প্রিন্সিপাল ইব্রাহীম খাঁ এর জীবনী ও সাহিত্যকর্ম
তিনি ছিলেন উপমহাদেশের একজন প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক ও সমাজ সংস্কারক । উপমহাদেশের প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক ও সমাজ সংস্কারক।তিনি টাঙ্গাইল জেলার তৎকালীন ভুঞাপুর থানার অন্তর্গত বিরামদী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।তার বাবার নাম শাবাজ খাঁ ও মায়ের নাম রতন খানম। ইবরাহীম খাঁ ১৯৭৮ সালের ২৯ মার্চ ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।
- তিনি জন্মগ্রহণ করেন – ১৮৯৪ সালে ।
- ’ইস্তাম্বুল যাত্রীর পত্র’ কি ধরনের রচনা – ভ্রমণ কাহিনী ।
- ’ইস্তাম্বুল যাত্রীর পত্র’ গ্রন্থের রচয়িতা কে – প্রিন্সিপাল ইব্রাহীম খাঁ ।
- ’কাফেলা’ কোন জাতীয় রচনা – নাটক ।
- ’কাফেলা’ নাটকটি রচনা করেন – প্রিন্সিপাল ইব্রাহীম খাঁ ।
- ’সোনার শিকল’ কি ধরনের রচনা – গল্পগ্রন্থ ।
প্রিন্সিপাল ইব্রাহীম খাঁ এর জীবনী ও সাহিত্যকর্ম
- তাঁর লেখা ’কামাল পাশা’ কোন জাতীয় রচনা – নাটক ।
- ’আনোয়ার পাশা’ কি ধরনের রচনা – নাটক ।
- ’আনোয়ার পাশা’ নাটকটির রচয়িতা – প্রিন্সিপাল ইব্রাহীম খাঁ ।
- তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন – ১৯৬৩ সালে ।
- তিনি একুশে পদক লাভ করেন – ১৯৭৬ সালে ।
- মৃত্যুবরণ করেন কোথায় – ঢাকায় ।
- তিনি কত সালে মৃত্যুবরণ করেন – ১৯৭৮ সালে ।
তিনি উপমহাদেশের প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক ও সমাজ সংস্কারক। তিনি টাঙ্গাইল জেলার বিরামদী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম শাবাজ খাঁ ও মায়ের নাম রতন খানম। তার বাবা ছিলেন একজন কৃষক। ইব্রাহীম খাঁ ১৯০৬ সালে জামালপুরের সরিষাবাড়ির পিংনা উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। সাহিত্যিক প্রিন্সিপাল ইব্রাহীম খাঁ প্রথম মুসলমান ছাত্র যিনি পিংনা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এন্ট্রাস (বর্তমান এস.এস.সি) পাশ করেন। ১৯১৯ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.এ.পাস করেন। ১৯২৪ সালে আইন পাস করে ময়মনসিংহে ওকালতি শুরু করেন। তিনি ১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন। সম্পূর্ণ নিজের ইচ্ছায় তিনি লেখাপড়া করেছেন। তিনি বিয়ে করেন নি।
**তিনি স্মৃতিকথা, শিক্ষা-সাহিত্য-ধর্ম-বিষয়ক প্রবন্ধ, নাটক, ভ্রমণ কাহিনী, রম্য রচনা, গল্প, উপন্যাস, ইতিহাস ও জীবনচরিত, শিশু সাহিত্য, পাঠ্য বই ও অনুবাদ মিলিয়ে শতাধিক গ্রন্থ রচনা করেছেন। অনেক দায়িত্বপূর্ণ পদে কর্মব্যস্ত থেকেও অনলসভাবে তিনি বিশাল সাহিত্য ভান্ডার রচনা করেছেন। সাহিত্যের সকল শাখায়ই তিনি স্বচ্ছন্দে সফলতার সঙ্গে পদচারণা করেছেন। ব্রিটিশ ভারতে নিগৃহীত পণ্ডিতদেরকে তিনি তার কলেজে সুযোগ দিতেন। বহু ছাত্রকে তিনি বিনা বেতনে পড়িয়েছেন।
তিনি তার নিজের বিশ্বাসে দৃঢ় ছিলেন, কিন্তু অন্যের মতবাদকে বিন্দুমাত্র অশ্রদ্ধা করতেন না। অসহযোগ ও খিলাফত আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে ইব্রাহীম খাঁ রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তিনি ব্রিটিশ আমলে ‘খান সাহেব’ ও ‘খান বাহাদুর’ এবং পাকিস্তান আমলে ‘সিতারা-ই-ইমতিয়াজ’ উপাধি লাভ করেন। নাটকে অবদানের জন্য তিনি বাংলা একাডেমী পুরস্কার (১৯৬৩) এবং সাহিত্যের জন্য একুশে পদক (১৯৭৬) লাভ করেন।