আসাদ চৌধুরী মূলত কবি হিসেবে বর্তমানে খ্যাত । তিনি মনোগ্রাহী টেলিভিশন উপস্থাপনা ও চমৎকার আবৃত্তির জন্যও জনপ্রিয় ।সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় তাঁর পদচারণা । কবিতা ছাড়াও তিনি বেশ কিছু শিশুতোষ গ্রন্থ, ছড়া, জীবনী ইত্যাদি রচনা করেছেন । কিছু অনুবাদকর্মও তিনি সম্পাদন করেছেন ।
তাঁর কবিতা গীতিময় এবং ছন্দোদ্ভাসিত । সভ্যতার প্রযুক্তিগত উন্নয়নের পাশাপাশি গত কয়েক দশকে মানবিক মূ্ল্যাবোধের যে করুণ অধোগতি, তারই প্রেক্ষাপটে একটি কবিতায় তিনি আক্ষেপ করেছেন ।
- বিশিষ্ট এই কবি জন্মগ্রহণ করেন – ১৯৪৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ।
- অন্যতম এই কবির পৈত্রিক নিবাস – বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার উলানিয়ায় ।
- বিশিষ্ট এই কবির পিতার নাম – মোহাম্মদ আরিফ চৌধুরী এবং মাতার নাম সৈয়দা মাহমুদা বেগম ।
- তাঁর দাম্পত্যসঙ্গীর নাম – সাহানা বেগম ।
- বিশিষ্ট এই কবির শিক্ষাজীবন – তিনি আরমানিটোলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৫৭ খ্রিষ্টাব্দে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন । ১৯৬০ খ্রিষ্টাব্দে তিনি উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন বরিশালের ব্রজমোহন কলেজ থেকে । পরবর্তীকালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অধ্যয়ন করেন । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে বাংলা ১৯৬৩ খ্রিষ্টাব্দে স্নাতক(সম্মান) ও ১৯৬৪ খ্রিষ্টাব্দে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন ।
আসাদ চৌধুরী এর জীবনী
- তিনি ১৯৬৪ থেকে ১৯৭২ পর্যন্ত শিক্ষকতা করেন – ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজে ।
- তিনি ভয়েজ অব জার্মানীর বাংলাদেশ সংবাদদাতার দায়িত্ব পালন করেন – ১৯৮৫ থেকে ১৯৮৮ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত ।
- ’কোথায় পালালো সত্য’ একটি – ব্যঙ্গার্থক কবিতা ।
- ’কোথায় পালালো সত্য’ ব্যঙ্গার্থক কবিতাটি রচনা করেন – আসাদ চৌধুরী ।
- ’সংগ্রামী নায়ক বঙ্গবন্ধ’ কোন জাতীয় রচনা – জীবনী ।
- ’সংগ্রামী নায়ক বঙ্গবন্ধ’(১৯৮৩) এর রচয়িতা – আসাদ চৌধুরী ।
- তাঁর রচিত ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ’ একটি – ইতিহাস গ্রন্থ ।
- ’বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ’ গ্রন্থটি প্রকাশিত হয় – ১৯৮৩ সালে ।
- তাঁর অন্যতম সম্পাদনার মধ্যে রয়েছে – ‘যাদের রক্তে এদেশ’(১৯৯১ যুগ্মভাবে), ‘ছয়টি রূপকথা’(১৯৭৯) প্রভৃতি ।
- অন্যতম এই লেখকের অনুবাদ গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে – ‘বাড়ির কাছে আরশিনগর : বাংলাদেশের উর্দু কবিতা(২০০০), ’প্যালেস্টাইন ও প্রতিবেশী দেশের প্রতিবাদী কবিতা’(২০০৫) প্রভৃতি ।
- ”তখন সত্যি মানুষ ছিলাম, এখন আছি অল্প।” আক্ষেপটি করেছেন – আসাদ চৌধুরী ।
- তাঁর বিখ্যাত জীবনীর মধ্যে রয়েছে – ‘রজনীকান্ত সেন’(১৯৮৯), ‘স্মৃতিসত্তায় যুগলবন্দী’(২০০১) প্রভৃতি ।
- ’কোন অলকার ফুল’(১৯৮২) একটি – প্রবন্ধ-গবেষণা ।
- ’কোন অলকার ফুল’ গ্রন্থটির রচয়িতা – আসাদ চৌধুরী ।
- তাঁর রচিত শিশুসাহিত্যের মধ্যে রয়েছে – ‘রাজার নতুন জামা(রূপান্তর,১৯৭৯), ‘রাজা বাদশার গল্প’(১৯৮০), ‘গ্রাম বাংলার গল্প’(১৯৮০), ‘ছোট্ট রাজপুত্র’(অনুবাদ.১৯৮২), ‘গর্ব আমার অনেক কিছুর’(১৯৯৬), ’ভিন দেশের মজার লোককাহিনী’(১৯৯৯), ‘তিন রসরাজের আড্ডা’(১৯৯৯), ’কেশবতী রাজকন্যা’(২০০০), ‘গ্রাম বাংলা আরো গল্প’(২০০০), ‘তোমাদের প্রিয় চার শিল্পী’(জীবনী,২০০০), ‘জন হেনরি’(আমেরিকার লোককাহিনী,২০০১), ‘মিকালেঞ্জেনো’(জীবনী,২০০১), ‘ছোটদের মজার গল্প’(২০০১), ‘সোনার খড়ম’(২০০৬), এবং ‘মুচি-ভূতের গল্প’(২০০৬) প্রভৃতি ।
আসাদ চৌধুরী এর জীবনী
- ’ভালোবাসার কবিতা’ কবিতাটির রচয়িতা – আসাদ চৌধুরী।
- ’ভালোবাসার কবিতা’ জনপ্রিয় এই কবিতাটি প্রকাশিত হয় – ১৯৮৫ সালে ।
- আসাদ চৌধুর অন্যান্য কবিতার মধ্যে রয়েছে – ‘তবক দেওয়া পান’(১৯৭৫), ‘বিত্ত নাই বেসাত নাই’(১৯৭৬), ‘প্রশ্ন নেই উত্তরে পাহাড়’(১৯৭৬), ‘জলের মধ্যে লেখাজোখা’(১৯৮২), ’যে পারে পারুক’(১৯৮৩), ‘মধ্য মাঠ থেকে’(১৯৮৪), ‘মেঘের জুলুম’(১৯৮৫), ‘পাখির জুলুম’(১৯৮৫), ‘আমার কবিতা’(১৯৮৫), ‘প্রেমের কবিতা’(১৯৮৫), ‘দুঃখীরা গল্প করে’(১৯৮৭), ‘নদীও বিবস্ত্র হয়’(১৯৯২), ‘টান ভালোবাসার কবিতা’(১৯৯৭), ‘বাতাস যেমন পরিচিত’(১৯৯৮), ‘বৃন্তির সংবাদে আমি কেউ নই(১৯৯৮), ‘কবিতা-সমগ্র’(২০০২), ‘কিছু ফল আমি নিভেয়ে দিয়েছি’(২০০৩), এবং ‘ঘরে ফেরা সোজা নয়’(২০০৬) প্রভৃতি ।
- বিশিষ্ট এই কবি ‘একুশে পদক’ লাভ করেন – ২০১৩ সালে ।
- তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন – ১৯৮৭ সালে ।
- অন্যতম এই কবি শব্দভূমি আজীবন সাহিত্য সম্মাননা পান – ২০১৮ সালে ।
- তাঁর উল্লেখযোগ্য পুরস্কার সমূহ – আবুল হাসান স্মৃতি পুরস্কার(১৯৭৫), অগ্রনী ব্যাংক শিশুসাহিত্য পুরস্কার(১৯৮২), শম্ভুগঞ্জ এনায়েতপুরী স্বর্ণপদক(১৯৯৯), ত্রিভুজ সাহিত্য পুরস্কার, বরিশাল বিভাগীয় স্বর্ণপদক, অশ্বনী কুমার পদক(২০০১), জীবনানন্দ দাশ পদক, অতীশ দীপঙ্কর স্বর্ণপদক, জাতীয় কবিতা পরিষদ পুরস্কার(২০০৬) এবং বঙ্গবন্ধু সম্মাননা ১৪১৮ প্রভৃতি পুরস্কার লাভ করেন ।