হুমায়ূন আহমেদের লেখা শঙ্খনীল কারাগার খন্ড-২২

বারােই আশ্বিন ঝুনুর সঙ্গে বিয়ে হয়ে গেল মনসুরের।  বাবা আর রাবেয়ার প্রবল মতের সামনে টিকতে পারলাম না। বনু বেশ অবাক হয়েছিল। তাকে কিছু বলা হয় নি, তবে সে যে আচ করতে পেরেছে–––তা বােঝা যাচ্ছিল। ঝুনু যতটা আপত্তি করবে মনে করেছিলাম, ততটা করে নি দেখে কিছুটা বিস্মিত হয়েছি। আত্মীয়স্বজনরা কী বুঝল কে জানে, বিশেষ উচ্চবাচ্য করল… Continue reading হুমায়ূন আহমেদের লেখা শঙ্খনীল কারাগার খন্ড-২২

হুমায়ূন আহমেদের লেখা শঙ্খনীল কারাগার খন্ড-২১

এই চিঠিটা পড়েন একটু।  গােটা গােটা অক্ষরে লেখা। আধপাতার একটা চিঠি। সবুজ নামে একটি ছেলেকে লেখা। সবুজের সঙ্গে সে সিনেমায় যেতে পারবে না। বাসার সবাই সন্দেহ করবে। রুনুই লিখেছে মাস তিনেক আগে। স্তম্ভিত হয়ে গেলাম।   ‘কই পেয়েছ এই চিঠি?‘ ‘সবুজ কাল রাতে আমাকে দিয়ে গিয়েছে।  কথা বলতে আমার সময় লাগল। আর বলবই–বা কী? শুকনাে… Continue reading হুমায়ূন আহমেদের লেখা শঙ্খনীল কারাগার খন্ড-২১

হুমায়ূন আহমেদের লেখা শঙ্খনীল কারাগার খন্ড-২০

আয় যাই।  বেশ কেটে যাচ্ছে দিন। কিটকির চিঠি হঠাৎ মাঝে মাঝে এসে পড়ে। কেমন আছেন ভালাে আছি গােছের। একঘেয়ে জীবনের মধ্যে এইটুকুই যেন ব্যতিক্রম। হঠাৎ করে এক দিন সবার একঘেয়েমী কেটে গেল। মনসুরের বাবা এক সন্ধ্যায় বেড়াতে এসে অনেক ভণিতার পর বাবাকে বললেন, ‘আপনার মেয়ে রুনুকে যদি দেন আমাদের কাছে, বড়াে খুশি হই। মনসুরের নিজের… Continue reading হুমায়ূন আহমেদের লেখা শঙ্খনীল কারাগার খন্ড-২০

হুমায়ূন আহমেদের লেখা শঙ্খনীল কারাগার খন্ড-১৯

‘আহ্ বাবা, কি বলেন, লজ্জা লাগে।‘ ‘তাহলে থাক। মনে মনে তাের গুণ গাই।‘ ‘বাবা চুপ করেন।‘  সবচেয়ে ছােট যে নিনু সেও দেখতে দেখতে বড়াে হয়ে গেল। মার চেয়েও রূপসী হয়েছে সে। পাতলা ঠোট, একটু থ্যাবড়া নাক, বড়াে বড়াে ভাসা চোখ সব সময় ছলছল করছে। ঐ তাে সেদিন হামাগুড়ি দিয়ে বেড়াত। থ থ থ বলে আপন… Continue reading হুমায়ূন আহমেদের লেখা শঙ্খনীল কারাগার খন্ড-১৯

হুমায়ূন আহমেদের লেখা শঙ্খনীল কারাগার খন্ড-১৮

‘বল।‘ | ‘বিয়ে–টিয়ে করতে আমার একটুও ইচ্ছে হয় না। ওটা একটা বাজে ব্যাপার। অজানা–অচেনা একটা ছেলের সঙ্গে শুয়ে থাকা, ছিঃ।  রিক্সা দ্রুত চলছে। রাবেয়া চুপ করে বসে। রােদের লালচে আঁচে রাবেয়ার মুখটাও লালচে হয়ে উঠেছে। কী ভাবছে সে কে বলবে।  রুনু টেবিল–ল্যাম্প জ্বালিয়ে কী যেন একটা লিখছিল। আমাকে দেখেই হকচকিয়ে উঠে দাঁড়াল। লেখা কাগজটা সন্তর্পণে… Continue reading হুমায়ূন আহমেদের লেখা শঙ্খনীল কারাগার খন্ড-১৮

হুমায়ূন আহমেদের লেখা শঙ্খনীল কারাগার খন্ড-১৭

সেখানে। কিটকির যে এত বন্ধু আছে, তা  জানতাম না। হেসে হেসে সবার সঙ্গেই সে কথা বলল। কিটকিকে মনে হচ্ছিল একটি সবুজ পরী। সবুজ শাড়ি, সবুজ জুতাে, সবুজ ফিতে–এমন কি কাঁধের মস্ত ব্যাগটাও সবুজ।।   রাবেয়াকে বললাম, ‘কিটকিকে কী সুন্দর মানিয়েছে, দেখেছিস? তুই এমন মিল করে সাজ করিস না কেন?  ‘সাজ দেখে যদি তাের মতাে কোনাে… Continue reading হুমায়ূন আহমেদের লেখা শঙ্খনীল কারাগার খন্ড-১৭

হুমায়ূন আহমেদের লেখা শঙ্খনীল কারাগার খন্ড-১৬

রাবেয়া রেগে গিয়ে বলত, মারব থাপ্পড়। বাবাকে জোকার বলছে! দেখছ বাবা–মেয়ের কেমন ফিচলে বুদ্ধি হয়েছে?   বাবা বলতেন, ‘ঝুনুর আমার এই এতটা বুদ্ধি। যাও তাে রুনু–ঝুনু, একটু নাচ দেখাও।   কিটকির কাছে শেখা আনাড়ি নাচ নাচত দু‘ জনে। মা মুখে মুখে তবলার বােল দিতেন। বাবা বলতেন, ‘বাহা রে বেটি, বাহা। কী সুন্দর শিখেছে, বাহ্ বাহ! এবার মন্টু… Continue reading হুমায়ূন আহমেদের লেখা শঙ্খনীল কারাগার খন্ড-১৬

হুমায়ূন আহমেদের লেখা শঙ্খনীল কারাগার খন্ড-১৫

মা আসতেন আরাে কিছু পরে। খুব কম সময় থাকতেন। আমরা বেরিয়ে আসতাম সবাই। একসময় দেখতাম মুখ কালাে করে মামা উঠে যেতেন। মা শুয়ে শুয়ে কাঁদতেন সারা দুপুর। আমরা মনমরা হয়ে ঘুরে বেড়াতাম। কিছুই ভালাে। লাগত না। সেই অল্পবয়সেই মাকে কি গভীর ভালােই না বেসেছিলাম! অথচ তিনি ছিলেন খুবই নিরাসক্ত ধরনের। কথাবার্তা বলতেন কম। নিঃশব্দে হাঁটতেন।… Continue reading হুমায়ূন আহমেদের লেখা শঙ্খনীল কারাগার খন্ড-১৫

হুমায়ূন আহমেদের লেখা শঙ্খনীল কারাগার খন্ড-১৪

শোঁ শোঁ আওয়াজ দিচ্ছে। মন্টু বলল, ‘বাবা, গল্প বলেন।  ‘কিসের গল্প, ভূতের? নিনু বলল, ‘না, আমি ভয় পাচ্ছি, হাসির গল্প বলেন। বাবা বললেন, ‘রাবেয়া, তুই একটা হাসির গল্প বল।   রাবেয়ার হাসির গল্পটা তেমন জমল না। বাবা অবশ্যি অনেকক্ষণ ধরে হাসলেন।  রুনু বলল, ‘মনে পড়ে আপা, মা এক দিন এক কানা সাহেবের গল্প বলেছিল? সেদিনও… Continue reading হুমায়ূন আহমেদের লেখা শঙ্খনীল কারাগার খন্ড-১৪

হুমায়ূন আহমেদের লেখা শঙ্খনীল কারাগার খন্ড-১৩

তাে?  তখন চারদিকে খুব ছেলেধরার কথা শােনা যেত। ছেলেধরারা নাকি ছেলে মেয়ে ধরে নিয়ে হােটেলে বিক্রি করে দেয়। সেখানে মানুষের মাংস রান্না হয়। বে অবির মাংস খেতে গিয়ে একটি বাচ্চা মেয়ের কড়ে আঙুল পেয়েছে। এই জাতীয় গল্প । রাহেলার কথা শুনে ভয় পেলেও হেসে উড়িয়ে দিয়ে বলেছি, ছেলেধরা এমন হয়   বুঝি? ভদ্রলােক গাড়ির দরজা… Continue reading হুমায়ূন আহমেদের লেখা শঙ্খনীল কারাগার খন্ড-১৩