আবদুল কাদির বাঙালি কবি, প্রাবন্ধিক, সম্পাদক, সাহিত্য-সমালোচক ও ছান্দসিক হিসেবে খ্যাত ছিলেন। তাঁর কাব্যপ্রয়াসে মোহিতলাল মজুমদারের ধ্রুপদী সংগঠন এবং নজরুলের উদাত্ত আবেগের চমৎকার সমন্বয় প্রত্যক্ষ হয়।
তিনি ছন্দ বিচারেও অধিকার সংশয়াতীত। সাহিত্য সম্পাদক হিসেবেও তিনি পরিশ্রম এবং একনিষ্ঠতার ছাপ রেখেছেন।
- বিশিষ্ট এই লেখক জন্মগ্রহণ করেন – ১লা জুন ১৯১৬ খ্রিষ্টাব্দে।
- অন্যতম এই কবির পৈত্রিক নিবাস – বর্তমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার আড়াইসিধা গ্রামে।
- বিশিষ্ট এই কবির পিতার নাম – হাজী আফসারউদ্দীন। যিনি একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ছিলেন।
- বিশিষ্ট এই লেখকের শিক্ষাজীবন – তিনি ১৯২৩ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে পাঁচটি বিষয়ে লেটারসহ ম্যাট্রিক পাস করেন। ১৯২৫ সালে ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজ থেকে আইএসসি পাস করেন। পরে তিনি বি.এ. পর্যন্ত অধ্যয়ন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।
- ’বুদ্ধির মুক্তি’ আন্দোলনের প্রধান উদ্যোক্তা – আবদুল কাদির।
- তাঁর নেতৃত্বে ঢাকায় ‘বুদ্ধির মুক্তি’ আন্দোলন সূচিত হয় – ১৯২৬ সালে।
- তিনি লেখক ও প্রকাশিক ছিলেন – ’শিখা’ পত্রিকার।
- তাঁর মৃত্যুর পরে বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত গ্রন্থ – ‘লোকায়ত সাহিত্য’।
- তিনি খ্যাত ছিলেন – গবেষণামূলক এবং ছন্দ সম্বন্ধীয় প্রবন্ধ রচনায়।
- ১৯২৬ খ্রিষ্টাব্দে – তিনি কলকাতায় বিখ্যাত ’সওগাত’ পত্রিকায় সম্পাদনা বিভাগে চাকরি নেন।
- তিনি কলকাতা করপোরেশনের একটি প্রাথমিক স্কুলে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন – ১৯৩০ সালে।
- তিনি ’নবশক্তি’ পত্রিকার সম্পাদনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন – ১৯৩৭ সালে।
- ১৯৩৮ সালে – তিনি কলকাতার ’যুগান্তর’ পত্রিকায় যোগ দেন ।
- তিনি বার্তা সম্পাদক ছিলেন – কাজী নজরুল ইসলামের ‘দৈনিক নবযুগ’ পত্রিকায়।
- তিনি ‘দৈনিক নবযুগ’ পত্রিকার বার্তা সম্পাদক নিযুক্ত হন – ১৯৪২ সালে।
- ১৯৪৬ সালে – তিনি সাপ্তাহিক ’মোহাম্মাদী’ ও অর্ধ-সাপ্তাহিক ’পয়গাম’ পত্রিকায় চাকরি করেন।
- তাঁর সম্পাদিত পত্রিকার নাম – ‘মাহে নাও’।
- তিনি পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সরকারের মুখপত্র মাসিক বিখ্যাত মাহেনও পত্রিকায় কর্মরত ছিলেন – ১৯৫২ সালে।
আবদুল কাদির এর জীবনী ও সাহিত্যকর্ম
- ’দিলরুবা’ কোন জাতীয় রচনা – কাব্যগ্রন্থ।
- ’উত্তর বসন্ত’ কোন জাতীয় রচনা – কাব্যগ্রন্থ।
- ’উত্তর বসন্ত’ কাব্যের রচয়িতা – আবদুল কাদির।
- তাঁর রচিত ‘কাব্যমালঞ্চ’ কোন জাতীয় রচনা – সংকলন।
- ’ছন্দ সমীক্ষণ’ কোন জাতীয় রচনা – সাহিত্যালোচনা।
- আবদুল কাদিরের অনত্যম বিখ্যাত গ্রন্থ – ‘ছন্দ সামীক্ষণ’।
- ’ছন্দ সমীক্ষণ’ গ্রন্থটি প্রকাশিত হয় – ১৯৭৯ সালে।
- তিনি বাংলা ছন্দ সম্পর্কে মৌলিক বক্তব্য রেখেছেন – ‘ছন্দ সমীক্ষণ’ গ্রন্থে।
- ’মুসলিম সাধনার ধার’ একটি – গবেষণা গ্রন্থ।
- বাংলা কাব্যের ইতিহাস ‘মুসলিম সাধনার ধারা’(১৯৪৪)-গবেষণা গ্রন্থটি রচনা করেছেন – আবদুল কাদির।
- ’মওলানা মোহাম্মদ নঈমুদ্দীন’ কোন জাতীয় রচনা – জীবনীগ্রন্থ ।
আবদুল কাদির এর জীবনী
- তাঁর রচিত ’মওলানা মোহম্মদ নঈমুদ্দীন’ জীবনীগ্রন্থটি প্রকাশিত হয় – ১৯৭৯ সালে।
- ’কবি নজরুল’ জীবনী গ্রন্থটি রচনা করেন – আবদুল কাদির।
- আবদুল কাদির রচিত রচনাবলির মধ্যে রয়েছে – ‘এয়াকুব আলী চৌধুরী রচনাবলী’ (১৯৬৩), ‘নজরুল রচনাবলী’ (৫ খন্ড, ১৯৬৬-১৯৮৬), ‘শিরাজী রচনাবলী’ (১৯৬৭), ’কাজী ইমদাদুল হক রচনাবলী’ (১৯৬৮), ‘আবুল হুসেন রচনাবলী’ (১৯৬৮), ‘লুৎফর রহমান রচনাবলী’ (১ম খন্ড, ১৯৭২), ‘রোকেয়া রচনাবলী’ (১৯৭৩) প্রভৃতি।
- ’বাংলা সনেট’ গ্রন্থটির রচয়িতা – ১৯৭৪ সালে।
- তিনি ’বাংলা একাডেমি পুরস্কর’ লাভ করেন – ১৯৬৩ সালে।
- আবদুল কাদির ’একুশে পদক’ লাভ করেন – ১৯৭৬ সালে।
- সাহিত্য সাধনার স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি – ‘আদমজী সাহিত্য পুরস্কার’ (১৯৬৭), ‘নজরুল একডেমী স্বর্ণপদক’ (১৯৭৭), ‘কুমিল্লা ফাউন্ডেশন পদক’ (১৯৭৭), ‘মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন স্বর্ণপদক’ (১৯৭৭) এবং ’মুক্তধারা পুরস্কার’ লাভ করেন।
- বিশিষ্ট এই লেখক মৃত্যুবরণ করেন – ১৯ ডিসেম্বর, ১৯৮৪ সালে ঢাকায়।