মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এর জীবনী ও সাহিত্যকর্ম্য

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এর জীবনী

বিহারের সাঁওতাল পরগনার দুমকা শহরে জন্মগ্রহণ করেন বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শক্তিশালী কথা সাহিত্যিক প্রবোধকুমার (মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়) বন্দ্যোপাধ্যায় । পিতা হরিহর বন্দ্যোপাধ্যায় ও মাতা নীরদা সুন্দরী দেবীর চৌদ্দ সন্তানের মধ্যে মানিক ছিলেন অষ্টম । সমাজ সংসারের বিচিত্র সব মানুষের সংগ্রাম জীবন কাহিনী এবং তাদের ছোট ছোট সুখ-দুঃখ অত্যন্ত নিপুণভাবে তুলে ধরেছেন তার লেখনির মাধ্যমে ।

  • বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় জন্মগ্রহণ করেন – ১৯০৮ সালে ১৯ মে ।
  • মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় পিতৃপ্রদত্ত নাম ছিল – প্রবোধকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় ।
  • মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম রচনার নাম – ‘অতসী মামী’ নামক গল্প ।
  • জননী (১৯৩৫)-মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস ।
  • মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মনস্তাত্ত্বিকমূলক ‘জননী’ উপন্যাসে তিনি তুলে ধরেছেন – নারীর মাতৃত্বের নানা দিক এবং সন্তানের সাথে মায়ের নাড়িত্বের সর্ম্পক ।
  • মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালজয়ী ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ উপন্যাসের উপজীব্য বিষয় – জেলে জীবনের বিচিত্র সুখ-দুঃখ ।
  • ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ উপন্যাসটি প্রকাশিত হয় – পূর্বাশা পত্রিকায় (১৯৩৪-১৯৩৬) ।
  • কুবের, মালা, কপিলা, ধনঞ্জয়, গণেশ, শীতল, বাবু, হোসেন মিঞা চরিত্রগুলো – মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পদ্মানদীর মাঝি’ উপন্যাসের ।
  • ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ উপন্যাসটি চিত্রায়ন করেছেন – গৌতম ঘোষ ।
  • মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘দিবারাত্রির কাব্য’ – উপন্যাস (১৯৩৫) ।

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এর জীবনী ও সাহিত্যকর্ম্য

  • শশী, কুসুম, মতি, সেনদিদি, যাদব, হারুঘোষ, হারান, চরিত্রগুলো রয়েছে – পুতুল নাচের ইতিকথা’ উপন্যাসে ।
  • মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পুতুল নাচের ইতিকথা’ উপন্যাসটি প্রকাশিত হয় – ১৯৩৬ সালে ।
  • বলিষ্ঠ ব্যক্তিত্ব ও আত্মসম্ভমশালী নারী ‘যেশোদা’ চরিত্রটি – ‘শহরতলী’ উপন্যাসের (১৯৪১) ।
  • বীরেশ্বর, শ্যামলাল, অনুপম, চরিত্রগুলো – ‘অমৃত্স্য পুত্রা’ উপন্যাসে ।
  • মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মার্কসীয় জ্ঞানের প্রকাশ ঘটে – ‘আরোগ্য’ উপন্যাসে ।
  • ‘আত্মহত্যার অধিকার’ গল্পটি মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের – অতসীমামী ও অন্যান্য গল্প গ্রন্থের অন্তর্গত ।
  • ‘প্রাগৈতিহাসিক’ ছোটগল্পটির রচয়িতা – মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ।
  • ‘ভিখু ও পাচি’ চরিত্র দুটি – প্রাগৈতিহাসিক (১৯৩৭) গল্পের ।
  • ‘ছোট বকুলপুরের যাত্রী’ গল্প গ্রন্থটি রচয়িতা কে – মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ।
  • মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যান্য বিখ্যাত ছোট গল্পের মধ্যে রয়েছে – সরীসৃপ, বৌ, সমুদ্রের স্বাদ, ভেজাল, আজকাল পরশুর গল্প, মাটির মাশুল, হলুদপোড়া, হারানের নাতজামাই, আততায়ী, রিকশাওয়ালা, নেশা প্রভৃতি ।
  • মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ – আঞ্চলিক উপন্যাস ।
  • “ঈশ্বির থাকে ঐ গ্রামে, ভদ্র পল্লিতে, এখানে তাহাকে খুঁজিয়া পাওয়া যাইবে না” । উক্তিটি যে উপন্যাসের – ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ উপন্যাসের ।
  • “স্বচ্ছলীলাভ মণির মত চোখ” বলতে ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ উপন্যাসে বলা হয়েছে – ইলিশ মাছের কথা ।
  • ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ উপন্যাসে কুবের মাঝির বাড়ি – কেতুপুর গ্রামে ।
  • ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ উপন্যাসে যে চরিত্রকে সমগ্র বাংলা সাহিত্যের অভিনব চরিত্র হিসাবে আখ্যায়িত হয়েছে – হোসের মিঞা চরিত্রটি ।
  • “আচ্ছা সমুদু কত বড়- পদ্মার চেয়েও বড় বুঝি? উক্তিটি – যুগীর ।
  • সাহিত্য রচনার প্রথম জীবনে ফ্রয়েডীয় মতবাদ পরবর্তীতে মার্কসবাদী ঐপন্যাসিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ইহলোক ত্যাগ করেন – ১৯৫৫ সালের ৩ ডিসেম্বর ।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *