্সপীয়ার কপচাবেন না। এবং আমাকে কখনাে লকুল ডাকবেন না।
‘আমার যদি কোনদিন খালার মত কোটি কোটি টাকা হয় তাহলে কি আপনাকে বুলবুল ডাকতে পারব?
আপনি কি ম্যাডামের সঙ্গে কথা বলবেন?
‘ধন দিচ্ছি। ম্যাডামের শরীরটা বেশি ভাল না। ডাক্তার তাকে মােটামুটি রেস্টে থাকতে বলেছেন। কাজেই টেলিফোনে আপনি বেশিক্ষণ কথা বলবেন না।
‘জি আচ্ছ:। ব্রাদার শুনুন, আজ কত তারিখ বলতে পারবেন?
‘তারিখ দিয়ে আপনি কি করবেন? তারিখ তাে আপনার কোন কাজে আসার কখন?
আমার জন্যে না। একজন ভিখিরী আমার কাছে তারিখ জানতে চাচ্ছিল। ভিখিরীর নাম মেছকান্দর মিয়া। | ‘আজ ১৭ তারিখ । উনিশশাে অষ্টআশি সাল। আপনি ধরে থাকুন। আমি ম্যাডামকে দিচ্ছি।
হিমুর রূপালী রাত্রি খন্ড-৫
খালা এসে টেলিফোন ধরলেন। চিচি গলায় বললেন, ‘কে হিমু? আমি মারা বরে।
কি হয়েছে? ‘ঘুম হচ্ছে না। সারারাত জেগে থাকি।
সূর্য উঠার পর ঘুম আসে। তখন দরজা-জানালা বন্ধ করে ঘুমাই। তাও খুব অল্পক্ষণ– ম্যাক্সিমাম দুই থেকে আড়াই ঘন্টা!”
দুই আড়াই ঘন্টাই যথেষ্ট। নেপােলিয়ান তিন ঘন্টার বেশি ঘুমাতেন না। “গাধার মত কথা বলিস না, আমি কি নেপােলিয়ান?
‘অবশ্যই নেপােলিয়ান — মেয়ে মানুষ হয়ে এত বড় ব্যবসা দেখছ। তুমি কম কি? নেপােলিয়ানকে এই ব্যবসা দেখতে দেয়া হলে সে এক সপ্তাহের মধ্যে লাল বাতি জ্বালিয়ে সব ছেড়ে দূরে আসামের দিকে চলে যেত।’
তাের কথাবার্তার ধরন আর পান্টাল না ৷ ইয়াকুবের খোঁজ বের করেছিস?” কাজ চলছে। শিগগিরই জানতে পারবে।’ ‘লােকটাকে বের করতে পারলে তােকে আমি ক্যাশ কুড়ি হাজার টাকা দেবো।
‘টাকাটা আলাদা করে রাখ বালা – আমি দু একদিনের মধ্যে আসামী হাজির করছি।
‘আরে গাধা, তােকে কি বলেছি আসামী হাজির করতে হবে না। শুধু পেট থেকে কথা বের করবি।
‘নাে প্রবলেম ।
‘তাহলে টেলিফোন রেখে দেই। কথা বলতে পারছি না। মাথা ছিড়ে পড়ে যাচ্ছে। অসম্ভব যন্ত্রণা।’
‘জামান কেমন আছে খাল। ‘জামান কেমন আছে মানে? জামানটা কে?
ঐ যে তামান্নার ছােট ভাই রিকশা থেকে পড়ে পায়ে ব্যথা পেল। আমি ঠিক করে রেখেছি কুড়ি হাজার টাকা পেলে
Read More