মোহাম্মদ বরকতুল্লাহ এর জীবনী ও সাহিত্যকর্ম
আধুনিক বাঙালি মুসলমানদের মধ্যেই তিনি সর্বপ্রথম দার্শনিক প্রবন্ধ লিখে বাংলা সাহিত্যকে সমৃ্দ্ধ করেন । কবিরাজি চিকিৎসক হাজী আজম আলী তার পিতা। স্ত্রী জোবেদা খাতুন। ১৯১৪ খ্রিষ্টাব্দে শাহজাদপুর হাইস্কুল থেকে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিক পাস করেন। অতঃপর রাজশাহী কলেজে ভর্তি হয়ে ১৯১৬ খ্রিষ্টাব্দে প্রথম বিভাগে আই,এ পাশ করেন। তিনি ১৯১৮ খ্রিষ্টাব্দে দর্শনে অনার্সসহ দ্বিতীয় বিভাগে বি,এ পাস করেন। কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে দর্শন শাস্ত্রে দ্বিতীয় শ্রেণিতে এম,এ ডিগ্রি লাভ ১৯২০ খ্রিষ্টাব্দে। ১৯২২ খ্রিষ্টাব্দে তিনি আইনশাস্ত্রে ডিগ্রি লাভ করেন।
- তিনি কখন জন্মগ্রহণ করেন – ২ মার্চ, ১৮৯৮ সালে ।
- তিনি কোথায় জন্মগ্রহণ করেন – ঘোড়াশাল গ্রাম, শাহজাদপুর, সিরাজগঞ্জ ।
- ’নবীগৃহ সংবাদ’(১৯৬০) কোন জাতীয় রচনা – প্রবন্ধগ্রন্থ ।
- তাঁর রচিত হযরত ওসমান (১৯৬৩) কোন জাতীয় রচনা – প্রবন্ধ ।
- ’মানুষের ধর্ম’(১৯৩৪) কোন ধরনের লেখা – প্রবন্ধগ্রন্থ ।
- ’পারস্য প্রতিভা’ কোন জাতীয় রচনা – প্রবন্ধগ্রন্থ ।
- মোহাম্মদ বরকতুল্লাহ -’পারস্য প্রতিভা’ প্রবন্ধ গ্রন্থের রচয়িতা ।
- ’পারস্য প্রতিভা’ প্রবন্ধ গ্রন্থটি – ২ খন্ডে বিভক্ত (১ম খন্ড ১৯২৬ এবং ২য় খন্ড ১৯৩২) ।
- তাঁর রচিত ‘কারবালা ও ইমাম বংশের ইতিবৃত্ত’(১৯৫৭) কোন জাতীয় রচনা – প্রবন্ধ গ্রন্থ ।
- ’নয়া জাতীর স্রষ্টা হযরত মুহম্মদ (স) (১৯৬৩) কোন জাতীয় রচনা – প্রবন্ধগ্রন্থ ।
- পাকিস্তান সরকার কর্তৃক উপাধিতে ভূষিত হন – “সিতার-ই-ইমতিয়াজ” উপাধিতে ।
- তিনি বাংলা একাডেমী পুরস্কার লাভ করেন – ১৯৬০ সালে ।
- মোহাম্মদ বরকতুল্লাহ কোন গ্রন্থের জন্য ‘দাউদ পুরস্কার’(১৯৬৩) লাভ করেন – ‘নয়াজাতির স্রষ্টা হজরত মোহাম্মদ গ্রন্থের জন্য ।
- তিনি মৃত্যুবরণ করেন – ২ নভেম্বর, ১৯৭৪ সালে ।