ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্যাব্যবস্থা জেনে নিন

ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্যাব্যবস্থা জেনে নিন

ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্যাব্যবস্থা জেনে নিন

ডায়াবেটিস হলে খাদ্য সম্পর্কে আপনাকে বিশেষভাবে সচেতন হতে হবে । খাদ্যের নিয়ম না মানলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা অসম্ভব । এই রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য আপনি কি ধরনের খাবার খাবেন সে সম্পর্কে  কিছুটা ধারণা দেওয়া হয়েছে । চিকিৎসক বা পথ্য- নির্দেশকের পরামর্শ নিয়ে খাবারের তালিকা ঠিক করে নেওয়া উচিত । খাবার সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা থাকা ডায়াবেটিস রোগীদের সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনযাপনের জন্য একান্ত প্রয়োজন । তাহলে রোগী নিজেই কোন খাবার বদল করে কোন খাবার খাওয়া যায় তা ঠিক করতে পারবেন ।

বিনিময় খাদ্য – তালিকা ব্যবহার পদ্ধতি

যে সব খাবারের খাদ্যগুণ একই রকম এবং একইভাবে শরীরের কাজে লাগে, সেই খাবারগুলো একটি বাদ দিয়ে খাদ্যের পরিমাণ ঠিক রেখে অন্যটি খেলে ডায়াবেটিসের কোন অসুবিধা হবে না । এই দিক থেকে বিভিন্ন রকমের খাবারকে সাত ভাগে ভাগ করে সাতটি ‘বিনিময় খাদ্য – তালিকা’ তৈরী করে এই বইতে দেখানো হয়েছে । বিনিময় খাদ্যতালিকা বলতে এখানে বোঝানো হচ্ছে একটি বিনিময় খাদ্য-তালিকায় যে সব খাদ্যদ্রব্যের নাম দেওয়া আছে, সেগুলো থেকে একটি বাদ দিয়ে অন্য একটি খাদ্য খাওয়া যাবে, এতে খাদ্যমানের বিশেষ কোন তারতম্য হবে না ।

তবে খাদ্যের উল্লিখিত পরিমাণ ঠিক রাখতে হবে । উদাহরণ হিসাসে বলা যায়, যদি আপনার খাদ্য-তালিকায় সাকালের নাস্তায় ৩টা আটার রুটি (৯০ গ্রাম) খাওয়ার কথা লেখা থাকে, তবে আপনি শস্যজাতীয় খাদ্য-তালিকা থেকে ঐ ৩টা আটার রুটি পরিবর্তে যে কোন ৩টা খাদ্য খেতে পারেন, যেমন- ৩ টুকরা পাউরুটি বা ৬ কাপ মুড়ি বা ২ টা আটার রুটি ও সেই সাথে ১ টা মিষ্টি আলু বা ২টা আটার রুটি ও তার সাথে ৩ টা ছোল আলু খেতে পারবেন । যদি আপনার খাদ্য- তালিকায় ৩০গ্রাম মাছ লেখা থাকে, তবে তার পরিবর্তে মাছ, মাংস ও প্রোটিন জাতীয় খাদ্য-তালিকা থেকে যে কোন একটা খাদ্য খেতে পারেন । এমনি করে এক কাপ দুধের পরিবর্তে দুধ ও দুগ্ধজাতীয় খাদ্য-তালিকা থেকে যে কোন একটা খাবার খেতে পারেন ।

এইভাবে বিনিময় পদ্ধতির মাধ্যমে একটি খাবারের পরিবর্তে ঐ তালিকার অন্য একটি খাদ্য খেলে খাবারে বৈচিত্র আসবে এবং ডায়াবেটিসও নিয়ন্ত্রণে থাকবে । কোন বিনিময় খাদ্য-তালিকা থেকে কতটুকু খাবার খেতে পারবেন যে বিষয়ে চিকিৎসক বা পথ্যনির্দেশক উপদেশ দেবেন । কিন্তু মনে রাখবেন আপনাকে দৈনিক যা খেতে বলা হয়েছে তার প্রতিটি খাদ্যই সময়মত ও পরিমাণমত খাবেন । কোন খাবার খাওয়া বাদ দেওয়া যাবে না বা বেশীও খাওয়া যাবে না ।

সময়মত ও পরিমাণমত খাবার খাওয়াই রোগের প্রধান চিকিৎসা

ইচ্ছোমতে খাওয়া যাবে :
  • (ক্যালরীবিহীন ও স্বল্প ক্যালরীযুক্ত খাদ্য)
  • চা বা কফি (চিনি ছাড়া)                                            আচার (মিষ্টি ছাড়া)
  • মশলা (ধনে, জিরা, হলুদ, মরিচ)                                  জেলাটিন
  • আদা, রসুন, পেঁয়াজ ইত্যাদি)
  • এসেন্স (ভ্যানিলা, ষ্ট্রবেরী ইত্যাদি)
  • শাক-শবজি (ক অংশে উল্লিখিত)
  • ফল (ক অংশে উল্লিখিত)

খাওয়া নিষেধ

  1. চিনি                                           চিনি দিয়ে তৈরী খাবার, যেমনঃ-কেক, পেষ্ট্র
  2. গুড়                                            জ্যাম জেলি ইত্যাদি
  3. গ্লুকোজ                                    মিষ্টি ঘনীভূত দুধ
  4. রস (খেজুর, তাল বা আখের)         মিষ্টি বিস্কুট
  5. মিছরি                                          সফট ড্রিংকস (তবে ক্যালরিবিহীন ডায়েট সফট
  6. মধু                                               ড্রিংকস পান করা যেতে পারে)

অসুস্থ হলেঃ

আপনি যদি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং আপনার নিয়মিত খাদ্য আপনি যদি খেতে না পারেন, তবে সেই সময় আপনি প্রতি বেলায় ১ কাপ দুধ-বার্লি বা দুধ-সাগু এবং ফলের রস বা ডাবের পানে খাবেন । অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন । কখনই না খেয়ে থাকবেন না ।

 

ডায়াবেটিস রোগীর পায়ের বিশেষ যত্ন নিবেন কিভাবে

 

 

 

 

 

 

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *